প্রথমেই বলা ভালো, আমি নিজে কোন সফল কেউ না বা সেই টাইপেরও কোন ব্যক্তি না। উদ্যোক্তা আর উদ্ভাবন নিয়ে কথা বলা পর্যন্তই দৌড় আমার, বাস্তবের দুনিয়াতে তেমন স্পর্শই নাই আমার। এই পোস্টটা গাই কাওয়াসাকিসহ আরও ২/৩জন স্টার্টআপ এনথুসিয়াস্টদের ভাবনা থেকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি।
ভালো ব্যবসা কাকে বলে? ১০ টাকার কোন কিছু ১ লাখ পিছ বিক্রি করে লাভবান হওয়া নাকি ১ লাখ টাকার কোন জিনিষ ১০ পিছ বিক্রি করে ব্যবসা করা, কোনটাকে ভালো ব্যবসা বলবেন? ভালো ব্যবসার মডেল আপনাকে দুটো প্রশ্নের সামনে দাড় করিয়ে দিবেই।
প্রথম প্রশ্ন, আপনার টাকা কার পকেটে আছে?
দ্বিতীয় প্রশ্ন, কিভাবে আপনি সেই টাকা আপনার পকেটে আনবেন?
দ্বিতীয় প্রশ্ন, কিভাবে আপনি সেই টাকা আপনার পকেটে আনবেন?
টাকা আয় আসলে সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে কাস্টমারের পকেট থেকে টাকা বের করা তো এভারেস্টেই চড়া। কাস্টমার হিসেবে নিজেকে দেখুন, কোন কিছু কেনার আগে কত চয়েস, কত দোকানে ঘোরা, কত ঘোড়ায় চড়াচড়ি, শেষপর্যন্ত কিছু একটা কেনা। কাস্টমার হচ্ছে দুনিয়ার সবচেয়ে বুদ্ধিমান হোমো স্যাপিয়েন্স, তাদের কাছ থেকে টাকা সরানো-সহজ বাংলায় লুট- করা কিন্তু কঠিন!

প্রথম প্রশ্নটি আসলে কে আপনার কাস্টমার, কার কাছ থেকে টাকা নেবেন; আর দ্বিতীয় প্রশ্নটি কিভাবে টাকা আয় করবেন সেই মেকানিজম-বিক্রয় সম্পর্কিত।
নতুন স্টার্টআপ কিংবা উদ্যোগের শুরুতে বিজনেজ মডেল কি হবে তা না ভেবে মাঠে নামলে বিপদ+ভোগান্তিতে পড়বেনই। এছাড়াও কাস্টমার আপনার কাছে আসবে সেটা না ভেবে সেবা বা পণ্যকে কিভাবে কাস্টমারের কাছে নিয়ে যাওয়া যায় তা ভাবতে পারেন।
বিজনেজ মডেল দাড় করানোর ক্ষেত্রে গাই কাওয়াসাকির তিনটে পরামর্শ অনুসরণ করা যেতে পারে।
স্পেসিফিক নিশ টার্গেট সেট করুন
আপনি যত ক্ষুদ্রভাবে আপনার কাস্টমার শ্রেনিকে ভাগ করতে পারবেন ততই আপনার ব্যবসা মডেল পরিষ্কার ভাবতে পারবেন। ফেসবুক কিন্তু আইভি লিগের ৪/৫টা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথমে ছিল, শেষ পর্যন্ত তা কোথায় এসে ঠেকেছে তা তো সবাই জানেন।
আমার পণ্যের কোটি কোটি গ্রাহক হবে, এটা কখনই ভাববেন না। মার্কেটিং দুনিয়াতে ‘ওয়ান পার্সেন্ট অব চাইনিজ মার্কেট’ বলে কিছু কথা আছে। দুনিয়ার যে কোন পণ্য চীনের এক শতাংশ জনসংখ্যা ব্যবহার করলেই তার মিলিয়ন ডলার রেভিনিউ আসবেই কিন্তু। এত বড় বাজারে নামার সাহস খুব কম কোম্পানিরই আছে, সেক্ষেত্রে নিশ মার্কেট ধরে ধরে এগোনোই ভালো।
আমার পণ্যের কোটি কোটি গ্রাহক হবে, এটা কখনই ভাববেন না। মার্কেটিং দুনিয়াতে ‘ওয়ান পার্সেন্ট অব চাইনিজ মার্কেট’ বলে কিছু কথা আছে। দুনিয়ার যে কোন পণ্য চীনের এক শতাংশ জনসংখ্যা ব্যবহার করলেই তার মিলিয়ন ডলার রেভিনিউ আসবেই কিন্তু। এত বড় বাজারে নামার সাহস খুব কম কোম্পানিরই আছে, সেক্ষেত্রে নিশ মার্কেট ধরে ধরে এগোনোই ভালো।
অন্যকে অনুসরণ করুন!
আধুনিক ব্যবসা দুনিয়ার বয়সও প্রায় ১০০ বছরের বেশি। অনেক রকম বিজনেজ মডেল নিয়ে দুনিয়ার নানান প্রান্তে নানান ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা কাজ করছেন। যে পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে চান তার মতই ব্যবসা কেউ না কেউ করছে বা প্রায় কিছুটা করে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে নতুন ব্যবসা মডেল তৈরিতে সময় বেশি নষ্ট না করে, প্রচলিত মডেলকে কিভাবে লোকালাইজেশন করা যায় সেদিকে নতুন করে ভাবতে পারেন। যেমন আপনি শরবত বিক্রি করার কিছু করতে চাইলে স্টারবাকসের মডেলকে আদর্শ ধরতে পারেন।
কোনটা খাবেন?
কেকের বড় টুকরো খাবেন, নাকি ছোট ছোট অনেকগুলো টুকরো খাবেন?
No comments:
Post a Comment