টম হ্যাংকসের বিখ্যাত সেই সিনেমার কথা আছে অনেকেরই। এক পার্কের পাশে বাস স্ট্যান্ডে বসে ফরেস্ট গাম্প নিজের জীবনের গল্প করছিলেন অপরিচিত সব মানুষের সঙ্গে। কোন কারণে ছাড়াই গল্প করে যাচ্ছিলেন গাম্প, আর মানুষের কিছুটায় ইচ্ছায় অনিচ্ছায় শুনছিলেন তার গল্প। কেউ কি টের পাচ্ছিল যে গাম্প তারকাদের তারকা তখন? আমরা চলার পথে সাধারণত অপরিচিত বা স্ট্রেঞ্জারদের সঙ্গে কথা বলতে চাই না। যেহেতু আমাদের সংস্কৃতিতেই আছে ‘অপরিচিত কারও দেয়া কিছু খাবেন না’, এই অবিশ্বাসের মধ্যে কি আর কথা বলা যায়? তার উপর নানান গুজব তো আছেই।
আমেরিকায় মিলেনিয়ালসদের একটু সিনিয়ররা পরামর্শ দেন অপরিচিতদের সঙ্গে গল্প করতে।
আমেরিকানরা এমনিতেই স্মলটকের জন্য বিখ্যাত। সেখানে অপরিচিতদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেয়ার কারণটা তেমন জানা যায় না। আসলে আমরা এখন যেভাবে ফেসবুক আর ইনস্টাতে আটকে আছি, সেখানে পাশের মানুষের খোঁজও নিতে চাই না আমরা। গল্প করার একটা কারণ মনে হয়, নতুন নতুন আইডিয়া পাওয়ার জন্য অপরিচিত মানুষরা দারুণ একটা সোর্স। নতুন স্টার্ট-আপ আইডিয়া কিংবা লেখার আইডিয়ার জন্য অপরিচিতদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন অনেক বিশ্লেষক। সিনেমার বিখ্যাত স্ক্রিপ্ট রাইটারদের নাকি এই অভ্যাস আছে। আমরা চলার পথে যেভাবে দুনিয়া দেখি, পরিচিত মানুষেরাও একইভাবে দুনিয়া দেখে। সেখানে নতুন অপরিচিত মানুষের ভাবনায় আমাদের মনোযোগ টানতে হবে, নতুন গানের মতো। একেকটি নতুন গান যেমন নতুন শব্দ ও বাক্য নিয়ে তৈরি হয়, তেমনি অপরিচিত মানুষরাও নতুন আইডিয়ার জন্য দারুণ উৎস।
No comments:
Post a Comment