আগের পর্ব: গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং (১ - ৬)
গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-৭: লেটস গেট টেকনিক্যাল
হলিউডের মতো আমাদের দেশেও সিনেমা মুক্তির এখনকার রীতি হলো একটা এক্সপেনসিভ প্রিমিয়ার শো করা। আর মার্কেটিয়া্ররা আশা করে এর মাধ্যমে টিকেট বিক্রি বাড়বে। তবে, গ্রোথ হ্যাকারদের ধারণা আলাদা। তাদের বক্তব্য হলো “আমাদের আরো টেকনিক্যাল হতে হবে”।
স্টার্টআপের বেলায় এই সমস্যাটা মধুর এবং উদ্ভাবনের জন্য মোক্ষম। কেননা, এখানে টাকা কম আর সব টেকি লোকদের কারবার। শুরুর দিকে মার্কেটিং, ফিনান্স সবই তো টেকিরা করে, যারা কিনা মার্কেটিং গুরুদের কোন বই পড়ে নাই। পড়ে নাই বলে তারা এমন সব কিছু করে যা হয়তো আগে কেউ করে নাই।
এয়ারবিএনবির কথাই ধরা যাক। মনে আছে তো? এয়ারবিএনবি হলো রিয়ালস্টেট শেয়ারের একটা প্ল্যাটফর্ম। তো, তাদের তো কোন মার্কেটিং লোক ছিল না। ইঞ্জিনিয়াররা আর কী করতে পারে কোডিং ছাড়া?
কাজে তারা মিলে কিছু চমৎকার কোড লিখে ফেললো। এর ফলে খুব সহজে যে কেউ তাদের এয়ারবিএনবির লিস্টিংটা ক্রেইগলিস্টে শেয়ার করতে পারলো। ক্রেইগলিস্ট এটা সহজে করতে দেয় না কিন্তু এয়ারবিএনবির ইঞ্জিনিয়াররা সেটা হ্যাক করে কাজটা সহজ করে ফেললো। ফলে অচিরেই দেখা গেল এয়ারবিএনবির মতো একটা অতি ছোট ওয়েবসাইট ক্রেইগলিস্টের কল্যানে হয়ে গেল জনপ্রিয় একটা সাইট।! এনড্রু চেনের মতে এই চিন্তাটা কোন ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিয়ারের মাথাতেই আসবে না। এটা কেবল কোন প্রোগ্রামারের মাথাতেই আসতে পারে। ক্রেইগলিস্ট থেকে নিজেদের কাস্টোমার ধরে আনাটা একটা অসাধারণ ব্যাপার।
স্টার্টআপের বেলায় এই সমস্যাটা মধুর এবং উদ্ভাবনের জন্য মোক্ষম। কেননা, এখানে টাকা কম আর সব টেকি লোকদের কারবার। শুরুর দিকে মার্কেটিং, ফিনান্স সবই তো টেকিরা করে, যারা কিনা মার্কেটিং গুরুদের কোন বই পড়ে নাই। পড়ে নাই বলে তারা এমন সব কিছু করে যা হয়তো আগে কেউ করে নাই।
এয়ারবিএনবির কথাই ধরা যাক। মনে আছে তো? এয়ারবিএনবি হলো রিয়ালস্টেট শেয়ারের একটা প্ল্যাটফর্ম। তো, তাদের তো কোন মার্কেটিং লোক ছিল না। ইঞ্জিনিয়াররা আর কী করতে পারে কোডিং ছাড়া?
কাজে তারা মিলে কিছু চমৎকার কোড লিখে ফেললো। এর ফলে খুব সহজে যে কেউ তাদের এয়ারবিএনবির লিস্টিংটা ক্রেইগলিস্টে শেয়ার করতে পারলো। ক্রেইগলিস্ট এটা সহজে করতে দেয় না কিন্তু এয়ারবিএনবির ইঞ্জিনিয়াররা সেটা হ্যাক করে কাজটা সহজ করে ফেললো। ফলে অচিরেই দেখা গেল এয়ারবিএনবির মতো একটা অতি ছোট ওয়েবসাইট ক্রেইগলিস্টের কল্যানে হয়ে গেল জনপ্রিয় একটা সাইট।! এনড্রু চেনের মতে এই চিন্তাটা কোন ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিয়ারের মাথাতেই আসবে না। এটা কেবল কোন প্রোগ্রামারের মাথাতেই আসতে পারে। ক্রেইগলিস্ট থেকে নিজেদের কাস্টোমার ধরে আনাটা একটা অসাধারণ ব্যাপার।
এটা আসলে পুরাটাই মার্কেটিং নয়। এর অর্ধেক মার্কেটিং আর অর্ধেক ইঞ্জিনিয়ারিং আর এটার সাফল্য আসলে বলে দেয় এমন সাফল্যের জন্য বক্সের বাইরে চিন্তা করাটা খুবই দরকার। এমনকী বাজেটের বাইরেও।
আজকের দিনে কোন পন্য বিপননের শুরুতে মার্কেটিয়ারদের প্রধান কাজ কিন্তু ব্র্যান্ড এস্টাবলিসমেন্ট নয় বরং প্রথম কাস্টোমারকে ধরে আনা। পাশাপাশি লয়্যাল কাস্টোমারদের একটা আর্মি বানানো যারা কিনা নানানভাবে মার্কেটিং-এর কাজই করে। আর ব্যাপারটা যদি ডিজিটাল হয় তাহলে তো তা হবে সোনায় সোহাগা কারণ তাহলে তাদের সবাইকে ট্র্যাক করা যাবে।
সীন এলিস, যার মাথা থেকে গ্রোথ হ্যাার শব্দটা বের হয়েছে তার মতে প্রথম এক দুই বছর কাস্টোমারের পেছনেই বেশি শ্রম দিতে হবে, ব্র্যান্ডের পেছনে নয়। তোমার স্টার্টআপটা এমনই হতে হবে যা কিনা একটা গ্রেট প্রোডাক্ট। সেটার টেকনিক্যার ব্যাপারটা নিখুত হবে যাতে তা ব্যবহারকারীকে প্ররোচিত করে শেয়ার করার জন্য। ঢাকার উবার ব্যবহারকারীদের কথা মনে আছে? প্রায় সবাই তাদের প্রথম রাইডের ছবি স্যোসাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছে। কেন?
উবারের লোকেরা এটাকে এতো সহজ করেছে যে যে কেউ কোন কষ্ট ছাড়াই এটা করতে পেরেছে।
উবারের লোকেরা এটাকে এতো সহজ করেছে যে যে কেউ কোন কষ্ট ছাড়াই এটা করতে পেরেছে।
এটাই হলো লেটস গেট দ্যা টেকনিক্যালের মূল কথা।
গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-৮: ভাইরালিটি ইজ এ সায়েন্স, নট এ লাক
আমাদের দেশে এখন ডিজিটাল মার্কেটিয়ারদের এ কথাটা শুনতে হয় – “এটাকে ভাইরাল করতে হবে”, “আমরা এটা ভাইরাল করবো”, “ অনলাইনে যেন এটা সবাই শেয়ার করে”। শুনে মনে হতে পারে যে কোন কিছুকে ভাইরাল করাটা খুবই সহজ একটা কাজ! আর যে কোন মার্কেটিয়ারের সেটা হাতের মোয়া।
ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিয়ারদের অনেকেই এ কথা শুনে ঝাপিয়ে পড়লে গ্রোথ হ্যাকাররা ঠান্ডা মাথায় কয়েকটা প্রশ্ন করবে – কেন লোকে তোমার এটা শেয়ার করবে? এটি শেয়ার করা কী খুবই সহজ? আর এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলাটা কি আদৌ দরকার আছে?
ভাইরাল হলো দ্রুত, মানুষে মানুষে সংক্রামিত ওয়ার্ড অব মাউথের সর্বোচ্চ প্রকাশ। এটি কিন্তু চাইলেই ঘটে না। তবে, এটি কিন্তু একটি দুর্ঘটনাও নয়।
ভাইরাল হলো দ্রুত, মানুষে মানুষে সংক্রামিত ওয়ার্ড অব মাউথের সর্বোচ্চ প্রকাশ। এটি কিন্তু চাইলেই ঘটে না। তবে, এটি কিন্তু একটি দুর্ঘটনাও নয়।
হোলস্টি ইশতেহারের কথা ভাবা যায়। আমেরিকার নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের ছোট একটা এপারেল কোম্পানির মিশন স্টেটমেন্ট। নিজের স্বপ্ন ও প্যাশনকে অনুসরণ করার একটা মিশন স্টেটমেন্ট। উদ্যোক্তাদের তৈরি একটি ভিডিও কিছুদিনের মধ্যে মাত্র ৬ কোটি বার দেখা হয়েছে এবং না হলেও ডজনখানেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে!!!
এর উদ্যোক্তারা এটি ভাইরাল হবে এমনটি কী ভেবেছিলেন? না ভাবেন নি। কিন্তু যেহেতু এটি অনুপ্রেরণামূলক, সুনির্দিষ্ট গ্রাহকমূখী, এবং কনসাইজ কাজে এটির ক্লিক পাওয়াটা হয়েছে সহজ। এই মিশন স্টেটমেন্টটা মনোযোগ দিয়ে পড়লে কয়েকটা বিষয় পরিস্কার হবে-
“This is your life. Do what you want and do
it often.
If you don’t like something, change it.
If you don’t like your job, quit.
If you don’t have enough time, stop watching TV.
If you are looking for the love of your life, stop; they will be waiting for you when you start doing things you love.
Stop over-analysing, life is simple.
All emotions are beautiful.
When you eat, appreciate every last bite.
Life is simple.
Open your heart, mind and arms to new things and people, we are united in our differences.
Ask the next person you see what their passion is and share your inspiring dream with them.
Travel often; getting lost will help you find yourself.
Some opportunities only come once, seize them.
Life is about the people you meet and the things you create with them, so go out and start creating.
Life is short, live your dream and wear your passion.”
― Holstee Manifesto, The Wedding Day
If you don’t like something, change it.
If you don’t like your job, quit.
If you don’t have enough time, stop watching TV.
If you are looking for the love of your life, stop; they will be waiting for you when you start doing things you love.
Stop over-analysing, life is simple.
All emotions are beautiful.
When you eat, appreciate every last bite.
Life is simple.
Open your heart, mind and arms to new things and people, we are united in our differences.
Ask the next person you see what their passion is and share your inspiring dream with them.
Travel often; getting lost will help you find yourself.
Some opportunities only come once, seize them.
Life is about the people you meet and the things you create with them, so go out and start creating.
Life is short, live your dream and wear your passion.”
― Holstee Manifesto, The Wedding Day
বোঝায় যাচ্ছে এটি প্রতিদিন বিভিন্ন কোম্পানি যে শত শত মিশন স্টেটমেন্ট প্রকাশ করছে তার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী, শেয়ারের জন্য। কারণ ও তো তোমার-আমার কথাই বলছে।
এ থেকে বোঝা যায় শুধু বিশেষ ধরণের প্রোডাক্ট, বব্যবসা বা কন্টেন্ট ভাইরাল হয়। এর দুইটা কারণ দেখা যায়। একটা হলো এটা শেয়ার করাটা সহজ এবং এটি মানুষকে প্রলুব্ধ করে এটি ছড়িয়ে দিতে। “আমি জানলাম, আমার বন্ধুরাও জানুক”।
গ্রোথ হ্যাকার হিসাবে তুমি যদি এই কাজটা করতে না পারো তাহলে কিন্তু আর কিছু হবে না।
ভাইরালিটির মূল ব্যপারটা কী? মূল ব্যাপার হলো কোন একজনকে তার সামাজিক সম্পদ (এখানে শেয়ার করা, সুপারিশ করা) ব্যবহারে অনুপ্রাণিত করা কোন টাকা পয়সার বিনিময় ছাড়া। তুমি একজনকে বলছো তোমার কথা অন্যকে বলার জন্য, তোমার ভিডিওটি তার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। তোমার গ্রাহকদের বলছো এটি ব্যবহার করার জন্য। এই সবই তো আসলে তোমাকে ফেবার করা? তাই না। তা সেটা তারা কেন করবে?
মানুষ যখনই কোন কিছু শেয়ার করতে যায় তখনই দেখে এটার পেছনে কে বা কী আছে। কোন কোম্পানির কিছু হলে তখন ভাবে – আমি এটা শেয়ার দিলে তো সেই কোম্পানির লাভ। তখন কিন্তু সে আর শেয়ার দেয় না। কিন্তু একটা মানবিক ভিডিও, একটি সাহাসিকতার গল্প কিংবা কোন উদ্ভাবন শেয়ার দেওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু এটি কার এটি মাথায় আসে না যে ওটা কার পেজ থেকে এসেছে। তারমানে হলো কোন প্রোডাক্টের কিছু ভাইরাল করতে হলে সেটির পেছনের মানুষ বা প্রতিষ্ঠানকে গৌণ করে ফেলতে হবে। সবাই শেয়ার করার সময় কখনই ভাববে না তারা তোমাকে ফেবার করছে, বরং তারা নিজেরাই এটি শেয়ার করার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠবে। হোলস্টি ইশতেহার – চাকরি ভাল লাগছে না, ছেড়ে দাও!!! কতো শক্তিশালী বাক্য।
গ্রোথ হ্যাকারদের জন্য এটি কেন জরুরুী? কারণ টাকার অভাবে তুমি এমন কিছু করতে পারছো না যে সম্ভাব্য সবার কাছে তুমি পৌছুতে পারছো। তুমি প্রথম আলোতে মলাট বিজ্ঞাপন দিতে পারঝোনা, তুমি পাঁচ তারা হোটেলে কোন লঞ্চিং সিরোমনি করতে পারছো না, তোমার পিআর স্ট্রেন্থ কম – তারমানেই তোমার দরকার সবাইরে তোমার আর্মি বানানো।
একজন গ্রোথ হ্যাকার তার কন্টেন্ট ভাইরাল হবে, এই আশায় বসে থাকতে পারে না। হোলস্টির মতো এটা ভাইরাল হবে সে আশায় থাকলে তার হবে না। তোমাকে এমন কিছু করতে হবে যাতে সেটা “শেয়ার না করলে জীবন ব্যর্থ হয়ে যায়”।
সহজ ও সোজাসজি উদাহরণ হলো গ্রুপন ও লিভিং স্যোসাল – এই দুইটি সফল ডিলসাইট (আজকের ডিলের মতো)। এই সাইটের প্রত্যক ডিলের সঙ্গে একটা অতিরিক্ত ডিল থাকে। দেড়যুগ আগে লঞ্চিং সময় নিশ্চয়ই এখানকার চেয়ে অনেক বেশি প্রণোদিত ছিল। গ্রুপনে ছিল একটা রেফারেল সিস্টেম (আমাদের দেশে উবার শুরুতে এটা করেছে)। বন্ধুকে রেফার করো, বন্ধুর প্রথম কেনাকাটাতে তুমি ১০ ডলা্র ছাড় পাবা! লিভিং সোশ্যালএ ছিল – ফ্রি তে কিনতে চাও? তাহলে প্রথমে নিজে কিনো। তারপর তিন বন্ধুকে একটা স্পেশাল লিংক পাঠাও। যদি তারা তিনজনই কেনে তাহলে তোমারটা ফ্রি। ডিলটা কতো টাকার তাতে কিছু যায় আসে না। তোমাকে আমরা ফ্রি দেবোই।
সহজ ও সোজাসজি উদাহরণ হলো গ্রুপন ও লিভিং স্যোসাল – এই দুইটি সফল ডিলসাইট (আজকের ডিলের মতো)। এই সাইটের প্রত্যক ডিলের সঙ্গে একটা অতিরিক্ত ডিল থাকে। দেড়যুগ আগে লঞ্চিং সময় নিশ্চয়ই এখানকার চেয়ে অনেক বেশি প্রণোদিত ছিল। গ্রুপনে ছিল একটা রেফারেল সিস্টেম (আমাদের দেশে উবার শুরুতে এটা করেছে)। বন্ধুকে রেফার করো, বন্ধুর প্রথম কেনাকাটাতে তুমি ১০ ডলা্র ছাড় পাবা! লিভিং সোশ্যালএ ছিল – ফ্রি তে কিনতে চাও? তাহলে প্রথমে নিজে কিনো। তারপর তিন বন্ধুকে একটা স্পেশাল লিংক পাঠাও। যদি তারা তিনজনই কেনে তাহলে তোমারটা ফ্রি। ডিলটা কতো টাকার তাতে কিছু যায় আসে না। তোমাকে আমরা ফ্রি দেবোই।
এটি কিন্তু আসলে ট্রাডিশনাল “বাই থ্রি, গেট ওয়ান ফ্রি”-এর হ্যাক ভার্সন। তাইনা?
শিক্ষাটা কি?
না খালি শেয়ারিং-এ উৎসাহিত করা হচ্ছে না, বরং একটা ইনসেনটিভও দেওয়া হচ্ছে। তাতে হচ্ছে কী সবাই মনে করছে এই কাজটা করে সে করছে নিজের জন্য, তোমার জন্য নয়!
না খালি শেয়ারিং-এ উৎসাহিত করা হচ্ছে না, বরং একটা ইনসেনটিভও দেওয়া হচ্ছে। তাতে হচ্ছে কী সবাই মনে করছে এই কাজটা করে সে করছে নিজের জন্য, তোমার জন্য নয়!
রায়ানের নিজের অভিজ্ঞতা হচ্ছে ডিস্ট্রোকিড নিয়ে। এটি মূলত সংগীতকারদের স্পোটিফাই, আইটিউন ও আমাজনে নিজেদের লিস্টিং করার একটা সাইট। তোমার রেফারেলের পাচজন যদি সাইন আপ করে তাহলে তোমাকে ফ্রি মেম্বারশীপ দেওয়া হবে!
হাহাহা। বাঙ্গালিরেতো চেনেন না/ নিজেই পাঁচটা ফেইক একাউন্ট বানায়া এই কাজ করে ফেলবে। না, এই চিন্তা থেকে তারা সেটা বন্ধ করে নাই। অন্য একটা কাজ করেছে যার অনুপ্রেরণা পেয়েছে এক পুলিশের কাজ থেকে। ঐ পুলিশ একদিন এক গ্রোসারিতে একজন মহিলাকে আটক করে যে ঐ দোকান থেকে গ্রোসারি চুরি করছে। তাকে থানায় না দিয়ে ঐ পুলিশ তার জন্য একটা বৃত্তির ব্যবস্থা করে যার মাধ্যমে লোকে তাকে সবজি কিনে দেয়।
ডিস্ট্রোকিডও সেরকম করলো – যদি তারা এই ফেইক একাউন্টটগুলো ধরতে পারে তাহলে তারা তোমাকে দুইটা অপশন দিবে – একটা হলো জরিমানা দাও অথবা তোমাকে ফ্রি মেম্বারশীপ দেওয়া? তুমি যেটা নিতে চাও।এর মধ্যে কিন্ত একটা বড়ো পিআর এলিমেন্টও আছে।
হাহাহা। বাঙ্গালিরেতো চেনেন না/ নিজেই পাঁচটা ফেইক একাউন্ট বানায়া এই কাজ করে ফেলবে। না, এই চিন্তা থেকে তারা সেটা বন্ধ করে নাই। অন্য একটা কাজ করেছে যার অনুপ্রেরণা পেয়েছে এক পুলিশের কাজ থেকে। ঐ পুলিশ একদিন এক গ্রোসারিতে একজন মহিলাকে আটক করে যে ঐ দোকান থেকে গ্রোসারি চুরি করছে। তাকে থানায় না দিয়ে ঐ পুলিশ তার জন্য একটা বৃত্তির ব্যবস্থা করে যার মাধ্যমে লোকে তাকে সবজি কিনে দেয়।
ডিস্ট্রোকিডও সেরকম করলো – যদি তারা এই ফেইক একাউন্টটগুলো ধরতে পারে তাহলে তারা তোমাকে দুইটা অপশন দিবে – একটা হলো জরিমানা দাও অথবা তোমাকে ফ্রি মেম্বারশীপ দেওয়া? তুমি যেটা নিতে চাও।এর মধ্যে কিন্ত একটা বড়ো পিআর এলিমেন্টও আছে।
তারমানে গ্রোথ হ্যাকিং কিন্ত “লাইক আজ অন ফেসবুক” থেকে অনেক অনেক ভিন্ন, ১৮০ ডিগ্রী।
গ্রুপন, লিভিঙ স্যোসাল ও ডিস্ট্রোকিড কিন্তু প্রত্যেক ইউজারকে মার্কেটিয়ারে পরিণত করছে সঙ্গে সঙ্গে নতুনদেরও এই দলে যোগ দিতে আগ্রহী করছে।
এখানেই গ্রোথ হ্যাকারের স্বার্থকতা।
গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-৯: পাবলিক-ইটি
জোনা বার্গারের পরিচয় ভারালিটি নিয়ে তাঁর গবেষণার জন্য। তার মতে পাবলিকেশন হলো ভাইরালিটির সবচেয়ে ক্রিটিকাল কম্পোনেন্ট। তার মতে এমন প্রোডাক্ট ও উদ্যোগ নিতে হবে যা কিনা নিজে নিজের বিজ্ঞাপন। এ জন্য এটিকে “দেখতে পাওয়া দরকার”। এমন হতে হবে যেন দেখার পর বা ব্যবহারের পরও সেটার একটা জিস্ট থাকে।
উনি কো উদাহরণ দেননি। কাজে আমি ঐ লাইনে যাচ্ছি না। কিন্তু অন্যভাবে আমরা ব্যাপারটাকে সামনে আনতে পারি। এই যেমন আমাদের গণিত অলিম্পিয়াড। এটি এমন একটা ব্যাপারে পরিণত হয়েছে যে, যারা অংশ নেয় তারাই এর বিজ্ঞাপকে পরিণত হয়। সে তারা পুরস্কার পাক বা না পাক। এটার মূল কারণ হলো পুরো অলিম্পিয়াডকে দেশপ্রেম, মুখস্ত না করা, বই পড়া, প্রশ্ন করা ইত্যাদি নানান জিনিসের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রথম আলো।
এই ব্যাপারটাও খুব ভাল করে বোঝা দরকার। কারণ গণিত অলিম্পিয়াডের সাফল্যের সঙ্গে কিন্তু প্রথম আলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু আপনার প্রোডাক্ট কী এরকম কোন মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে?
উনি কো উদাহরণ দেননি। কাজে আমি ঐ লাইনে যাচ্ছি না। কিন্তু অন্যভাবে আমরা ব্যাপারটাকে সামনে আনতে পারি। এই যেমন আমাদের গণিত অলিম্পিয়াড। এটি এমন একটা ব্যাপারে পরিণত হয়েছে যে, যারা অংশ নেয় তারাই এর বিজ্ঞাপকে পরিণত হয়। সে তারা পুরস্কার পাক বা না পাক। এটার মূল কারণ হলো পুরো অলিম্পিয়াডকে দেশপ্রেম, মুখস্ত না করা, বই পড়া, প্রশ্ন করা ইত্যাদি নানান জিনিসের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রথম আলো।
এই ব্যাপারটাও খুব ভাল করে বোঝা দরকার। কারণ গণিত অলিম্পিয়াডের সাফল্যের সঙ্গে কিন্তু প্রথম আলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু আপনার প্রোডাক্ট কী এরকম কোন মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে?
স্পোটিফাই-এর বিকাশের কথা ধরুন। মূল কথা হলো এটির ব্যপক জনপ্রিয়তার কারণ কিন্তু ফেসবুকের সঙ্গে এর সংমিশ্রন। ২০১০ সালে চালু হওয়ার পর যখনই কেউ এটি ব্যবহার করেছে তখনই সে এটাকে ফেসবুকে শেয়ার করেছে। আর তার বন্ধুরা ভেবেছে – ও করেছে। তাহলে আমিও দেখি।
স্পোটিফাই-এর জন্য কাজটা সহজ ছিল কারণ সীন পার্কার দুটোইর বোর্ডে ছিলেন সেসময়। এটা তো আমার আপনার বেলায় হবে না। তাহলে উপায় কী?
এর মানে এই নয় যে, আপনি অন্যদের ওপর ভর করে তোমার প্রোডাক্টকে মোর পাবলিক করতে পারবা না। ড্রপবক্স কী করেছে? ওর তো ফেসবুকের সঙ্গে চুক্তি করার উপায় নাই। কাজে সে অন্য রাস্তায় গিয়েছে। যদি কেউ তার ড্রপবক্স একাউন্টকে ফেসবুক বা টুইটারের সঙ্গে লিংক করে তাহলে সে আরো ১৫০ এমবি ফ্রি দিয়ে দেবে!!!
হটমেইলের কথা মনে আছে। প্রত্যেক ই-মেইলের নিচে লিখে দেওয়া। এখন তো এপল, ব্ল্যাকবেরি বা স্যামসাং লিখে দিচ্ছে – Sent from
my iPhone!!!
তবে, এসব ক্ষেত্রে এপলের চিন্তা অনেক আগ্রসী এবং অনেক অগ্রবর্তী। পাবলিসিটির ব্যাপারটা মনে হয় তাদের মতো কেউ বুঝতে পারে না। আইপডের আগে সব হেডফোন ছিল কাল। এপল করলো কি তাদেরটা করল শাদা!!! ভাবছেন, এটা নান্দনিক কারণে করছে? না, এটা বিজ্ঞাপনের কারণেই করছে। কারণ অচিরেই লাখ লাখ লোক হয়ে গেল তাদের হাটা বিজ্ঞাপন। কানের মধ্যে শাদা হেডফোন লাগিযে হাটছে। আর আশেপাশের লোকজন বুঝে ফেলছে যে সে এপল ব্বহার করছে!
আরও বুদ্ধি আছে। ওরা শুরু থেকে প্যাকেজিং-এর মধ্যে একটি করে স্টিকার দিয়ে দেওয়া শুরু করে। এগুরোর অনেক একন গাড়িতর বাম্পারে, দেওয়ালে, ল্যাপটপের ওপরে শোভা পাচ্ছে! নতুনরাও এখন এসব বুদ্ধি ব্যবহার করছে।
রায়াল লিখেছে, সে যে সফটওয়্যার ব্যবহার করে তার আয়র দিয়েছে সেটা সবশেসে তাকে দিয়ে একটা টুইটার পোস্ট আদায় করে নিয়েছে।
আরও বুদ্ধি আছে। ওরা শুরু থেকে প্যাকেজিং-এর মধ্যে একটি করে স্টিকার দিয়ে দেওয়া শুরু করে। এগুরোর অনেক একন গাড়িতর বাম্পারে, দেওয়ালে, ল্যাপটপের ওপরে শোভা পাচ্ছে! নতুনরাও এখন এসব বুদ্ধি ব্যবহার করছে।
রায়াল লিখেছে, সে যে সফটওয়্যার ব্যবহার করে তার আয়র দিয়েছে সেটা সবশেসে তাকে দিয়ে একটা টুইটার পোস্ট আদায় করে নিয়েছে।
এভাবে গ্রোথ হ্যাকাররা পাবলিসিটির কাজ টা করে নেয়ে বিনে পয়সায়, মজার কিন্তু কার্যকরী বুদ্ধি খাটিয়ে।
গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-১০: গ্রোথ হ্যাকিং ইয়োর ভাইরালিটি
ড্রপবক্সের আর তাদের ভিডিওর কথা মনে আছে? শুরুতে স্যোসালমিডিয়া আর ঐ ভিডিও দিয়ে ড্রপবক্স তার প্রথম কিস্তির ব্যবহারকারীদের পেয়ে যায়। এরপর তাদের সামনে দুইটি রাস্তা খোলা ছিল, নতুন এবং আরও গ্রাহক সংগ্রহের জন্য। প্রথমত আরও ভিডিও বানিয়ে ফেসবুক/টুইটারে হাওকাও করা। অথবা ট্র্যাডিশনাল ব্র্যান্ডবিল্ডিং-এ ঝাপায় পড়া। ওরা হিসাব নিকাশ করে দ্বিতীয় পদ্ধতিতে গেল। কিছুদিন পরে হিসাব করে বের করলো এপদ্ধতিতে একজন নতুন ব্যবহারকারী পাওয়ার জন্য ওদের খরচ হচ্ছে ২৩৩ থেকে ৩৮৮ ডলার। প্রায় ১৪ মাস এই কারবার করার পর পর হঠাৎ আলোর ঝলকানি তারা দেখতে পায়। এ সময় ওরা অনেকের সঙ্গে কথা বলে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সিন এলিস। সিনের সঙ্গে আলাপের ফলশ্রুতিতে ড্রপবক্স স্টার্ট-আপ জগতের অন্যতম ভাইরাল হওয়া রেফারেল সিস্টমের জন্ম দেয়!
খুবই সোজা একটা পদ্ধতি যা তাদের সেবার হোমপেজে দেওয়া হল, “Get free
space”। ব্যবহারকারী নিজের জন্য অতিরিক্ত ৫০০ মেগাবাইট স্পেস জোগাড় করতে পারবে যদি তার রেফারেন্সে নতুন কেউ ব্যবহারকারী হয়। এটা করার সঙ্গে সঙ্গে সাইন আপ বেড়ে যায় ৬০% এবং এক মাসের মধ্যে নতুন ২৮ লক্ষ ব্যহারকারী পাওয়া যায়!!!
মনে আছে তো, একজন নতুন ব্যবহারকারী পাওয়ার জন্য বিজ্ঞাপনের খরচ ছিল ৪০০ ডলারের কাছাকাছি?
এ অনেকেটা এ/বি টেস্টের মতো- রেফারেল ভার্সাস পেইড এড এবং রেফারেলের বিজয়। আর সেটা বোঝার জন্য বড় গণিতবিদের প্রয়োজন হচ্ছে না। এখনও ড্রপবক্সের ৩৫% নতুন ব্যবহারকারী রেফারেলেই পাওয়া যাচ্ছে।
পুরো ঘটনা থেকে একটা বিষয় তোমার মাথার মধ্যে ঢুকাতে হবে যা প্রায়শ আমরা ভুলে যাই। সেটি হলো ভাইরালিটি কিন্তু তোমার প্রোডাক্টের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং প্রোডাক্টকেই কোন না কোনভাবে সাপোর্ট করবে। শেয়ার করার প্রকৃত কারণ থাকতে হবে, নচেৎ হবে না।
কাজটা সোজা নয়। তবে, চোখ কান খোলা রাখে এমন একটা কিছু করা সম্ভব। এতক্ষনে নিশ্চয় বোঝাগেছে যে, বহুত কষ্ট করে একটা ইউটিউব ভিডিও বানালেই সেটা ভাইরাল হবে না কিংবা সেটা বানিয়ে আশায় থাকলেও কাজ হবে না। ভিডিওটি এমন হতে হবে যেন একটা কমিউনিটি সেই দায়িত্ব নেয়। এবং কাজটা সহজ হয়।
ভাইরালিটি ইজ নট এন্ড এক্সিডেন্ট, ইট ইজ ইঞ্জিনিয়ার্ড।
গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-১১: রিটেনশন ইজ দ্যা গ্রোথ
গ্রোথ হ্যাকারদের সঙ্গে সনাতন মার্কেটিয়ারদের পার্থক্যটা মনে রাখাটা জরুরী। সনাতনীদের কাজ কী? লিড জেনারেট করা। মার্কেটিং টেকনিক এপ্লাই করে ‘হতে পারে’ কাস্টোমারদের দোকানে নিয়ে আসা। তারপর ‘টিমের অন্যরা’ তাদের সত্যিকারের কাস্টোমার বানাতে পারে।
এই পদ্ধতির সবচেয়ে বড় ঝামেলা হলো স্টার্টআপ বা ছোট প্রতিষ্ঠানে “অন্য কেউ” বলে তো আসলে কেউ নাই। এখানে বেশিরভাগ লোককেই জুতা সেলাই থেকে চন্ডিপাঠ করতে হয়। কাজে খালি খালি লিড জেনারেট করে তো লাভ নেই যদি না সেগুলো কাজে লাগে।
প্রথম আলো পত্রিকায় চাকরি-বাকরি সাপ্লিমেন্টটা প্রকাশের শুরুর দিকে প্রতি সংখ্যায় আমরা একজন উদ্যোক্তাকে নিয়ে একটি ছোট্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করতাম। কিন্তু দেখা গেল, বেশিরভাগ উদ্যোক্তা পত্রিকায় প্রকাশের দিনে যে লিড, আগ্রহ তৈরি হয় সেটা সামাল দিতে পারে না। ফলে, ঐ লিডগুলো কার্যত কোন কাজে লাগে না। এই লেসনটা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে বলে আমি আমার কাছে যারা পরামর্শের জন্য আসে তাদেরকে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে বলি। বিশেষ করে কনভার্সন সক্ষমতা
ডিজিটাল মার্কেটিং-এর বেলায় তুমি তোমার সকল মার্কেটিং উদ্যোগের হিসাব নিকাশ করতে পারো। মানে, কোন চ্যানেলের কী অবস্থা সেটা বুঝতে পারো। আর তাছাড়া এখন সহজে বের করা যায় “কনভার্সন রেট”। কাজে এগুলো শেখো এবং প্রয়োগ করো।
টুইটারের অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগাতে পারো। শুরুর দিকে টুইটার নিয়ে এতো মাতামাতি হয়েছে যে প্রায় সবারই মনে হয়েছে “একটা টুইটার একাউন্ট না থাকা মানে জীবন ব্যর্থ হয়ে যাওয়া”। ফলে দলে দলে লোকে টুইটারে একাউন্ট খুলেছে। টুইটারের মার্কেটিং টিমআো খুশি কারণ সাইন আপ এক্সপোনেন্সিয়াল। কিন্ত, কোর লোকেরা খেয়াল করলো যে, যত লোক এই আহবানে সাড়া দিয়ে একাউন্ট খুলছে তাদের বেশরিভাগই ভুলেও কোন টুইট করছে না! এ যেন সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘বই কেনা’ প্রবন্ধের ঐ মহিলার মতো। মনে আছে তো? ঐ যে দোকানদার তাকে বলেছিল একটি ভাল বই কিনতে উপহার হিসাবে। জবাবে ঐ মহিলা বলেছিলেন – সে তো ওর একটা আছেই!!!
তো, যদি টুইটারের দলে দলে একাউন্ট খোলা হয় কিন্তু তারা তা ব্যবহার না করে তাহলে টুইটারের লাভ কী?
কাজে টুইটার নিয়ে আসলো জস এলমান নামে একজন গ্রোথ হ্যাকারকে। তিনি তার সঙ্গে আর ২৫ জন (ক্রেজি?) গ্রোথ হ্যাকারকে নিয়ে মাঠে নামলেন। প্রথমে গবেষণা করে বের করলেন একটি খুব গুরত্বপূর্ণ তথ্য। তারা দেখলো যে সব টুইটার গ্রাহক শুরুতেই ৫ থেকে ১০ জনকে অনুসরণ করে তারাই সক্রিয় হয়। কাজে এলমান শুরুতে থেকে কাকে ফলো করা যায় সেটা সাজেশন দেওয়া শুরু করলেন্শুধু তাই নয়, প্রথম কয়েকজনের ভিত্তিতে সেই এলগরিদমকে এমনভাবে পরিশীলিত করলেন যাতে কিনা সাজেশনগুলো কার্যকরী হয়! টুইটার এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে ফলো না করলে তেমন একটা কিছু বোজা যায় না। যখন নতুন গ্রাহকরা কয়েকজনকে ফলো করে ফেলে, তখনই টুইটারের শক্তিটা বুঝতে পারে। তখন তারা নতুন নতুন একাউন্ট ফলো করে এবং নিজেরাও তৎপর হতে শুরু করে।
এই ছোট্ট উদ্ভাবনটি কেবল টুইটারকে নয়, প্রায় সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। ফেসবুক খুললেই যে দেখা যায় – তোমার অমুক বন্ধু নতুন ফ্রেন্ড পেয়ে গেছে তুমি কেন চুপ করে আছো বা তুমি তো নিশ্চয়ই এদের চেনো – ইত্যাদি ডানে বামে দেখতে থাকেন, এগুলোর সবই কিন্তু একই উদ্দেশ্যে। ব্যবহারকারীকে সক্রিয় করা। ফেসবুকের একটিভ লোকেরা সপ্তাহে প্রায় ১৫ ঘন্টা ফেসবুকেই কাটায়! এইগুলোই কিন্তু ব্যবহারকারী সক্রিয় হতে উদ্ভুদ্ধ করে, অপেক্ষা করতে নয়। সোজা হিসাব যখন একজন নতুন ফেবু ব্যবহারকারী দেখে তার বন্ধু ছবি শেয়ার করেছে, কক্সবাজারের গল্প ফেঁদেছে তখন সেও তার নিজের ছবি দিতে উৎসাহী হয়। এভাবে নতুনরা সক্রিয় হয়ে উঠে।
নতুন নতুন কাস্টোমারের চেয়ে বর্তমান কাস্টোমারকে যদি পুন: পুন: খরিদ্দারে পরিণত করা যায় তাহলেই কিন্তু অনেকখানি এগিয়ে থাকা যায়। কম্বোডিয়ার টুকটুক ড্রাইভার তার একটি উদাহরণ।
ঠিক ধরেছেন? এটা তো মার্কেটিং নয়? বরং এ হলো প্রোডাক্টের ফিচার! হ্যা। ঠিকউ তো। কিন্তু এর মাধ্যমেই তো টুইটার আর প্রিন্টেরেস্ট ব্যপকভাবে আগালো। তাহলে এটাকে মার্কেটিং বলতে দোষ কোথায়? প্রত্যেক কোম্পানিই তার নিজের একটা মেট্রিক্স তৈরি করে। ফেসবুকের বেলায় এটি হলো প্রথম ১০ দিনে ৭ জন নতুন বন্ধু তৈরি করা। ড্রপবক্সের বেলায় অন্তত একটা ফাইল ড্রপবক্সে ফেলা!
এর মানে হলো তোমাকে তোমার মেট্রিক্স খুঁজে নিতে হবে। এনালিটিক্সগুলো তোমাকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে। এ জন্য যা যা করার তোমাকে করতে হবে।
যেমন এয়ারবিএনবি। ২০১১ সালে তারা খুবই কস্টলি একটা উদ্যোগ নেয় যা বেশিরভাগ গ্রোথ হ্যাকার বলেছিল ফেইল করবে। তারা একটা ঘোষণা দেয় যারা তাদের সাইটে বাসা-বাড়ি লিস্ট করবে, পেশাদার ফটোগ্রাফার পাঠিয়ে তাদের বাড়ির সুন্দর ছবি তুলে দেবে!!! অনেক টাকা খরচের ব্যাপার। কিন্তু তাদের বিশ্বাস ছিল, “এর মাধ্যমে ফটোর একটা ট্রেন্ড এবং একটা স্টান্ডার্ড সেট করা হবে। আর তাছাড়া ছবির ব্যাপারটাই তো মুখ্য ও কঠিন। কাজে সেটাতেও সাহায্য করা হবে”।
এটি একটি বিপ্লবী চিন্তা হলেও এয়ারবিএনবির বিকাশে এটি একটি কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে।
এরকম কিছু্ই তোমাকে করতে হবে। এমন কিছু যা হয়তো তোমার প্রোডাক্টের ফিচারের সঙ্গে যুক্ত কিন্ত আখেরে সেটা তোমার মার্কেটিং-এর কাজই করবে।
গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-১২: অলওয়েজ বি টুইকিং
দিন শেষে সবাই তাদের ব্যবসায় উন্নতি করতে চান। গ্রোথ হ্যাকারদের সঙ্গে অন্যদের পার্থক্য হলো গো্রথ হ্যাকাররা এই কাজটা করার জন্য প্রতিদিনই নতুন নতুন কাস্টোমারের পেছনে হন্য হয়ে ঘুরে না। তারা বরং যে সকল কাস্টোমার এখন আছে তাদের পেছনে অনেক সময় ব্যয় করে। চট্টগ্রামের একটি ফ্যাশন হাউস নতুন কোন প্রোডাক্ট করলে ফেসবুকে সেটা প্রকাশ করার আগে তার নিয়মিত খদ্দেরকে ফোন দেয়, ফোন দিয়ে নতুন প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত বলে। এটা কিন্তু বলে না যে, “প্রোডাক্টের ছবি দিছি আমাদের পেজে, সেটা দেখে নেবেন”। বরং তারা প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত বলে এবং অনুমতি নিয়ে তাকে ই-মেইলে বা ইনবক্সে ছবি পাঠিয়ে দেয়। আর একটি ই-কমার্স স্টোরে কেউ যদি ফোন করে এমন প্রোডাক্ট নেই তার সম্পর্কে বলে তখন তারা খোঁজখবর নিয়ে সেটি যোগাড় করে দেয়! এটিই হলো গ্রোথ হ্যাকারদের মূল লক্ষ্য। যে লোক অন্তত একবার আমার পন্য বা সেবা নিয়েছে তার কাছে কিন্তু গল্প করার সময় অনেক কিছুই বলতে হয় না। এখানেই তাদের সফলতা যে তারা নতুন কাস্টমার এর পরিবর্তে পুরাতন কাষ্টমারদেরই অনেক বেশি মুনাফার জন্য কাজে লাগাতে পারে।
এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো – সারাক্ষনই নিক্তিতে নিজের পন্যকে যাচাই করা। অ্যারন গ্রিণ একবার রায়ান হলিডেকে বলেছেন, “পৃথিবীতে এমন কন পন্য বা সেবা নাই যেটিকে আরও উন্নত করা যায় না”। সোজা বাংলায় বলা চলে তুমি তোমার প্রোপাক্ট মার্কেট ফিট খুঁজে পেয়েছো বলে সেটাই তোমার চূড়ান্ত গন্তব্য নয় বা সেটা নিখুঁত। বরং সেটিকে আরও উন্নত করার অনেক উপায় রয়েছে। গুগর আর ফেসবুকের কথা ভাবো। এত্তো এত্তো ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে ওরা কী করে? সব প্রোডাক্টই টুইকিং যোগ্য এবং উন্নত হওয়ার অপেক্ষায় আছে।
মেইলবক্সের কথা আগে লিখেছি। সেটার কথা মনে আছো তো? তো, মেইলবক্সের গ্রোথ হ্যাকার সিন বিউসোলিল রিডরাইট ম্যাগাজিনে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “ তোমার বর্তমান পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, এটিকে আরও উন্নত করা সম্ভব”।
গ্রোথ হ্যাকাররা এটি জানে। এজন্য তারা নানামুখী তৎপরতা চালায়। এন্ডি জোনস টুইটারে জয়েন করার পর তার দায়িত্ব হয় নতুন নতুন গ্রাহক সৃষ্টি করা। কিন্তু প্রথমেই তাঁর নেতৃত্ব গ্রোথ হ্যাকাররা এমন একটা জিনিষ খুঁজে পেল যার সঙ্গে নতুন গ্রাহক খুঁজে পাওয়ার সংযোগ পাওয়া কঠিন। তারা দেখলো, টুইটার থেকে তার গ্রাহকদের কোন ই-মেইল পাঠানোর যে পদ্ধতি সেটা খুবই জটিল। সে সময়ে টুইটার কর্তৃপক্ষ যদি তার গ্রাহকদের একটা ই-মেইল পাঠাতে চায় তাহলে সবাইকে পাঠানোর জন্য তাদের মাত্র তিনদিন সময় লাগতো। এন্ড প্রথমে এই কাজের পেছনে লাগলেন, প্রোগ্রামারদের কাজ দিলেন এটা ঠিক করার জন্য। ফলাফল হলো – এখন টুইটার নোটিফিকেশন, এলার্, রিমাইন্ডার সহজেই পাঠাতে পারে। এর ফলে টুইটারের গ্রাহকদের সঙ্গে ইন্টারেকশ্যন বেড়েছে। গ্রাহকরাও আগের চেয়ে বেশি তৎপর হয়েছে। এই গল্প থেকে বোঝা যায় যে internal system patch করেও অনেক ভালো কিছু করা যেতে পারে।
হয়ত তোমার হোমপেজটি ঠিকমতো কাস্টোমার আকর্ষণ করতে পারছে না। হয়তোবা ৯৯ শতাংশ কাস্টোমার তুমি যে ভাবে শপিং চিন্তা করে সাইটটা সাজিয়েছো সেভাবে কেনাকাটা করতে পছন্দ করে না। হয়তো অনেক গ্রাহক সবকিছু ঠিকঠাক করে চেক-আউটের সময় সাইট পরিত্যক্ত করে চলে যাচ্ছে। অথবা তোমার স্যোসাল মিডিয়া টিম সময়মতো পোষ্ট দিচ্ছে না বা তোমার লোকেরা দোকানের ফ্লোরে সময়মতো প্রোডাক্ট রাখতে সক্ষম হচ্ছে না। সবকিছুরই ইমপ্রূভমেন্ট আছে। বাস্তবতা হচ্ছে তোমার প্রোডাক্টের কোন না কোন ব্রোকেন পয়েন্ট আছে! সেটা সারাই করতে না পারলে তুমি আসলে সেভাবে আগাতে পারবে না।
এই চিন্তার সঙ্গে সনাতনী মার্কেটারদের বিতর্ক আছে। কিন্তু গ্রোথ হ্যাকারদের এই মন্ত্রই আকড়ে থাকতে হবে।
মাইস্পেসের হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা স্মরণ করা যেতে পারে। শুরু থেকে মাইস্পেসে লগ-ইন করাটা একটা ঝামেলাপূর্ণ ব্যাপার ছিল। কিন্তু মাইস্পেস টিম সেটাতে পাত্তা না দিয়ে নতুন নতুন ফিচার এড করা আর মার্কেটিং-এ ব্যাপক সময় ও খরচ করে। কিন্তু লগ-ইন জটিলতা থেকেই যায়। যে সময় মাইস্পেস বাড়তে থাকে তকণ কিন্তু ফেসবুক সেভাবে বাজারে আসেনি। কিন্তু যখনই লোকে ফেসবুকের সহজ লগ-ইনের ব্যাপারটা জেনে যায় তখনই তারা দলে দলে মাইস্পেস ত্যাগ করে ফেসবুকে আসতে থাকে, যেমনটা তারা করেছিল ফ্রেন্ডস্টার ছেড়ে মাইস্পেসে আসার সময়। কাজে মাইস্পেস হয়ো না।
গ্রোথ হ্যাকারদের কর্তব্য হচ্ছে নির্মমভাবে incoming ট্রাফিকের
অপটিমাইজ করা। এরিক রাইজ তার দি লিস স্টার্টআপে একবাক্যে কথাটা বলেছেন, “ গ্রাহকদের ধরে রাখাই হবে মূল ফোকাস”। সনাতনী চিন্তা হলো কাস্টোমার কমে গেলে নতুন কাস্টোমার খোঁজা। কিন্তু গ্রোথ হ্যাকারদের চিন্তা এর বিপরীত, কেননা এটি অনেক বেশি সহজ।
এটি গ্রোথ হ্যাকারদের মানসিকচাপও কমিয়ে দেয়ে। রায়ান পোষাকুকুরে এয়ারবিএনবি ‘ডগবেকাই’ নিয়ে তার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। ভ্যাকেশনে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সময় ঘরের পোষাপ্রানীকে কোথায় রাখা হবে এটি নিয়ে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। এ থেকে পরিত্রাণের একটি মার্কেটপ্লেস হলো এই ডগবেকাই। এখান থেকে আপনি জানতে পারেন আপনার প্রতিবেশী বা কাছে কিনারে কেউ আছে কিনা যে ক’দিনের জন্য আপনার কুকুরটা রাখবে কিনা। রায়ান ও তার বান্ধবী একটি ব্লগ থেকে এই সাইট সম্পর্কে জানতে পেরে সেখানে নিবন্ধনের কাজ শুরু করে। কিন্তু মাঝপথে সেটি বাদ দিয়ে তারা চলে যায। তিনদিন পর রায়ান ডগবেকাই থেকে একটি কল পান। তারা আবার সময় নিয়ে রায়ানকে তাদের সার্ভিস সম্পর্কে বলে, রায়ানকে সাহায্য করে তার প্রোফাইল কমপ্লিট করার জন্য। এভাবে তারা একজন নতুন গ্রাহক পেয়ে যায়। অনেকের ধারণা হতে পারে এতো সময় নিয়ে একজন গ্রাহক ধরার সময় নাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রায়ান তাদের জন্য কতোটা কাজের হয়েছে তা যারা বইটি পড়েছে তারাই বলতে পারবে!
“বেসিক সার্ভিসটা ভখরমতো দেকলে নগদ ২৫০ মেগাবাইট ফ্রি স্পেস পাওয়া যাবে” ড্রপবক্সের এই অফারটিও তাই প্রোথ হ্যাকিং-এর বিস্তর কাজে লেগেছে।
সনাতনী মার্কেটারদের আপ্ত বাক্য হলো “আরও নতুন, আরও নতুন”। আর গ্রোথ হ্যাকারদের কথা হলো আগে যা আছে তাই নিয়ে “লেগে পড়ো”।
গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং-শেষ পর্ব: স্কেলিং রিটেনশন এন্ড অপটিমাইজেশন
গত পর্বে রায়ান একটি উদাহরণ দিয়েছেন যেটি অনেককে ভয় পাইয়ে দিতে পারে। এটি ছিল ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার সময় পোষা কুকুরকে ছেড়ে যাওয়ার একটি সার্ভিস সম্পর্কিত। রায়ান জানান তিনি একটি ব্লগ থেকে পড়ে ঐ কোম্পানি সম্পর্কে আগ্রহী হলেও তাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেননি। পরে তিনি সেখান থেকে ফোন পান এবং একজন লয়াল কাস্টোমারে পরিণত হোন।
এই উদাহরণের অর্থ কিন্তু এই নয় যে, সবাইকে সব সময় কাস্টোমারের জন্য ওয়ান-টু-ওয়ান ফোন করতে হবে। রায়ান আরও একটি উদাহলন দিয়েছেন। সেটি তার উবারের অভিজ্ঞতা। ২০১১ বা ২০১২ সালেই রায়ান উবারে নিবন্ধন করেন কিন্তু কখনো ব্যবহার করেননি। এর কয়েকবছর পরে, তিনি একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গিয়ে আবিস্কার করেন আয়োজকরা সবাইকে ৫০ টাকার উবার রাইড দিয়েছে উপহার হিসাবে। একদিন ক্যাব না পেয়ে তিনি প্রথমবারের মতো এপটি ব্যবহার করেন। একটি াল গাড়ি তাকে গন্তব্যে পৌছে দেন। তিনি অবাক হয়ে দেখলেন গাড়ি থেকে নামার পরও উবার তাকে এনগেজ করে রেখেছে। প্রথমে চেয়েছে তিনি যেন ড্রাইভারকে রেটিং দেন। পরে তার কাছে ই-মেইলে একটা কুপনও পাঠিয়েছে।
এই উদাহরণের অর্থ কিন্তু এই নয় যে, সবাইকে সব সময় কাস্টোমারের জন্য ওয়ান-টু-ওয়ান ফোন করতে হবে। রায়ান আরও একটি উদাহলন দিয়েছেন। সেটি তার উবারের অভিজ্ঞতা। ২০১১ বা ২০১২ সালেই রায়ান উবারে নিবন্ধন করেন কিন্তু কখনো ব্যবহার করেননি। এর কয়েকবছর পরে, তিনি একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গিয়ে আবিস্কার করেন আয়োজকরা সবাইকে ৫০ টাকার উবার রাইড দিয়েছে উপহার হিসাবে। একদিন ক্যাব না পেয়ে তিনি প্রথমবারের মতো এপটি ব্যবহার করেন। একটি াল গাড়ি তাকে গন্তব্যে পৌছে দেন। তিনি অবাক হয়ে দেখলেন গাড়ি থেকে নামার পরও উবার তাকে এনগেজ করে রেখেছে। প্রথমে চেয়েছে তিনি যেন ড্রাইভারকে রেটিং দেন। পরে তার কাছে ই-মেইলে একটা কুপনও পাঠিয়েছে।
এর কিছুদিন পরই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফেরৎ যান এবং একদিন ব্রুকলিনে ক্যাবের জন্য দাড়িয়ে থাকার সময় তার মনে হয়েছে, “উবার ডাকি না কেন?”। এভাবে উবার তার মতো একজন হারিয়ে যাওয়া গ্রাহককে একজন সক্রিয় ব্যবহারকারীতে পরিণত করেছে।
এই অভিজ্ঞতা এবার আমার ব্রাজিলে গিয়ে হয়েছে। যেখানেই যাওয়ার কথা ভেবেচি, সঙ্গে সঙ্গে মনে হয়েছে উবার তো আছে। আর মজার ব্যাপার হলো সেখানে উবার ড্রাইভারদের অনেকেই ইংরেজি জানে না এবং তাতে কোন সমস্যা হয় না!
যাকগে এ হলো রিটেনশন আর অপটিমাইজেশন। এটি হলো এমন একজনকে কাস্টোমারে পরিণত করা যাকে কাস্টোমার বানানোটা সহজ, একজন আগন্তুককে কাস্টোমার বানানোর চেয়ে!
বাংলাদেশে যারা আমরা উবারের মার্কেটিং লক্ষ করেছি, আমরা দেখেছি তাদের নতুন কাস্টোমার ধরার ব্যাপারে আগ্রহ খুবই কম। এখন পর্যন্ত প্রথম আলোতে উবারের কোন মলাট বিজ্ঞাপন দেখেছেন?
অথচ এখন প্রতিদিন কতো লোক উবার ব্যবহার করে? সংখ্যাটা বিশালই।
অথচ এখন প্রতিদিন কতো লোক উবার ব্যবহার করে? সংখ্যাটা বিশালই।
এই কাজটা কিন্তু মার্কেটিয়ার হিসাবে তোমার আওতার বাইরে নয়। যারা তোমার পণ্য সেবাতে আগ্রহী তাদের ই-মেইল, ফোন নম্বর সবই তো তোমার কাছে আছে। এগুলো নিয়েই তোমাকে আগাতে হবে। এমন কি তোমার কাছে আছে কাস্টোমার ডেটাবেসও। তাদের কাছে পন্য ও সেবা পৌছে দাও
বেইন এন্ড কোম্পানির হিসাবে ৫% কাস্টোমারকে ফিরিয়ে আনতে পারলে ৩০% মুনাফা বৃদ্ধি হতে পারে। আর মার্কেট বিশ্লেষনের হিসাবে একজন বিদ্যমান গ্রাহকের কাছে পুনরায় বিক্রি করতে পারার সম্ভাবনা হলো ৬০-৭০ ভাগ যেখানে নতুন লোকের কাছে গছাতে পারার চান্স হলো মাত্র ৫-২০%। এজন্য গ্রোথ হ্যাকার টিভির ব্রনসন টেইলরের কথা হলো, “রিটেনশন ট্রায়াম্প একুইজিশন’।
বেইন এন্ড কোম্পানির হিসাবে ৫% কাস্টোমারকে ফিরিয়ে আনতে পারলে ৩০% মুনাফা বৃদ্ধি হতে পারে। আর মার্কেট বিশ্লেষনের হিসাবে একজন বিদ্যমান গ্রাহকের কাছে পুনরায় বিক্রি করতে পারার সম্ভাবনা হলো ৬০-৭০ ভাগ যেখানে নতুন লোকের কাছে গছাতে পারার চান্স হলো মাত্র ৫-২০%। এজন্য গ্রোথ হ্যাকার টিভির ব্রনসন টেইলরের কথা হলো, “রিটেনশন ট্রায়াম্প একুইজিশন’।
গ্রোথ হ্যাকিং হলো আরওআই-এর ম্যাক্সিমাইজেশন। মানে হলো নিজেদের শ্রম ও টাকা এমন জায়গাতে খরচ করা যেখান থেকে ফলাফল পাওয়া যাবে। এমন ফিচার যোগ করো যাতে এখনকার কাস্টোমারদের থেকে তুমি বেশি কিছু পাও, সঙ্গে সঙ্গে পটেনশিয়া কাস্টোমারদের একটিভ কাস্টোমারে পরিণত করে। কাস্টোমারকে তোমার সেবা বা পন্য সম্পর্কে শিক্ষিত বানাও যেমনটা ফেসবু বা আমাজন করে। এতে তাদের আরও ব্যক্তিগত বিষয় বের করে আনো যা তাদেরকে তোমার সঙ্গে আরও বেশি এনগেজ করবে। আর এই ফাঁকে নতুনদের পেছনে দৌড়াও।
এই কথাগুলো মোটিএ কোন নতুন কথা নয়। গ্রোথ হ্যাকিং-এর অনেক আগে থেকেই এ কথা গুরো আমরা জানি। কারণ এটাই তো মানুষের অভিজ্ঞতা।
কে না জানে বনের দুইট পাখির চেয়ে হাতের একটি পাখি অনেক সম্পদশালী।
কে না জানে বনের দুইট পাখির চেয়ে হাতের একটি পাখি অনেক সম্পদশালী।
[রায়ান হলিডে’র গ্রোথ হ্যাকার মার্কেটিং আমার পড়া সবচেয়ে ছোট বই। এই বইটা পড়ার সময় আমি আবিস্কার করি আমার পড়ো পড়ো পড়ো বই লেখা ও বিপননের সময় যে পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করেছি সেগুলোর অপর নাম গ্রোথ হ্যাকিং। আমি সেজন্য বুঝলাম কেন আমার আত্মজীবনীর প্রথম খন্ড মাত্র ২ হাজারের বেশি কপি বিক্রি হয়েছে এবং এখনো নিয়মিত বিক্রি হয়। বইটা পড়ার সময় ঠিক করেছিলাম মূল অংশটা আমার পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করবো। তের পর্বে সেটা শেষ হলো।
প্রায় তিনমাস ধরে আমার সঙ্গে এই যাত্রায় থাকার জন্য আমার সকল পাঠককে আন্তরিক ধন্যবাদ। অবরিগাদো। ধন্যবাদ। ]
Original Link:
Original Link:
No comments:
Post a Comment