আমি সম্ভবত পৃথিবীর শেষ মানুষদের একজন যার কাছে জীবন বেশ সহজ মনে হয়। আমি চিন্তা করি না, যে কারণে আমার কাছে কঠিন মনে হয় না জীবন। সম্প্রতি আমি বেশ কিছু বিষয় জেনেছি বা শিখেছে যা অনেক কিছু বদলে দিয়েছে।
যেভাবে আমরা চিন্তা করি, তা আমাদের জীবনের অলিগলি বদলে দিতে পারে। আপনি বড় রাস্তা হাঁটবেন না, অলিগলিতে হারিয়ে যাবেন-এটা নির্ভর করছে আপনার ওপর। হেলেন কেলারের একটা লাইন শেয়ার করতে পারি:
মানুষ চিন্তা করতে চায় না। যিনি চিন্তা করেন তিনি উপসংহারে পৌঁছান। আর উপসংহার সব সময় আনন্দের হয় না।
আমি ১৫টি উপায় বের করেছি যার মাধ্যমে যে কোনও মানুষের জীবন সহজ করা যাবে!
১: বড় চিন্তা কিন্তু ছোট কাজ
বড় কোন কাজ করতে চান? বড় কোন কোম্পানি দিতে চান? মানুষের জীবন বদলে দিতে চান? লাখ টাকা আয় করতে চান?-এত চিন্তা করে কি হবে? বড় চিন্তার জন্য আমরা বড় কিছু করার চেষ্টা করি। আসলে উল্টো করা উচিত। স্টিভ জবস কম্পিউটার সবার বাড়িতে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন, দিয়েছেন তো! তিনি চিন্তা করেছেন কম্পিউটারের দুনিয়া বদলে দিবেন, কাজ শুরু করেন বন্ধুর সাথে ছোট একটা গ্যারেজে। মুনশট বলে একটা বিষয় আছে। আপনি যদি চাঁদের দিকে ঢিল ছোড়েন তাহলে সেই ঢিল চাঁদে না পৌঁছালেও কাছাকাছি পৌঁছাবে। চাঁদে ঢিল দেয়া বড় চিন্তা কিন্তু, আবার ঢিলটা ছোট হতে হয় কিন্তু। আপনার লক্ষ্য বা চিন্তা যদি ছোট হয় তাহলে আউট-কাম বা ফলাফলও ছোট হবে।
বড় কোন কাজ করতে চান? বড় কোন কোম্পানি দিতে চান? মানুষের জীবন বদলে দিতে চান? লাখ টাকা আয় করতে চান?-এত চিন্তা করে কি হবে? বড় চিন্তার জন্য আমরা বড় কিছু করার চেষ্টা করি। আসলে উল্টো করা উচিত। স্টিভ জবস কম্পিউটার সবার বাড়িতে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন, দিয়েছেন তো! তিনি চিন্তা করেছেন কম্পিউটারের দুনিয়া বদলে দিবেন, কাজ শুরু করেন বন্ধুর সাথে ছোট একটা গ্যারেজে। মুনশট বলে একটা বিষয় আছে। আপনি যদি চাঁদের দিকে ঢিল ছোড়েন তাহলে সেই ঢিল চাঁদে না পৌঁছালেও কাছাকাছি পৌঁছাবে। চাঁদে ঢিল দেয়া বড় চিন্তা কিন্তু, আবার ঢিলটা ছোট হতে হয় কিন্তু। আপনার লক্ষ্য বা চিন্তা যদি ছোট হয় তাহলে আউট-কাম বা ফলাফলও ছোট হবে।
২: সব সমস্যা আসলে উত্তর বিহীন প্রশ্ন
আমরা জীবনে যখনই কোন সমস্যা দেখি, তখনই তার সমাধানে ব্যস্ত হয়ে যাই। এটা খুবই বাজে একটি ব্যস্ততা। সমস্যা মানেই দুশ্চিন্তা, যা জীবনকে কঠিন করে ফেলে। সব সমস্যার সমাধানে ছোটার কোন প্রয়োজন নেই, স্থির হয়ে বসে থাকাও একটা কৌশল। তো, সমস্যা হচ্ছে আসলে সাময়িক উত্তর বিহীন প্রশ্ন। তাই যেকোনো সমস্যা ধড়ফড় না করে স্থির থাকুন, উত্তর খুঁজুন।
আমরা জীবনে যখনই কোন সমস্যা দেখি, তখনই তার সমাধানে ব্যস্ত হয়ে যাই। এটা খুবই বাজে একটি ব্যস্ততা। সমস্যা মানেই দুশ্চিন্তা, যা জীবনকে কঠিন করে ফেলে। সব সমস্যার সমাধানে ছোটার কোন প্রয়োজন নেই, স্থির হয়ে বসে থাকাও একটা কৌশল। তো, সমস্যা হচ্ছে আসলে সাময়িক উত্তর বিহীন প্রশ্ন। তাই যেকোনো সমস্যা ধড়ফড় না করে স্থির থাকুন, উত্তর খুঁজুন।
৩: স্থির ভিতের ওপর সম্পর্ক গড়ে তোলুন
যে সম্পর্কগুলো অর্থ বা প্রভাবের মাধ্যমে গড়ে ওঠে তার ভবিষ্যৎ দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সম্পর্ক উন্নয়নে কৌশলী হতে হবে। টাকা দিয়ে খুব বেশিদিন সবার সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। ভালোবাসা বা শ্রদ্ধার মত শক্ত বিষয়গুলোর ওপর সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
যে সম্পর্কগুলো অর্থ বা প্রভাবের মাধ্যমে গড়ে ওঠে তার ভবিষ্যৎ দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সম্পর্ক উন্নয়নে কৌশলী হতে হবে। টাকা দিয়ে খুব বেশিদিন সবার সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। ভালোবাসা বা শ্রদ্ধার মত শক্ত বিষয়গুলোর ওপর সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
৪: জীবনের কোনকিছুই বিনে পয়সায় হতে পারে না
নিজেকে লাটিম ভাবুন। আপনি যত আস্তেই ঘুরুন না কেন আপনাকে প্রতিনিয়ত খরচ করতে হবে। বাসা ভাড়া, ইন্টারনেট চার্জসহ প্রতিটি শ্বাসের একটি আর্থিক অংক থাকে। জীবন হচ্ছে ব্যবসার মাঠ। যারা চালাক তারা নিজের সম্পদকে দারুণভাবে কাজে লাগায়। কখনও ভেবেছেন আপনার শ্বাসপ্রশ্বাসও আপনার সম্পদ!
নিজেকে লাটিম ভাবুন। আপনি যত আস্তেই ঘুরুন না কেন আপনাকে প্রতিনিয়ত খরচ করতে হবে। বাসা ভাড়া, ইন্টারনেট চার্জসহ প্রতিটি শ্বাসের একটি আর্থিক অংক থাকে। জীবন হচ্ছে ব্যবসার মাঠ। যারা চালাক তারা নিজের সম্পদকে দারুণভাবে কাজে লাগায়। কখনও ভেবেছেন আপনার শ্বাসপ্রশ্বাসও আপনার সম্পদ!
৫: সিদ্ধান্ত নিয়ে ভয় পাবেন না
অনেক সময়ই সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিপদ এড়ানোর চেষ্টা করি আমরা, আমরা আসলে তখন বেশ বড় ভুল করি। অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধের মাঠে গুলি না ছোড়া মানে সিদ্ধান্ত না নেয়া খুবই মারাত্মক কাজ। কোন কাজে অপেক্ষা করে সময় নষ্ট করে ধীরে ধীরে এগোনোর কোন মানে নেই। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। সিদ্ধান্ত কাজে আসলে ভালো, কাজে না আসলে ভুল হলে ব্যর্থতা স্বীকার করে সামনে এগিয়ে যান।
অনেক সময়ই সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিপদ এড়ানোর চেষ্টা করি আমরা, আমরা আসলে তখন বেশ বড় ভুল করি। অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধের মাঠে গুলি না ছোড়া মানে সিদ্ধান্ত না নেয়া খুবই মারাত্মক কাজ। কোন কাজে অপেক্ষা করে সময় নষ্ট করে ধীরে ধীরে এগোনোর কোন মানে নেই। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। সিদ্ধান্ত কাজে আসলে ভালো, কাজে না আসলে ভুল হলে ব্যর্থতা স্বীকার করে সামনে এগিয়ে যান।
৬: আজকের দিনের নেতৃত্ব দিন
কালকের জন্য নেতৃত্ব দিতে আমরা নিজেরা তৈরি হচ্ছি, অথচ আজকের দিনে নেতা বা কাজে লিড দেয়ার মানুষের সংকট হয়। দায়িত্ব আগামীকাল নেয়ার বদলে আজ নিতে শিখতে হবে।
কালকের জন্য নেতৃত্ব দিতে আমরা নিজেরা তৈরি হচ্ছি, অথচ আজকের দিনে নেতা বা কাজে লিড দেয়ার মানুষের সংকট হয়। দায়িত্ব আগামীকাল নেয়ার বদলে আজ নিতে শিখতে হবে।
৭: সৃজনশীলতা ফলাফলকে ত্বরান্বিত করে
শূন্য থেকে কিছু হতে চাইলে একটি মাত্র উপায় সবাইকে অনুসরণ করতে হয়, আর তা হলও কাজ। কাজের পুরো সিস্টেমে সৃজনশীলতার মাধ্যমে দ্রুত এগিয়ে গেলে প্রায় সব কিছুই সহজ হয়।
শূন্য থেকে কিছু হতে চাইলে একটি মাত্র উপায় সবাইকে অনুসরণ করতে হয়, আর তা হলও কাজ। কাজের পুরো সিস্টেমে সৃজনশীলতার মাধ্যমে দ্রুত এগিয়ে গেলে প্রায় সব কিছুই সহজ হয়।
৮: নিজেকে সেলসপার্সন ভাবুন
সবাই আসলে দিন শেষে সেলস-ম্যান বা বিক্রেতা। যখন প্রেম করছেন, তখন নিজেকে বিক্রি করেন আপনি। যখন চাকরির জন্য আবেদন করেন তখনও আপনি নিজেকে বিক্রি করেন। নিজেকে যখন বিক্রি করছেন তখন নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন, সঃ থাকুন ও টু দ্য পয়েন্ট থাকুন। যে মানুষটি আপনাকে পছন্দ করে না, তার জন্য সময় নষ্ট করবেন না।
সবাই আসলে দিন শেষে সেলস-ম্যান বা বিক্রেতা। যখন প্রেম করছেন, তখন নিজেকে বিক্রি করেন আপনি। যখন চাকরির জন্য আবেদন করেন তখনও আপনি নিজেকে বিক্রি করেন। নিজেকে যখন বিক্রি করছেন তখন নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন, সঃ থাকুন ও টু দ্য পয়েন্ট থাকুন। যে মানুষটি আপনাকে পছন্দ করে না, তার জন্য সময় নষ্ট করবেন না।
৯: নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চাইলে নিজের দক্ষতা বিকাশ করুন
নিজের ওপর বিশ্বাস না থাকলে সেই বিশ্বাস খোঁজার জন্য মটিভেশনাল ভিডিও, পোস্ট বা বই পড়ার দরকার নেই। নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায়, এবং কার্যকর উপায়, একটাই-তা হলও যা আপনি পারেন তা ভালোভাবে করে যাওয়া। সেই কাজটির জন্য নানান স্কিল অর্জন করার মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
নিজের ওপর বিশ্বাস না থাকলে সেই বিশ্বাস খোঁজার জন্য মটিভেশনাল ভিডিও, পোস্ট বা বই পড়ার দরকার নেই। নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায়, এবং কার্যকর উপায়, একটাই-তা হলও যা আপনি পারেন তা ভালোভাবে করে যাওয়া। সেই কাজটির জন্য নানান স্কিল অর্জন করার মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
১০: বন্ধুদের মূল্য দিন
আমরা সামাজিক প্রাণী। আমরা যখন একা থাকি, তখন আমার দ্রুত মৃত্যুর দিকে চলে যাই। আপনি যদি ভাবেন আপনার বন্ধু দরকার নেই, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন।
আমরা সামাজিক প্রাণী। আমরা যখন একা থাকি, তখন আমার দ্রুত মৃত্যুর দিকে চলে যাই। আপনি যদি ভাবেন আপনার বন্ধু দরকার নেই, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন।
১১: যা দেখেন তাই বিশ্বাস করবেনা
আমরা যখন আসলে ‘আমাকে দেখো, আমাকে দেখ’ এই দুনিয়াতে বাস করছি। এখানে সবাই ফেমাস হতে চায়, সবাই যা করে তাই সবাইকে দেখাতে চায়। প্রতিদিন যা-ই দেখুন না কেন, বিশ্বাস করবেন না। এই যে এত সাফল্যের গল্প, সবই বিশ্বাস করবেন না। ইউটিউবার্স, ইনস্টাগ্রাম মডেল-সবাই কি পারফেক্ট, তাই না? সবাই কিন্তু আমরা দেখি বাইরে থেকে। ভেতরের গল্পটা আলাদা কিন্তু।
আমরা যখন আসলে ‘আমাকে দেখো, আমাকে দেখ’ এই দুনিয়াতে বাস করছি। এখানে সবাই ফেমাস হতে চায়, সবাই যা করে তাই সবাইকে দেখাতে চায়। প্রতিদিন যা-ই দেখুন না কেন, বিশ্বাস করবেন না। এই যে এত সাফল্যের গল্প, সবই বিশ্বাস করবেন না। ইউটিউবার্স, ইনস্টাগ্রাম মডেল-সবাই কি পারফেক্ট, তাই না? সবাই কিন্তু আমরা দেখি বাইরে থেকে। ভেতরের গল্পটা আলাদা কিন্তু।
১২: সমালোচনা নিতে শিখুন
এই দুর্মূল্যের বাজারে কেউ ফ্রি কিছু দেয়? যখন কেউ সমালোচনা করেন, তা বোঝার চেষ্টা করুন। কখনই উইম্প হয়ে মরা ঠিক না, সমালোচনা থেকে শিক্ষা নিয়ে চ্যাম্প হতে হবে।
এই দুর্মূল্যের বাজারে কেউ ফ্রি কিছু দেয়? যখন কেউ সমালোচনা করেন, তা বোঝার চেষ্টা করুন। কখনই উইম্প হয়ে মরা ঠিক না, সমালোচনা থেকে শিক্ষা নিয়ে চ্যাম্প হতে হবে।
১৩: যদি আপনি শরীরের যত্ন নিতে না পারেন, তাহলে কোন কিছুরই যত্ন নিতে পারবেন আপনি
আপনি নিজের স্বাস্থ্যের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান করতে পারবেন না, কিন্তু নিজের যত্ন তো নিতে পারবেন। নিজের জন্য হেলদি খাবার ও ব্যায়ামে সময় দিন।
আপনি নিজের স্বাস্থ্যের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান করতে পারবেন না, কিন্তু নিজের যত্ন তো নিতে পারবেন। নিজের জন্য হেলদি খাবার ও ব্যায়ামে সময় দিন।
১৪: হ্যাপিনেস ইজ অ্যা চয়েস
আপনি আপনার চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন জীবনে কি করবেন আপনি। আপনি কিছু করতে চাইলে আপনি তা পারবেন। চিন্তা করতে হবে ইতিবাচক উপায়ে।
আপনি আপনার চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন জীবনে কি করবেন আপনি। আপনি কিছু করতে চাইলে আপনি তা পারবেন। চিন্তা করতে হবে ইতিবাচক উপায়ে।
১৫: কিছু তৈরি করুন তো
কিছু একটা তৈরি করা শিখুন। ফেসবুক বা ইউটিউবে কনজিউমার বা ব্যবহারকারী হিসেবে না বসে প্রডিউসার হউন।
কিছু একটা তৈরি করা শিখুন। ফেসবুক বা ইউটিউবে কনজিউমার বা ব্যবহারকারী হিসেবে না বসে প্রডিউসার হউন।
এখনও এই পোস্ট পড়ছেন? কাজ তাহলে কখন শুরু করবেন?
No comments:
Post a Comment