ব্র্যান্ড ম্যানেজম্যান্টের উপর একটা সিরিজ বই পড়তেছি; সেখানে ফর্ড, বিএমডাব্লিউ, ইউনিলিভার, প্রোক্টর এন্ড গ্যাম্বল দিয়ে সব উদাহরণ দেয়া; প্রথম সিরিজের অর্ধেক পড়ে যা বুঝলাম, আমাদের এই ফেজ ধরতে অনেক দেরি; এমনকি আমারা এখনও শুরুই করতে পারি নাই।
চিন্তা করলাম কারনটা কি হতে পারে?
আমাদের দেশের ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে এত অনিহার কারন, একটা শক্তিশালী ব্র্যান্ড ডেফলপটড করার কোন পুথিগত স্ট্রেটেজী নাই, কিংবা এর রিটার্ন ক্যাল্কুলেইট করারও কোন নিউমেরিকাল সুত্র নাই; তাই অনেকে এটা নেহাৎ খরচ মনে করে; এই কারনে ব্র্যান্ডের প্যাঁচ-গোচ অধিকাংশের মাথার উপর দিয়ে যায়, ইনফ্যাক্ট আমারও যাচ্ছে। তবুও এই একটা শব্দকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর বড় বড় ব্যাবসায়ী বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার হাকায় নিচ্ছে; তাই ভাবলাম আমরাও একটু নেই (বিলিয়ন না হোক, লাখই সাহী)
-----
- ব্র্যান্ড আসলে কি?
-এটা একটা এনটিটি, অনেকে নাম বলে, অনেকে লগো বলে আবার অনেক প্রোডাক্ট বা সার্ভিস হিসাবে রেফার করে। আদোতে ব্র্যান্ড হচ্ছে এমন একটা এন্টিটি যার শুনলে বা দেখলে হটাৎ একটা সাইকলজিকাল ক্লিক হয় ব্রেইনে, মেয়েদের ক্ষেত্রে "ম্যাক" নামটা; ওমাইগড ম্যাক
ছেলেদের ক্ষেত্রে অ্যাডিডাস বা নাইকি (অবশ্যই ফ্যাশন সচেতন ছেলেদের্); ইয়ো ম্যান, আই অ্যাম আ অ্যাডিডাস গাই
যে কোন এন্টিটিকেই একটা ব্র্যান্ড করা যায়, যদি তার পজিশনিংটা ঠিক ঠাক ভাবে করা যায় টার্গেট কাস্টমারের কাছে।
---
-ব্র্যান্ডের আসলে কেন দরকার?
-ব্র্যান্ড কখনই রাতারাতি আপনার এন্টিটিকে একটা বিশাল পোর্টফোলিও বানাবে না, কিনবা সেলসও বাড়াবে না, তাহলে কি করবে?
সে, মিরপুরের একটা রেস্টুরেন্ট যাদের পাস্তা শুধু মিরপুর না সারা ঢাকা বিখ্যাত, এবং তারা শুধু পাস্তাই সার্ভ করে; আপনি এবং আপনার ফ্রেন্ড ঐ পাস্তার নিয়মিত কাস্টমার; দোকানটার বয়স প্রায় ২ বছর, প্রথম প্রথম হয়তো বা মাসে ৫০-৬০ জন যেত, এখন প্রায় দিনেই ১৫০-২০০ মানুষ যায়; আপনি এক বছর ধরে ঐখানে পাস্তা খেতে যাচ্ছেন এবং আপনাদের মত অনেকেই যাচ্ছে; হটাৎ করে দোকানটা পিৎসা বানাতে শুরু করলো; যেহেতু দোকানটা সুপরিচিত ভালো পাস্তা বানানোর জন্য, আপনাদের মত যারা রেগুলার কাস্টমার, তারা ভাবলো, "ঠিক আছে ট্রাই করা দরকার, খেয়ে দেখি কেমন, পাস্তাতো ওরা ভালোই বনায়, পিৎসাও নিশ্চয় খারাপ বানাবে না"; যেখানে পাস্তা খেতে প্রথম দিকে ৫০-৬০ জন মানুষ জেত অথচ তাদের পিৎসা খেতেই এখন ১৫০-২০০ মানুষ যায়; ঠিক এভাবেই এক্সপেনশনটা হতে থাকে যা এক সময় জায়েন্টে পরিবর্তন হয় এবং আনবিটেবল হয়ে দাঁড়ায়।
এন্ড দিজ ইদ ওয়াট ব্র্যান্ড ডাজ।
-----
যদিও ব্যাবসায়িক দিক থেকে এক্সাম্পেল দেয়া, কিন্তু এই ব্যাপারটা ঠিক ততই প্রযোজ্য এবং সত্য একটা ওয়েল ফেয়ার ওরগানাইজেশনের জন্য, একটা ফেসবুক পেইজের জন্য, একজন পার্টিকুলার মানুষের জন্য এবং একটা দেশের জন্য।
-রিয়েল লাইফ উদাহরন দেখতে চান, তাহলে, এখনি জেগে উঠুন; "জাগো বাঙ্গালী জাগো"
চিন্তা করলাম কারনটা কি হতে পারে?
আমাদের দেশের ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে এত অনিহার কারন, একটা শক্তিশালী ব্র্যান্ড ডেফলপটড করার কোন পুথিগত স্ট্রেটেজী নাই, কিংবা এর রিটার্ন ক্যাল্কুলেইট করারও কোন নিউমেরিকাল সুত্র নাই; তাই অনেকে এটা নেহাৎ খরচ মনে করে; এই কারনে ব্র্যান্ডের প্যাঁচ-গোচ অধিকাংশের মাথার উপর দিয়ে যায়, ইনফ্যাক্ট আমারও যাচ্ছে। তবুও এই একটা শব্দকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর বড় বড় ব্যাবসায়ী বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার হাকায় নিচ্ছে; তাই ভাবলাম আমরাও একটু নেই (বিলিয়ন না হোক, লাখই সাহী)
-----
- ব্র্যান্ড আসলে কি?
-এটা একটা এনটিটি, অনেকে নাম বলে, অনেকে লগো বলে আবার অনেক প্রোডাক্ট বা সার্ভিস হিসাবে রেফার করে। আদোতে ব্র্যান্ড হচ্ছে এমন একটা এন্টিটি যার শুনলে বা দেখলে হটাৎ একটা সাইকলজিকাল ক্লিক হয় ব্রেইনে, মেয়েদের ক্ষেত্রে "ম্যাক" নামটা; ওমাইগড ম্যাক
ছেলেদের ক্ষেত্রে অ্যাডিডাস বা নাইকি (অবশ্যই ফ্যাশন সচেতন ছেলেদের্); ইয়ো ম্যান, আই অ্যাম আ অ্যাডিডাস গাই
যে কোন এন্টিটিকেই একটা ব্র্যান্ড করা যায়, যদি তার পজিশনিংটা ঠিক ঠাক ভাবে করা যায় টার্গেট কাস্টমারের কাছে।
---
-ব্র্যান্ডের আসলে কেন দরকার?
-ব্র্যান্ড কখনই রাতারাতি আপনার এন্টিটিকে একটা বিশাল পোর্টফোলিও বানাবে না, কিনবা সেলসও বাড়াবে না, তাহলে কি করবে?
সে, মিরপুরের একটা রেস্টুরেন্ট যাদের পাস্তা শুধু মিরপুর না সারা ঢাকা বিখ্যাত, এবং তারা শুধু পাস্তাই সার্ভ করে; আপনি এবং আপনার ফ্রেন্ড ঐ পাস্তার নিয়মিত কাস্টমার; দোকানটার বয়স প্রায় ২ বছর, প্রথম প্রথম হয়তো বা মাসে ৫০-৬০ জন যেত, এখন প্রায় দিনেই ১৫০-২০০ মানুষ যায়; আপনি এক বছর ধরে ঐখানে পাস্তা খেতে যাচ্ছেন এবং আপনাদের মত অনেকেই যাচ্ছে; হটাৎ করে দোকানটা পিৎসা বানাতে শুরু করলো; যেহেতু দোকানটা সুপরিচিত ভালো পাস্তা বানানোর জন্য, আপনাদের মত যারা রেগুলার কাস্টমার, তারা ভাবলো, "ঠিক আছে ট্রাই করা দরকার, খেয়ে দেখি কেমন, পাস্তাতো ওরা ভালোই বনায়, পিৎসাও নিশ্চয় খারাপ বানাবে না"; যেখানে পাস্তা খেতে প্রথম দিকে ৫০-৬০ জন মানুষ জেত অথচ তাদের পিৎসা খেতেই এখন ১৫০-২০০ মানুষ যায়; ঠিক এভাবেই এক্সপেনশনটা হতে থাকে যা এক সময় জায়েন্টে পরিবর্তন হয় এবং আনবিটেবল হয়ে দাঁড়ায়।
এন্ড দিজ ইদ ওয়াট ব্র্যান্ড ডাজ।
-----
যদিও ব্যাবসায়িক দিক থেকে এক্সাম্পেল দেয়া, কিন্তু এই ব্যাপারটা ঠিক ততই প্রযোজ্য এবং সত্য একটা ওয়েল ফেয়ার ওরগানাইজেশনের জন্য, একটা ফেসবুক পেইজের জন্য, একজন পার্টিকুলার মানুষের জন্য এবং একটা দেশের জন্য।
-রিয়েল লাইফ উদাহরন দেখতে চান, তাহলে, এখনি জেগে উঠুন; "জাগো বাঙ্গালী জাগো"
লেখিকা - Mehjabin Badhon
No comments:
Post a Comment