‘আমি আসলে যে কাজ করি তারচেয়ে আমি বেশি সময় ও এনার্জি নষ্ট করি কাজটির জন্য চিন্তা করে। আমার চেয়ে সরল জীবন যাপন করার কথা সেখানে আমি দুশ্চিন্তার বল খেলি প্রতিদিন।’
আমার এক পরিচিত মানুষের অভিযোগ এটা। এটা আসলেই কিন্তু সত্যি, আমরা আসলে যা চিন্তা করি তা কি চিন্তা না দুশ্চিন্তা? আমরা মাথার অনেকটা এনার্জি নষ্ট করি এসব দুশ্চিন্তার জন্য। চাপগ্রস্থ হওয়া ও দুশ্চিন্তা আমাদের জীবনকে কখন যে এলোমেলো করে দেয়া তা আমরা টের পাই না।
দুশ্চিন্তার অন্যতম খারাপ দিক হচ্ছে, দুশ্চিন্তা আমাদের বেঁচে থাকা থেকে জীবনকে ডাকাতি করে নিয়ে যায়। অর্থনীতিবিদদের হিসেবে, দুশ্চিন্তার আসলে অনেক বেশি অপরচুনিটি কষ্ট আছে। আমরা কাজ করার বদলে দুশ্চিন্তা করি, সেক্ষেত্রে কাজ করার চাইতে দুশ্চিন্তা করি আমরা। মনোবিজ্ঞানের ভাষায়, দুশ্চিন্তা হচ্ছে মানসিক ভাবে দুশ্চিন্তা হচ্ছে এমন কোন প্রচেষ্টা যেখানে আসলে সমস্যার সমাধানে কিংবা সমস্যা বলতে কিছু নেই। দুশ্চিন্তার কোন বাস্তবিক ফলাফল নেই, যা আমরা কখনই বুঝতে পারি না। তবে, অন্যদের দেখানোর জন্যও আমরা দুশ্চিন্তার শো অফ করে থাকি। হাই লেভেল অব স্ট্রেস আর অ্যাংজাইটি না থাকলে আমরা সফল না, এটাও সমাজে কেন জানি প্রতিষ্ঠিত। আপনি যখন দিনের বেশির ভাগ সময় দুশ্চিন্তার জন্য ব্যয় করবেন, তখন সত্যিকার অর্থের প্রোডাক্টিভ কিংবা সৃজনশীল হওয়া বেশ কঠিন।
মাইন্ডফুলনেস শেখার মাধ্যমে দুশ্চিন্তা কমানো যায়। আপনি এখন কি শ্বাস নিচ্ছেন কিনা সেটা একটু পরীক্ষা করুন, দুশ্চিন্তা অন্য দিকে চলে যাবে।
No comments:
Post a Comment