১৯৩১ সালের কথা। উইনস্টন চার্চিল ব্রিটিশ রাজনীতিতে পুরো কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। বিরোধীপক্ষ ছাড়াও নিজের দলের থেকৈ ভীষণ চাপে পড়েছিলেন চার্চিল। এমন কি তুখোড় রাজনীতিবিদ হওয়ার পরেও চার্চিলকে মন্ত্রীসভায় আমন্ত্রণ জানানো হয় নি। চার্চিল বাতিল আর সেকেলে বলে নিগ্রহের শিকার হন। সবাই দেখছিল কিভাবে সব হারিয়ে প্রায় শূণ্য হয়ে যান চার্চিল।
বাতিল হয়ে যাওয়া চার্চিলের রাজনীতির শেষ দেখে ফেলেছিলেন অনেকেই। সেই সময়টা চার্চিলের জায়গায় আমরা থাকলে হারিয়ে যেতাম হতাশায়। চার্চিলের ওপর কি হতাশা ভর করেছিল?
এখন আমরা চার্চিল ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ পরিচয়ের বাইরে লেখক হিসেবে পরিচয় দেখি। সারা জীবনে চার্চিল ১০ লাখ শব্দ লিখেছিলেন! সেই চার্চিল তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময়টায় ১৯৩১ সালের পরের হতাশা কাটিয়েছেন স্পেস মডেল দিয়ে!
বাতিল হয়ে যাওয়া চার্চিলের রাজনীতির শেষ দেখে ফেলেছিলেন অনেকেই। সেই সময়টা চার্চিলের জায়গায় আমরা থাকলে হারিয়ে যেতাম হতাশায়। চার্চিলের ওপর কি হতাশা ভর করেছিল?
এখন আমরা চার্চিল ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ পরিচয়ের বাইরে লেখক হিসেবে পরিচয় দেখি। সারা জীবনে চার্চিল ১০ লাখ শব্দ লিখেছিলেন! সেই চার্চিল তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময়টায় ১৯৩১ সালের পরের হতাশা কাটিয়েছেন স্পেস মডেল দিয়ে!
স্পেস মডেল কি?
রাজনীতি পরিমন্ডল থেকে চার্চিল ১৯৩১ সালের পরে নিজেকে সরিয়ে নেন। আসলে সরিয়ে নেয়া ছাড়া কি-ই-বা করার ছিল? এ সময় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে অন্য দুনিয়া গোছানোর জন্য মনোযোগ দেন চার্চিল। ১৯৩৯ সালের আগে তিনি ১১ খন্ড বই প্রকাশ করেন, ৪০০+ আর্টিকেল প্রকাশ করেন। আর নানান সুধী সমাবেশে ৩৫০+ বক্তব্য রাখেন।
নিজেকে অন্য দিকে ব্যস্ত রেখে হতাশা কাটানোর দুর্দান্ত উপায় বের করেন চার্চিল।
সেই স্পেস মডেলের জোরেই কিন্তু চার্চিল আবারও রাজনীতিতে মনোযোগ আনতে পারেন। সাময়িক বিরতি, দুশ্চিন্তা কিংবা হতাশা কাটানোর বেশ বড় একটি উপায় হতে পারে। যেটা আমরা কর্মজীবনে কিংবা যে কোন ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হলে মডেল হিসেবে কাজে লাগাতে পারি।
মুদ্রার উল্টো পিঠের যে গল্প
লেখালেখির মাধ্যমে চার্চিল আসলে নিজের অন্য একটি সুপারপাওয়ার তৈরি করেছিলেন। সবাই তো রাজনীতিবিদ হয়, কিন্তু লেখক+রাজনীতিবিদ কতজন হয়? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লেখনিওয়ালা চার্চিল বেশি শক্তি নিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। শব্দ আর বাক্যকে নিজের সুপারপাওয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন চার্চিল। এই আচরণকে রাজনীতিবিদদের মনস্তাত্বিক ইনস্যুরেন্স পলিসি বলা যায়, যা কিনা ইনফ্লুয়েন্স বাড়ানোর অস্ত্র। আপনার অস্ত্র কি?
জ্যাকারবার্গের শুরুতে ছিল হার্ভার্ড ডর্মের বন্ধুরা, স্টিভ জবস-ওজনিয়াকের ছিল কম্পিউটার ক্লাবের বন্ধুরা, নাইকির ফিল নাইটের ছিল ৩/৪জন পাগলাটে বন্ধু! আপনার?
১০০০ লোক যখন শক্তি!
চার্চিলের এগিয়ে যাওয়ার প্ল্যাটফর্ম ছিল তার লেখালেখি। লেখালেখির মাধ্যমে নিজের ভক্ত কিংবা ভোটার ধরে রাখার কৌশল বলা যায় না একে? আপনি যদি উদ্যোক্তা হতে চান, তাহলে ১০০০ মানুষকে নিজের পণ্য বা সেবা কেনাতে পারবেন? আমাদের মাথায় বিলিয়ন ডলার আইডিয়া থাকে, কিন্তু সেই আইডিয়ার উপর নির্ভর করে তৈরি পন্য বা সেবা ১০০০ হাজার লোক গ্রহণ করবে কিনা তা আমরা জানি না।
প্রথম ১০০০ ভক্ত বা গ্রাহক কিংবা ভোটার তৈরি করাই কিন্তু আসল পরিশ্রম!
আশির দশকের ব্যান্ড আয়রন মেইডেনের রেডিওতে গান বাজানো হতো না। এমনকি এমটিভিও নাকি তাদের গান বাজাতো না তখন। সেই আয়রন মেইডেন নব্বই দশকে গানের অ্যালবাম মিলিয়ন কপি বিক্রি করেছে কোন মাধ্যম ছড়াই! আয়রন মেইডেনের ভক্তদের নাকি বিশাল এক ইমেইল লিস্টি তাদের সংগ্রহে ছিল, সেই মেইল লিস্টি দিয়েই আয়রন মেইডেন মিলিয়ন ডলারের অ্যালবামে সাফল্য পায়।
শোবিজ দুনিয়ায় যে থিওরী চলে
আশির দশকের ব্যান্ড আয়রন মেইডেনের রেডিওতে গান বাজানো হতো না। এমনকি এমটিভিও নাকি তাদের গান বাজাতো না তখন। সেই আয়রন মেইডেন নব্বই দশকে গানের অ্যালবাম মিলিয়ন কপি বিক্রি করেছে কোন মাধ্যম ছড়াই! আয়রন মেইডেনের ভক্তদের নাকি বিশাল এক ইমেইল লিস্টি তাদের সংগ্রহে ছিল, সেই মেইল লিস্টি দিয়েই আয়রন মেইডেন মিলিয়ন ডলারের অ্যালবামে সাফল্য পায়।
উইয়ার্ড ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা কেভিন কেলির একটা এন্টারটেইনমেন্ট থিওরী ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা কিংবা লেখক বা যে কেউই অনুসরণ করতে পারেন। কেলির ভাষ্যে, “আপনার যদি ১০০০ সত্যিকারের ভক্ত থাকে আপনি সুপার ম্যান। আপনি যাই সৃষ্টি করুন না কেন, তা দর্শন, চিত্রশিল্পী কিংবা রাজনৈতিক আদর্শ-এক হাজার লোক আপনার ট্রু ফ্যান হলেই আপনি সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন।”
জ্যাকারবার্গের শুরুতে ছিল হার্ভার্ড ডর্মের বন্ধুরা, স্টিভ জবস-ওজনিয়াকের ছিল কম্পিউটার ক্লাবের বন্ধুরা, নাইকির ফিল নাইটের ছিল ৩/৪জন পাগলাটে বন্ধু! আপনার?
এই এক হাজার মানুষই আসলে আপনার বিলিয়ন ডলার আইডিয়া কিংবা লাখো পাঠক তৈরি করবে। এটা ডমিনো থিওরী না?
আপনার পণ্য কিংবা সেবা নির্ভর উদ্যোগের সাফল্য আসলে নির্ভর করে আপনি কতটুকু আপনার ভক্তদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং করতে পারেন!
জ্যাকারবার্গের শুরুতে ছিল হার্ভার্ড ডর্মের বন্ধুরা, স্টিভ জবস-ওজনিয়াকের ছিল কম্পিউটার ক্লাবের বন্ধুরা, নাইকির ফিল নাইটের ছিল ৩/৪জন পাগলাটে বন্ধু! আপনার?
এই এক হাজার মানুষই আসলে আপনার বিলিয়ন ডলার আইডিয়া কিংবা লাখো পাঠক তৈরি করবে। এটা ডমিনো থিওরী না?
আপনার পণ্য কিংবা সেবা নির্ভর উদ্যোগের সাফল্য আসলে নির্ভর করে আপনি কতটুকু আপনার ভক্তদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং করতে পারেন!
No comments:
Post a Comment