গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-যে বই কিনলে ঠকবেন!
স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উত্তর দেবেন, পরীক্ষায় পাশের জন্য। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার উত্তর দেবেন, মেধাবিকাশের জন্য। হুমায়ুন আহমেদ বেঁচে থাকলে উত্তর দিতেন, লেখকরা কি ছাতা লেখেন তা জানার জন্য।
বই আসলে দুই কারণে পড়া হয়, কোরাতে এক উত্তর থেকে যা জেনেছি। প্রথম কারণটি হচ্ছে সাহিত্যিক মূল্যবোধ কিংবা আগ্রহ নিবারণের জন্য। আর দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে স্কিল ডেভলপমেন্টের জন্য। যেমন হ্যারিপটারের একটি বই যখন আমেরিকান কিংবা ব্রিটিশ কেউ পড়ে সে হচ্ছে বইটির সাহিত্যিক মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে পারে। এই মূল্যবোধের সঙ্গে গল্প, কাহিনী আর সৃজনশীলতার সম্পর্ক আছে। আর অন্য দিকে সেই হ্যারিপটারের বই যখন বাংলাদেশি কোন কিশোর পড়ে সে সাহিত্য+স্কিল দুটো কারণেই পড়ে। ইংরেজি বইটি পড়লে নিজের ইংরেজি দক্ষতা বিকাশের দারুণ সুযোগ তৈরি হবে অবচেতন মনেই। একারণে ইংরেজি বই কিংবা ভিন্নভাষার বই পড়াকে স্কিল বিকাশের একটা ধাপ হিসেবে অনেক স্মার্ট লোকেরা মনে করেন। আমিও ইদানিং লোকজনকে ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদের বই সরাসরি পড়তে নিরুৎসাহিত করি। একই সঙ্গে যদি সাহিত্যের মজা+স্কিল বিকাশের সুযোগ থাকে তাহলে সরাসরি ইংরেজি বই পড়তেই হবে। দ্য অ্যালকেমিস্টের বাংলা বই আর ইংরেজি বই দুটো দুই দুনিয়ার স্টাইলে ছাপা হয়েছে এটা বলার অবকাশ রাখে না।
বই আসলে দুই কারণে পড়া হয়, কোরাতে এক উত্তর থেকে যা জেনেছি। প্রথম কারণটি হচ্ছে সাহিত্যিক মূল্যবোধ কিংবা আগ্রহ নিবারণের জন্য। আর দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে স্কিল ডেভলপমেন্টের জন্য। যেমন হ্যারিপটারের একটি বই যখন আমেরিকান কিংবা ব্রিটিশ কেউ পড়ে সে হচ্ছে বইটির সাহিত্যিক মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে পারে। এই মূল্যবোধের সঙ্গে গল্প, কাহিনী আর সৃজনশীলতার সম্পর্ক আছে। আর অন্য দিকে সেই হ্যারিপটারের বই যখন বাংলাদেশি কোন কিশোর পড়ে সে সাহিত্য+স্কিল দুটো কারণেই পড়ে। ইংরেজি বইটি পড়লে নিজের ইংরেজি দক্ষতা বিকাশের দারুণ সুযোগ তৈরি হবে অবচেতন মনেই। একারণে ইংরেজি বই কিংবা ভিন্নভাষার বই পড়াকে স্কিল বিকাশের একটা ধাপ হিসেবে অনেক স্মার্ট লোকেরা মনে করেন। আমিও ইদানিং লোকজনকে ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদের বই সরাসরি পড়তে নিরুৎসাহিত করি। একই সঙ্গে যদি সাহিত্যের মজা+স্কিল বিকাশের সুযোগ থাকে তাহলে সরাসরি ইংরেজি বই পড়তেই হবে। দ্য অ্যালকেমিস্টের বাংলা বই আর ইংরেজি বই দুটো দুই দুনিয়ার স্টাইলে ছাপা হয়েছে এটা বলার অবকাশ রাখে না।
গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং বইটির সত্যিকার অর্থে কোন সাহিত্যিক ভ্যালু নেই, শুধু মুনির হাসানের কথা বলার স্টাইলের লেখনি পাওয়া যাবে। কিন্তু বইটি স্কিল ডেভলপমেন্টের সোর্স হিসেবে বেশ কার্যকর একটি বই বলা যায়। মার্কেটিং বিষয়ে দুনিয়ার অনেক রেফারেন্স আছে বইটিতে। গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং নিয়ে গেল ২/৩ বছর বেশ মাতামাতি আছে প্রযুক্তির দুনিয়াতে। বাংলাদেশি হিসেবে আমরা সে সবের খোঁজ রাখিই না বলা যায়, বইটি সে সব অনেকগুলো গল্পের এক সংকলন।
আরও পড়ুন: মুনির হাসান ২০১৮ সালে যে বই পড়তে বলেন
বইটির সাফল্য:১. এখন তো আমরা ১০ সেকেন্ডের মধ্যে অনেক তথ্যই ভুলে যাই। বইটি পড়লে অনেক কেইস বেশ কিছুদিন মনে থাকবে।
২. বাংলাদেশে অনেক স্টার্টআপ নিজেদের মার্কেটিংয়ের জন্য বইটি পড়লে মুনির হাসানকে পরামর্শক বা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিলে যা উপকার পাবেন তা জানতে পারবেন।
২. বাংলাদেশে অনেক স্টার্টআপ নিজেদের মার্কেটিংয়ের জন্য বইটি পড়লে মুনির হাসানকে পরামর্শক বা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিলে যা উপকার পাবেন তা জানতে পারবেন।
বইটির দুর্বলতা:১. অনেকগুলো কেইস স্টাডি পাওয়া যাবে, যা আসলে সেকেন্ড টাইম অনুসরণ করলে কি হবে তা বলা মুশকিল।
২. বইটি শেষ করলে কি কি জানি বাদ পড়লো বলে পাঠকের মনে অনেক প্রশ্ন আসবে।
৩. মুনির হাসানের পোস্ট যারা ফেসবুকে অনুসরণ করেন তাদের জন্য বইটি রিভিশন হবে!
অতএব, বই কিনলে ঠকবেন!
No comments:
Post a Comment