{ Pingback: ইমোশনাল মার্কেটিং-১১ : চাই সঠিক কৌশল-৪ – ব্যাক টু দ্যা ফিউচার }
কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতাটি বিশ্বের সব মার্কেটারের মুখস্ত রাখতে হয়। কারণ, যে কোন প্রোডাক্ট মার্কেটিং-এর সময় মাথায় রাখতে হয় ইচ্ছে করলেই সব নারীকে, বা অভিষ্ট নারীকে ক্যাম্পেইনে অন্তর্ভূক্ত করা সহজ নয়। কঠিন কাজ। সেটি আমাদের দেশে যেমন জটিল তেমনি বিদেশেও।
তবে, মেয়েদের আবেগকে সামনে রেখে নানা ভাবে মার্কেটাররা তাদের ক্যাম্পেইন ঠিক করেন। এ ব্যাপারটা বোঝা যাবে, বিশেষ করে শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন দেখলে। মনে রাখা দরকার অন্যান্য বিউটি পণ্যের চেয়ে শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন কঠিন। কারণ শুরুতে শ্যাম্পু মোটেই কোন বিউটি প্রোডাক্ট ছিল না। ছিল ওষুধের কারবার। কালক্রমে যখন শ্যাম্পু বিউটি পন্য হিসাবে নিজের জায়গা করে নিল তখন থেকে শ্যাম্পুর বাজার ধরার জন্য আবেগের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হয়েছে।
যারা শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন তৈরি করে তারা সবাই কিন্তু জানে শ্যাম্পু আসরে চুল পরিস্কার করার বাইরে আর কিছুই করতে পারে না। যতোই আপনি এনিমেশন করেন আর নায়িকাদের মডেল বানান। দিনশেষে শ্যাম্পু আসলে এক ধরণের ডিটারজেন্ট মাত্র।
তো, এমন একটা পন্য যদি বিক্রি করতে হয় তাহলে সেখানে আবেগের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে, সেটা বলা বাহুল্য। আর সেটাকে দেখাতে হবে নানান ভাবে।
শ্যাম্পুওয়ালার এটা শুরু করে সাইকোলজি থেকে। ২০০৯ সালে লা ফ্রান্সে প্রকাশিত “ফার্স্ট ইমপ্রেসন এন্ড হেয়ার ইমপ্রেসনে’ চুলের বাহারের সঙ্গে পুরুষ ও নারীকে বিশেষভাবে সম্পর্কিত করা হয়েছে। যেমন মেয়েদের বেলায় বলা হচ্ছে ছোট কিন্তু মজবুত চুলের অধিকারিনী (যেমন অভিনেত্রী মেগি রায়ান) হবেন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, আর সেক্সি মেয়েদের চুল হবে লম্বা, সোজা এবং ব্লন্ড। আর বুদ্ধিমতী ও ইজি গোইং-রা এর মাঝামাঝি। অন্যদিকে আত্মবিশ্বাসী, সেক্সী কিন্তু স্বর্থপর পুরুষদের চুল ছোট করে কাটা থাকে। লম্বা চুলের অধিকারী হিপ্পিদের ধরা হয় আকাইম্যা, কোন কাজের না। আর যথারীতি বুদ্ধিমানরা থাকে এ দুইয়ের মাঝখানে। মার্কেটাররা যখন তাদের কোন প্রোডাক্টকে বাজারে নিয়ে যায় তখন এর মধ্যে একটাকে টার্গেট করে।
CLICK HERE FOR ORIGINAL LINK
বিশ্বে যা কিছু মহান চির কল্যানকর
অর্ধেক তার আনিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
-কাজী নজরুল ইসলাম
কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতাটি বিশ্বের সব মার্কেটারের মুখস্ত রাখতে হয়। কারণ, যে কোন প্রোডাক্ট মার্কেটিং-এর সময় মাথায় রাখতে হয় ইচ্ছে করলেই সব নারীকে, বা অভিষ্ট নারীকে ক্যাম্পেইনে অন্তর্ভূক্ত করা সহজ নয়। কঠিন কাজ। সেটি আমাদের দেশে যেমন জটিল তেমনি বিদেশেও।
তবে, মেয়েদের আবেগকে সামনে রেখে নানা ভাবে মার্কেটাররা তাদের ক্যাম্পেইন ঠিক করেন। এ ব্যাপারটা বোঝা যাবে, বিশেষ করে শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন দেখলে। মনে রাখা দরকার অন্যান্য বিউটি পণ্যের চেয়ে শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন কঠিন। কারণ শুরুতে শ্যাম্পু মোটেই কোন বিউটি প্রোডাক্ট ছিল না। ছিল ওষুধের কারবার। কালক্রমে যখন শ্যাম্পু বিউটি পন্য হিসাবে নিজের জায়গা করে নিল তখন থেকে শ্যাম্পুর বাজার ধরার জন্য আবেগের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হয়েছে।
যারা শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন তৈরি করে তারা সবাই কিন্তু জানে শ্যাম্পু আসরে চুল পরিস্কার করার বাইরে আর কিছুই করতে পারে না। যতোই আপনি এনিমেশন করেন আর নায়িকাদের মডেল বানান। দিনশেষে শ্যাম্পু আসলে এক ধরণের ডিটারজেন্ট মাত্র।
তো, এমন একটা পন্য যদি বিক্রি করতে হয় তাহলে সেখানে আবেগের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে, সেটা বলা বাহুল্য। আর সেটাকে দেখাতে হবে নানান ভাবে।
শ্যাম্পুওয়ালার এটা শুরু করে সাইকোলজি থেকে। ২০০৯ সালে লা ফ্রান্সে প্রকাশিত “ফার্স্ট ইমপ্রেসন এন্ড হেয়ার ইমপ্রেসনে’ চুলের বাহারের সঙ্গে পুরুষ ও নারীকে বিশেষভাবে সম্পর্কিত করা হয়েছে। যেমন মেয়েদের বেলায় বলা হচ্ছে ছোট কিন্তু মজবুত চুলের অধিকারিনী (যেমন অভিনেত্রী মেগি রায়ান) হবেন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, আর সেক্সি মেয়েদের চুল হবে লম্বা, সোজা এবং ব্লন্ড। আর বুদ্ধিমতী ও ইজি গোইং-রা এর মাঝামাঝি। অন্যদিকে আত্মবিশ্বাসী, সেক্সী কিন্তু স্বর্থপর পুরুষদের চুল ছোট করে কাটা থাকে। লম্বা চুলের অধিকারী হিপ্পিদের ধরা হয় আকাইম্যা, কোন কাজের না। আর যথারীতি বুদ্ধিমানরা থাকে এ দুইয়ের মাঝখানে। মার্কেটাররা যখন তাদের কোন প্রোডাক্টকে বাজারে নিয়ে যায় তখন এর মধ্যে একটাকে টার্গেট করে।
No comments:
Post a Comment