Pages

Thursday, June 13, 2019

সিদ্ধান্ত নেয়ার তিনটি কার্যকর উপায়


‘আপনি যে বন্ধু-বান্ধব বা সার্কেলে চলেন তাদের একজন একটু এদিক সেদিকের হলেই আপনার ভবিষ্যৎ ভয়ংকর’, এমন একটা লাইন প্রথম পড়ি টিম ফেরিসের ব্লগে।


আমরা কেন জানি কোন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পরে তা ছাড়তে চাই না। কিংবা কেউ ছেড়ে যেতে চাইলে, তাকে যেতে দিতে চাই না। কেউ যখন চলে যেতে চায়, তাকে যেতে না দেয়া একরকমের অন্যায়। অনেক কর্পোরেট অফিসে দেখা যায়, কেউ নতুন চাকরিতে চলে যেতে চাইলে তাকে যেতে দেয়া হয় না। নানা কারণে বাঁধা দেয়া হয়। এতে আসলে যে যেতে চায় তার যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি যে যেতে দিতে চায় না তারও ক্ষতি হয়। সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনে এগোতে চাইলে কাউকে না কাউকে ছেড়ে দিতে হবে।
আমি আসলে এই লেখাটি শুরু করেছিলাম কিভাবে সঠিক ও কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়া যায় তা নিয়ে লিখতে। আমি যে ব্যক্তিজীবনে খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারি ব্যাপারটা তেমন নয়। ডিসিশন মেকিংয়ের ওপর কিছু আর্টিকেল পড়েছি, তা থেকেই নিজের জন্য এ লেখাটা লিখছি।

সিদ্ধান্ত নেয়া একরকমের আর্ট। জীবনে চলার পথে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার দক্ষতা আয়ত্ত করতে হবে। বিশেষ করে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে আমরা ভীষণ অপটু। কখন কোথায় না বলতে হবে, সেটা জানি না অনেকেই।
ইয়েস-নো বা হ্যাঁ/না প্রশ্নে কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে তিনটি উপায় পাওয়া যায়। 

প্রথমটি হচ্ছে, যদি শতভাগ হ্যাঁ না হয় তাহলে বিষয়টিকে না বলতে হবে।যদি কিছুতে যদি আপনি শতভাগ হ্যাঁ না বলেন, তা আসলে না। ফিফটি-ফিফটি বলে আসলে কিছু নেই! ডিসিশন মেকিং ফ্রেমওয়ার্কে এটা প্রথম ধাপ। ডিসেম্বরে ঘুরতে যাবেন?, উত্তরে দেখি বলবেন না, হয় হ্যাঁ, না হলে না! এমন ক্ষেত্রে যদি দ্বিধায় থাকেন, তাহলে আপনার সিদ্ধান্তকে ১-১০ স্কেলে মার্কিং করুন। যদি সিদ্ধান্ত ৮ পয়েন্ট পায় তাহলে হ্যাঁ বলুন, নইলে না। ইস, বা ফিয়ার অব মিসিং আউট, এফওএমও টাইপের কোন প্রশ্ন তৈরি হলে সরাসরি ‘না’ বলুন।
‘আচ্ছা নৌকা কি জোরে দৌড়বে?: 

অদ্ভুত এই লাইনটা বিভিন্ন ব্লগে দেখা যায়। আমরা চলার পথে সব কিছুই গুরুত্ব দেই, আসলে যা ঠিক না। মনে করুন, আপনি ট্রেজার হান্টের কোন খেলা খেলছেন। পথে যা পাবেন তাই কি ব্যাগে নিয়ে গুপ্তধনের পেছনে ছুটবেন, নাকি যা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে ছুটবেন। এখানে অবশ্য একটা প্রশ্ন থাকে, কোনটি গুরুত্বপূর্ণ তা কিভাবে টের পাবো? সেই টের পাওয়ার সিক্সথ সেন্স আছে বলেই তো আমরা মানুষ। চলের পথে কোন পরিস্থিতি তৈরি হলে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আচ্ছা বিষয়টি কি আমাকে সামনে এগিয়ে চলতে সহায়তা করবে? যেমনটা ধরুন, কোন সম্পর্কে আপনি জোর করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু যা আসলে আপনাকে ধীর করে দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কি করবেন? প্রশ্ন করুন নিজেকে Will ‘this’ make the boat go faster?
আপনার লক্ষ্য, এগিয়ে চলা জীবনকে গতিশীল করবে যা তাই সিদ্ধান্ত নিন। জীবনে যা ধীর করে দেয়া তাকে সব সময় না বলুন।
কাগজে কলমে ভরসা রাখুন: 
যখনই কোন জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয় তখনই কাজ কলম নিয়ে ‘কেস’ লিখে ফেলুন। সম্ভাব্য সব পরিস্থিতি লিখে ফেলুন। নিজেই হয়ে উঠুন নিজের জীবনের স্ক্রিপ্ট রাইটার।


Original Writer & Post Credit

No comments:

Post a Comment

Disclaimer

Disclaimer: All the information on this website is published in good faith and for general information purpose only. Some content i...