আমি ২০১৩ পরবর্তী সময় বেশ কিছু স্টার্টআপ কিংবা সেই টাইপের কিছু কাজের সঙ্গে যুক্ত। এখনও যুক্ত আছি। প্রতিদিনই অনেক মানুষের সঙ্গে কথা হয় নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে, নতুন নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে। আমি নিজে উদ্যোক্তা না, কিন্তু অনেক পরিশ্রমি উদ্যোক্তা নিয়ে টেলিভিশনে রিপোর্ট+পত্রিকায় লিখেছি। আর বই-টই পড়ে তো আজকের দুনিয়াতে কে কি করছে তার প্যাটার্নও জানার চেষ্টা করে যাচ্ছি। নতুন ব্যবসা কিংবা কিছু করার সময় নিজের আইডিয়াই সর্বশ্রেষ্ট ভাবাই স্বাভাবিক, আমিও ভাবি। কোন রকমের প্রোডাক্ট বানানো যায় এ নিয়ে প্রায়শই তর্ক করি লোকজনের সঙ্গে। অনেকটা আজাইরা বলা যায়।
যা নিয়ে তর্ক করি,
তার একপক্ষ: কাস্টমারের যা চায় তাই বানাইতে হবে।
আরেকপক্ষ: এমন কিছু বানাইতে হবে যা দেখে কাস্টমার ভাববে এটাই আমার লাগবে।
প্রথম পক্ষের কথা হচ্ছে, কাস্টমার যদি ছোট বোতলে কোক চায় তাকে ছোট বোতলই দিতে হবে। কাস্টমার যদি ছোট সাইজের সাবান চায় তার জন্য ছোট সাইজের সাবান দিতে হবে।
আরেক পক্ষের কথা হচ্ছে, কাস্টমারকে জিরা পানি দেন, তাকে ভাবতে দেন এটাই আমার লাগবে তো! কাস্টমারকে ফোনের সঙ্গে ক্যামেরা দেন, তারপরে তাকে ভাবার সুযোগ দেন, “আরেহ এটাই তো আমার লাগবে!”
প্রথম পক্ষের ভাবনাকে আমরা প্রোডাক্ট ডেভলপমেন্ট বলতে পারি। আর দ্বিতীয় পক্ষকে ক্যাটাগরি ক্রিয়েটর বলতে পারি। দুই স্টাইলেই মানুষ ব্যবসা করে যায়, প্রথমটার দিকে বড় বড় কোম্পানির আগ্রহ বেশি থাকে, আর যারা নতুন শুরু করে তারা দ্বিতীয় স্টাইলেই মাঠে নামে।
রিয়েল লাইফ কেইস: ফেসবুক মেসেঞ্জারে নানান কিছু স্ন্যাপচ্যাট থেকে কপি করার খবর পত্রিকায় দেখা যায় এখন। স্ন্যাপচ্যাপ ক্যাটাগরি ক্রিয়েটর, ফেসবুক প্রোডাক্ট ডেভলপ করে যাচ্ছে।
আমি মাঝেমধ্যে আরেকটা স্টাইলের কথা এখানে সেখানে দেখি!
এটা আসলে মারিয়ুনা কেনাবেচা স্টাইল। গাজা সবাই খায় না, সবাই চায় না। যে চায় সেই জানে কই থেকে কিনতে হবে। যে খায় না, সে জানে না কই কিনতে পাওয়া যায়, কিন্তু সে গাজার নাম জানে। গাজার বদলে এখানে আইফোনের কথাও বলা যায়। সাধারণ ক্রেতা হিসেবে আমি আইফোন চাই না, তাই কোথায় পাওয়া যায় জানি না, কিন্তু আইফোনকে চিনি আমি!
No comments:
Post a Comment