টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিজ স্টোন। তাঁর জন্ম ১৯৭৪ সালের ১০ মার্চ, যুক্তরাষ্ট্রে। ১৪ মে, ২০১১ সালে ব্যবসন কলেজের সমাবর্তনে তিনি এ বক্তব্য দেন।
আজকে এখানে আসতে পেরে আমি খুব সম্মানিত বোধ করছি। গ্র্যাজুয়েটদের অনেক অভিনন্দন। তোমরা নিঃসন্দেহে বিশেষ কিছু অর্জন করেছ এবং তোমাদের যাত্রা মোটে শুরু হলো। যখন আমি ছোট্ট শিশু, তখন আমার মাকে বলেছিলাম, আমি বড় হয়ে ব্যবসনে একজন ব্যবসায়ী হতে যাব। কিছুটা অবিশ্বাস্যভাবেই আমি এখন এখানে দাঁড়িয়ে আছি তোমাদের সঙ্গে। এখানে আসার জন্য আমি আমার একান্ত নিজস্ব পথ বেছে নিয়েছিলাম। আজকে আমি তোমাদের সঙ্গে সুযোগ, সৃজনশীলতা, ব্যর্থতা ও সহানুভূতি সম্পর্কে চারটা গল্প বলব। এ গল্পগুলোর অন্তর্গত বোধ আমার ব্যবসা, আনন্দ এবং সাফল্যের দৃষ্টিভঙ্গিকে রঙিন করে তুলেছে।
প্রথম গল্পের বিষয়, সুযোগ:
আমার বয়স যখন ছয় থেকে দশ, তখন মা আমাকে বয় রেঞ্জার নামে একটা কর্মসূচিতে দিল। এটা বয়স্কাউটের পূর্ববর্তী পর্যায়। স্থানীয় মার্কিন আদিবাসীরা আমাদের আদর্শ ছিল। সেখানে আমরা এক ধরনের পুঁতি ও পালক দিয়ে মাথার মুকুট তৈরি করতাম। দড়িতে গিঁট দেওয়াসহ বিভিন্ন শারীরিক কৌশলও আমরা শিখেছিলাম। এসব করে আমার সময়ই হতো না সমবয়সীদের সঙ্গে বেসবল, ফুটবল, বাস্কেটবল ইত্যাদি খেলায় অংশ নেওয়ার। হাইস্কুলে উঠে আমি আমাদের ক্রীড়া দলে যোগ দিতে চাইলাম। কিন্তু বাস্কেটবল কোর্টের সব লাইন দেখে অবিশ্বাস্য রকমের আতঙ্কিত হতাম। খেলার নিয়মকানুনও বেশ কঠিন লাগত, যদিও সবার কাছে সেসব ছিল খুবই সহজ। আমার এই আতঙ্কের কারণে আমি কোনো দলেই সুযোগ পেলাম না। সে সময় আমি নিজেই এক ধরনের গবেষণা শুরু করলাম। দেখলাম, ‘ল্যাক্রোস’ নামের খেলাটা আমাদের স্কুলে খেলা হয় না। যদি কেউই খেলতে না জানে, তবে আমার মতো সবারই অসহায় অবস্থা হবে। তাই স্কুল প্রশাসনের কাছে গিয়ে বললাম, যদি কোচ ও শিক্ষার্থী জোগাড় করতে পারি, তবে কি আমি ল্যাক্রোস টিম শুরু করতে পারি? তারা রাজি হলো। ল্যাক্রোস টিম যাত্রা শুরু করল। যখন আমার আতঙ্ক কেটে গেল, তখন দেখা গেল এই খেলায় আমি খুবই ভালো করছি এবং একসময় আমি দলের অধিনায়ক হয়ে গেছি। এ অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে কী করে সুযোগ তৈরি করে নেওয়া যায়। কোনো কাজ করার জন্য যে সঠিক পরিস্থিতির দরকার, তার জন্য অপেক্ষা না করে তুমি নিজেই সেই পরিস্থিতি তৈরি করে নিতে পারো।
আমার বয়স যখন ছয় থেকে দশ, তখন মা আমাকে বয় রেঞ্জার নামে একটা কর্মসূচিতে দিল। এটা বয়স্কাউটের পূর্ববর্তী পর্যায়। স্থানীয় মার্কিন আদিবাসীরা আমাদের আদর্শ ছিল। সেখানে আমরা এক ধরনের পুঁতি ও পালক দিয়ে মাথার মুকুট তৈরি করতাম। দড়িতে গিঁট দেওয়াসহ বিভিন্ন শারীরিক কৌশলও আমরা শিখেছিলাম। এসব করে আমার সময়ই হতো না সমবয়সীদের সঙ্গে বেসবল, ফুটবল, বাস্কেটবল ইত্যাদি খেলায় অংশ নেওয়ার। হাইস্কুলে উঠে আমি আমাদের ক্রীড়া দলে যোগ দিতে চাইলাম। কিন্তু বাস্কেটবল কোর্টের সব লাইন দেখে অবিশ্বাস্য রকমের আতঙ্কিত হতাম। খেলার নিয়মকানুনও বেশ কঠিন লাগত, যদিও সবার কাছে সেসব ছিল খুবই সহজ। আমার এই আতঙ্কের কারণে আমি কোনো দলেই সুযোগ পেলাম না। সে সময় আমি নিজেই এক ধরনের গবেষণা শুরু করলাম। দেখলাম, ‘ল্যাক্রোস’ নামের খেলাটা আমাদের স্কুলে খেলা হয় না। যদি কেউই খেলতে না জানে, তবে আমার মতো সবারই অসহায় অবস্থা হবে। তাই স্কুল প্রশাসনের কাছে গিয়ে বললাম, যদি কোচ ও শিক্ষার্থী জোগাড় করতে পারি, তবে কি আমি ল্যাক্রোস টিম শুরু করতে পারি? তারা রাজি হলো। ল্যাক্রোস টিম যাত্রা শুরু করল। যখন আমার আতঙ্ক কেটে গেল, তখন দেখা গেল এই খেলায় আমি খুবই ভালো করছি এবং একসময় আমি দলের অধিনায়ক হয়ে গেছি। এ অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে কী করে সুযোগ তৈরি করে নেওয়া যায়। কোনো কাজ করার জন্য যে সঠিক পরিস্থিতির দরকার, তার জন্য অপেক্ষা না করে তুমি নিজেই সেই পরিস্থিতি তৈরি করে নিতে পারো।
সৃজনশীলতার গল্প:
হাইস্কুল শেষে কলেজে আমি শিল্পকলা বিষয়ে পড়তে লাগলাম। পাশাপাশি বেকন হিলের এক প্রকাশনা সংস্থায় একটা চাকরিও পেয়ে গেলাম। একদিন যখন পুরো আর্ট ডিপার্টমেন্ট দুপুরের খাবার খেতে বাইরে গেছে, তখন কম্পিউটারে আমি একটা বইয়ের প্রচ্ছদ ডিজাইন করে ফেললাম। অন্য প্রচ্ছদগুলোর সঙ্গে সেটাও অনুমোদন করার জন্য রেখে দিলাম। শিল্প পরিচালক নিউইয়র্ক থেকে ফিরলেন। প্রচ্ছদগুলো দেখার সময় আমারটা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কে করেছে? আমি জানালাম যে এটা আমার করা। তিনি ভীষণ অবাক হলেন। শুধু যে আমার প্রচ্ছদটাই নির্বাচিত হলো তা না, আমাকে বইয়ের প্রচ্ছদ পরিকল্পনার চাকরির প্রস্তাব করা হলো। একজন বিশিষ্ট মানুষের সঙ্গে কাজ করতে পারার দারুণ সুযোগ পেয়ে গেলাম। তাই আমি একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিলাম — কলেজ ছেড়ে কাজ শেখার এই দুর্লভ সুযোগকে কাজে লাগালাম। এভাবেই আমার গ্রাফিক ডিজাইন শেখা শুরু। এ শেখাটাই আমাকে নতুন ধরনের চিন্তার জগতে নিয়ে এল। কখনো ভেবো না, তোমার মধ্যে সৃষ্টিশীলতা নেই। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই এ সম্পদটা আছে।
হাইস্কুল শেষে কলেজে আমি শিল্পকলা বিষয়ে পড়তে লাগলাম। পাশাপাশি বেকন হিলের এক প্রকাশনা সংস্থায় একটা চাকরিও পেয়ে গেলাম। একদিন যখন পুরো আর্ট ডিপার্টমেন্ট দুপুরের খাবার খেতে বাইরে গেছে, তখন কম্পিউটারে আমি একটা বইয়ের প্রচ্ছদ ডিজাইন করে ফেললাম। অন্য প্রচ্ছদগুলোর সঙ্গে সেটাও অনুমোদন করার জন্য রেখে দিলাম। শিল্প পরিচালক নিউইয়র্ক থেকে ফিরলেন। প্রচ্ছদগুলো দেখার সময় আমারটা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কে করেছে? আমি জানালাম যে এটা আমার করা। তিনি ভীষণ অবাক হলেন। শুধু যে আমার প্রচ্ছদটাই নির্বাচিত হলো তা না, আমাকে বইয়ের প্রচ্ছদ পরিকল্পনার চাকরির প্রস্তাব করা হলো। একজন বিশিষ্ট মানুষের সঙ্গে কাজ করতে পারার দারুণ সুযোগ পেয়ে গেলাম। তাই আমি একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিলাম — কলেজ ছেড়ে কাজ শেখার এই দুর্লভ সুযোগকে কাজে লাগালাম। এভাবেই আমার গ্রাফিক ডিজাইন শেখা শুরু। এ শেখাটাই আমাকে নতুন ধরনের চিন্তার জগতে নিয়ে এল। কখনো ভেবো না, তোমার মধ্যে সৃষ্টিশীলতা নেই। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই এ সম্পদটা আছে।
আমার তৃতীয় গল্পের বিষয় ব্যর্থতা:
১৯৮৭ সালে একটা জার্মান রোমান্টিক ফ্যান্টাসি সিনেমা দেখেছিলাম। নির্দেশক ছিলেন উইম ওয়েনডার্স। এই সিনেমার আমেরিকান ভার্সনটা হলো উইংস অব ডিজায়ার। কাহিনির সময়টা ১৯৮০-র দশক, যখন পশ্চিম বার্লিনে গৃহযুদ্ধ প্রায় শেষ। দুজন দেবদূতকে (ক্যাসেল ও ড্যামিয়েল) রাখা হয়েছে বার্লিন শহরের দিকে খেয়াল রাখার জন্য। মানুষজন ও শহর গড়ে ওঠার আগে থেকেই তারা সেখানে ছিল। তাদের মৃত্যু নেই। সেখানকার জনগণের চিন্তাভাবনা বোঝা, কথা শোনা এসবই ছিল তাদের কাজ। কিন্তু তারা বাস্তবজগতে ছিল অদৃশ্য, কেউ তাদের দেখতে পেত না বা তাদের কথাও শুনতে পেত না। সবকিছুই তো আর পরিকল্পনামতো চলে না। একসময় ড্যামিয়েল এক প্রতিভাসম্পন্ন, সুদর্শনা সার্কাস আর্টিস্ট ম্যারিওনকে ভালোবেসে ফেলে। তার চিন্তায় বারবার আনাগোনা করতে থাকে মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার অনুভূতি কেমন হতে পারে। একদিন অবিশ্বাস্য একটা কাজ করে ফেলে সে। তার অসীম অমর জীবন ত্যাগ করে একা পৃথিবীতে চলে আসে। বহু ত্যাগ স্বীকারের পর ম্যারিওনকে পায়। আমার তৃতীয় উপদেশ অনেকটা ড্যামিয়েলের সিদ্ধান্তের মতো। কোনো আকর্ষণীয় সাফল্য অর্জনের জন্য তোমাকে অবশ্যই তৈরি থাকতে হবে আকর্ষণীয় কোনো ব্যর্থতার জন্য। লক্ষ্য অর্জনে মৃত্যুর জন্য হাসিমুখে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি বলছি না তোমাদের সত্যিই মরতে হবে। আমার কথার মানে হলো, ব্যর্থতাকে সহজভাবে মেনে নিতে হবে।
১৯৮৭ সালে একটা জার্মান রোমান্টিক ফ্যান্টাসি সিনেমা দেখেছিলাম। নির্দেশক ছিলেন উইম ওয়েনডার্স। এই সিনেমার আমেরিকান ভার্সনটা হলো উইংস অব ডিজায়ার। কাহিনির সময়টা ১৯৮০-র দশক, যখন পশ্চিম বার্লিনে গৃহযুদ্ধ প্রায় শেষ। দুজন দেবদূতকে (ক্যাসেল ও ড্যামিয়েল) রাখা হয়েছে বার্লিন শহরের দিকে খেয়াল রাখার জন্য। মানুষজন ও শহর গড়ে ওঠার আগে থেকেই তারা সেখানে ছিল। তাদের মৃত্যু নেই। সেখানকার জনগণের চিন্তাভাবনা বোঝা, কথা শোনা এসবই ছিল তাদের কাজ। কিন্তু তারা বাস্তবজগতে ছিল অদৃশ্য, কেউ তাদের দেখতে পেত না বা তাদের কথাও শুনতে পেত না। সবকিছুই তো আর পরিকল্পনামতো চলে না। একসময় ড্যামিয়েল এক প্রতিভাসম্পন্ন, সুদর্শনা সার্কাস আর্টিস্ট ম্যারিওনকে ভালোবেসে ফেলে। তার চিন্তায় বারবার আনাগোনা করতে থাকে মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার অনুভূতি কেমন হতে পারে। একদিন অবিশ্বাস্য একটা কাজ করে ফেলে সে। তার অসীম অমর জীবন ত্যাগ করে একা পৃথিবীতে চলে আসে। বহু ত্যাগ স্বীকারের পর ম্যারিওনকে পায়। আমার তৃতীয় উপদেশ অনেকটা ড্যামিয়েলের সিদ্ধান্তের মতো। কোনো আকর্ষণীয় সাফল্য অর্জনের জন্য তোমাকে অবশ্যই তৈরি থাকতে হবে আকর্ষণীয় কোনো ব্যর্থতার জন্য। লক্ষ্য অর্জনে মৃত্যুর জন্য হাসিমুখে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি বলছি না তোমাদের সত্যিই মরতে হবে। আমার কথার মানে হলো, ব্যর্থতাকে সহজভাবে মেনে নিতে হবে।
সহানুভূতি: আমার চতুর্থ গল্প
মানুষকে বুঝতে পারা ও তার অনুভূতিগুলো ভাগ করে নেওয়াই হলো সহানুভূতি। আমাদের প্রায় সবার মধ্যেই এই গুণটা থাকলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ কীভাবে হতে পারে তা আমরা অনেকেই জানি না। ১০ বছর ধরে আমি বড় পরিসরে সামাজিক যোগাযোগ প্রসারের পরিকল্পনা করছি। যেমনটা হচ্ছে এখনকার সময়ে টুইটার। নিজে বিত্তশালী হওয়ার পরে অন্যকে সাহায্য করতে হবে — এমনটা ভাবা ঠিক নয়। ডোনার চুজ সংস্থার মাধ্যমে আমি ও আমার স্ত্রী বেশ অনেক বছর ধরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে আসছি। এর মূল্য যদিও অনেক কম, তবে প্রতিদান অনেক বেশি। আমরা ছোট্ট শিশুদের হাতে লেখা ধন্যবাদসূচক প্রচুর চিঠি পাই। এগুলো সত্যিই অনেক মূল্যবান।
মানুষকে বুঝতে পারা ও তার অনুভূতিগুলো ভাগ করে নেওয়াই হলো সহানুভূতি। আমাদের প্রায় সবার মধ্যেই এই গুণটা থাকলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ কীভাবে হতে পারে তা আমরা অনেকেই জানি না। ১০ বছর ধরে আমি বড় পরিসরে সামাজিক যোগাযোগ প্রসারের পরিকল্পনা করছি। যেমনটা হচ্ছে এখনকার সময়ে টুইটার। নিজে বিত্তশালী হওয়ার পরে অন্যকে সাহায্য করতে হবে — এমনটা ভাবা ঠিক নয়। ডোনার চুজ সংস্থার মাধ্যমে আমি ও আমার স্ত্রী বেশ অনেক বছর ধরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে আসছি। এর মূল্য যদিও অনেক কম, তবে প্রতিদান অনেক বেশি। আমরা ছোট্ট শিশুদের হাতে লেখা ধন্যবাদসূচক প্রচুর চিঠি পাই। এগুলো সত্যিই অনেক মূল্যবান।
পৃথিবীতে সবাই আমরা একসঙ্গে থাকি, একজন অন্যজনের ওপর নির্ভর করি। যখন আমরা একে অপরকে সাহায্য করি, পরোক্ষভাবে নিজেদেরই সাহায্য করা হয়। তাই আমার সর্বশেষ উপদেশ হলো, তুমি যত তাড়াতাড়ি অন্যদের প্রতি তোমার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া শুরু করবে, তুমি তোমার জীবনে তত বেশি এর প্রতিদান পাবে।
সবশেষে আমি তোমাদের প্রত্যেককে বলছি, তোমরা নিজেরা নিজেদের সুযোগ তৈরি করো, তোমাদের ভেতরকার অসীম সৃজনশীলতাকে জাগিয়ে তোলো, ব্যর্থতাকে সহজভাবে গ্রহণ করো এবং সহানুভূতিশীল হও। নিজেকে জ্ঞান ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণে গড়ে তোলো। এতে তুমি শুধু পৃথিবীকেই বদলাবে না, তুমি নিজেও আনন্দ পাবে এবং থাকবে প্রশান্তিতে। আমি তোমাদের জন্য গর্বিত। ধন্যবাদ।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: মারুফা ইসহাক
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: মারুফা ইসহাক
No comments:
Post a Comment