আত্মবিশ্বাস সব সময়ই সাফল্যের একটি মাপকাঠি। ব্যক্তিত্বের জোর বা কোন কাজে কেমন দক্ষ আমাদের তা টের পাওয়া যায় আত্মবিশ্বাসের নানান ছবির মাধ্যমে। আত্মবিশ্বাস নির্ধারণ করে অন্যরা আসলে আমাদের সঙ্গে কেমন আচরণ করে, কিংবা আমরা কে কি কতটা দৌড়াতে পারি।
আত্মবিশ্বাসের বিপরীত, অহংকার বা অ্যারোগেন্সি। অদ্ভুত ভাবে আত্মবিশ্বাসের পুরোপুরি উল্টো অহংকার না, এটা অনেকটা একই স্কেলের ১৯ আর ২১ অংক। আত্মবিশ্বাস যদি ১৯ নম্বরে থাকে, তাহলে একটু সামনেই ২/৩ সংখ্যা পরে থাকবে অ্যারোগেন্সি। কেউই আসলে অ্যারোগেন্টদের পছন্দ করে না। অদ্ভুতভাবে বলা যায়, অ্যারোগেন্সির সঙ্গেও আত্মবিশ্বাস জড়িত। বিনয় বা স্থিরতা বিহীন আত্মবিশ্বাসকে বলা হয় অ্যারোগেন্সি। নিজেকে নিয়ে আত্মবিশ্বাস যখন নির্দিষ্ট মাত্রা ছাপিয়ে যায়, তখনই নানা বিপদ শুরু হয়। আর আমাদের চারপাশে তেমন মেন্টররাও থাকে না যে, যারা আমাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দেবে। কখন যে উপরে উঠতে উঠতে আমরা রকেটের মধ্যে প্রাইম পজিশন থেকে আবার নিচে নামতে শুরু করি, তা টেরই পাই না আমরা।
নিজেকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসের অনেক ডার্ক সাইড আছে, যেটা আমাদের খেয়াল রাখা দরকার।
কমফোর্ট শব্দটি ভুলে যান ।
আত্মবিশ্বাস বা অ্যারোগেন্সির সঙ্গে কমফোর্ট শব্দটি ভীষণভাবে জড়িত। কমফোর্ট বিষয়টিই সব সময় খুঁজি আমরা। দামী স্যালারি, সুন্দর বাড়ী আর সাফল্যের দিকে ছুটতে আমরা নিজেদের আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলি। এসব অর্জনের পরে আমরা অ্যারোগেন্ট হয়ে যাই। কমফোর্ট জিনিষটা জীবনে আসা শুরু করলেই আমাদের গোলের দিকে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
আমরা সফল হওয়ার পথে কিংবা পরে নিজেরে জোর খাটাতে চাই। আমি শ্রেষ্ঠ, আমিই সব-এসব আমাদের মনের মধ্যে ঢুকে যায়। এসব ভাবনা আমাদের বিনয়ী হতে দেয় না, আমরা হোমো সেপিয়েন্স হওয়ার বদলে হোমো অহংকারী হয়ে যাই।
—
প্রশ্নোত্তরের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোরাতে আরও যা পড়তে পারেন:
No comments:
Post a Comment