মেড টু স্টিক নামে দারুণ একটা বই পড়া শেষ করেছি এমাসেই। গ্রোথ হ্যাকিং, ডিজাইন থিংকিং নিয়ে যারা আগ্রহী তাদের পছন্দের প্রিয় দশ বইয়ের একটা এই বই। কিভাবে আইডিয়া যুগের পরে যুগ টিকে থাকে তা নিয়ে মনোবিশ্লেষণধর্মী মেড টু স্টিক বইটি। বইটা পড়েই জেনেছি কেন “আঙ্গুর ফল টক” গল্পের শেয়াল আর আঙ্গুরের কথা প্রাচীন গ্রীস থেকে শুরু করে সব ভাষার গল্পে খুঁজে পাওয়া যায় কেন!
বইটি পড়া শেষে গুগল করে How to Produce Better Content Ideas নামে একটা স্লাইড শোর খোঁজ পাই। ইদানিং ফেসবুকের চেয়ে বেশি সময় দিচ্ছি স্লাইডশেয়ারে, দিনে ২টা ভালো স্লাইডশো যদি একবার পাই, সেই দিন সেই রঙে কেটে যায়।
আজকে Mark Johnstone এর স্লাইডশোটা পুরোটা দেখেছি, সেই রকমের মুগ্ধতা দেখা যায়।
একমাস জিমে যাওয়ার পরে যদি সিক্স তৈরি না হয়, তাহলে দোষ কার? আপনার-আমার অমনোযোগিতাই কিন্তু! সেইভাবে কোন কিছু নিয়ে ৭ দিন কিংবা ৩০ দিন নতুন করে না ভাবলে নতুন আইডিয়া তৈরি হওয়ার কথা না কিন্তু!
স্লাইডশোর শেষ দিকে রেড বুলের একটা উদাহরণের কথা বলা আছে। রেড বুল তার বিজ্ঞাপন কিংবা কোন কিছুতেই কিন্তু ক্যাফিনেটেড পানি খেলে কি হবে, কিংবা রেড বুলের উপকারিতা কি তা নিয়ে ঘ্যানর-ঘ্যানর করে না। রেড বুল জীবনশক্তি, অ্যাড্রেনালিন রাশ আর সীমানার বাইরে জীবন নিয়ে যাওয়ার দর্শনকেই ভিত্তি করে ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি তৈরি করেছে।
আপনার পণ্য বা সেবা যাই থাকুক না কেন, তা নিয়ে কখনই কথা বলা যাবে না। আপনার আদর্শকেই মানুষ গ্রহণ করবে।
কয়েকদিন আগে কোথায় জানি পড়েছিলাম, আপনি গরু ব্যবসায়ী হলে কিভাবে ব্যবসা করবেন? গরুর বিজ্ঞাপন দেবেন? কখনওই না, গরুর মাংসের কালোভুনা বিষয়টা কি তা আপনার ক্রেতাদের বোঝান। এরপরে গরু তারা এমনিই কিনবে।
এমন আরও ২৪টা স্লাইডশো বুকমার্ক করে রেখেছি। “শেখা” বিষয়টা তেমন খারাপ না।
এখন বেশির ভাগ সময় মিডিয়ামেই চোখ থাকে। আর লিংকডইনের স্টুডেন্ট ভয়েসও টুকটাক পোস্ট দেয়াই এখন আসক্তি আমার।
No comments:
Post a Comment