Pages

Wednesday, April 17, 2019

পণ্যের প্রাইসিং ও মার্কেট পজিশনিং

পণ্যের প্রাইসিং ও মার্কেট পজিশনিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক উদ্যোক্তা প্রাইসিং ও মার্কেট পজিশনিং প্রপারলী না করতে পারার কারণে সেলস বৃদ্ধি করতে পারেনা এবং মার্কেট আউট হয়ে যায়। বিস্তারিত লিখতে গেলে লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে। তাই, প্রাইসিং ও পজিশনিং নিয়ে সংক্ষিপ্ত টিপস দেওয়ার চেষ্টা করবো।

প্রাইসিং ষ্ট্রাটেজিকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১ নং ঘরে দেখা যাচ্ছে পণ্যের প্রাইস হাই কিন্তু কোয়ালিটি নেই। এ ধরণের মার্কেট কে বলা হয় Opportunistic Market. অনেকটা সুযোগসন্ধানী ব্যবসা বলা যায়। Opportunistic Market এ সাধারণত রিপিট কাষ্টমার খুব কম থাকে। প্রতিনিয়ত নতুন কাষ্টমার থাকার কারণে পন্যের কোয়ালিটিতে নজর না দিয়ে উচ্চমূল্যের দিকে নজর দেওয়া হয়। যে যেভাবে পারে কাষ্টমারের গলা কেটে দাম রাখে। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়, হাই ওয়ে রেষ্টুরেন্ট, বাস টার্মিনাল, রেল ষ্টেশন, লঞ্চ/ষ্টিমারের ভেতর এমকি বাংলাদেশে জানুয়ারীতে হওয়া বানিজ্যমেলার ফুডকোর্ট গুলো Opportunistic Market এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

২ নং ঘরে দেখা যাচ্ছে প্রাইস ও কোয়ালিটি দুটোই কম। এ ধরণের মার্কেট কে বলা হয় ওয়ানটাইম মার্কেট। যেসব পণ্য সাধারণত একবারই ব্যবহার করা হয় বা অল্প সময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন, বাচ্চাদের খেলনা, ওয়ানটাইম গ্লাস, প্লেট ইত্যাদি।

৩ নং ঘরটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কোয়ালিটি হাই থাকে কিন্তু প্রাইস থাকে কম। লংটাইম ব্যাবসা করার ইচ্ছে আছে এবং লয়েল কাষ্টমার তৈরীর ইচ্ছে আছে এমন কোম্পানিগুলো সাধারণত পণ্যের কোয়ালিটি ঠিক রেখে প্রফিট মার্জিন কম রেখে সেল করে। এই মার্কেট কে বলা হয় ভ্যালু ফর মানি। যেমন, কনজ্যুমার গুডস, মোবাইলের সিম ইত্যাদি।

৪ নং ঘরটা প্রাইস ও কোয়ালিটি বোথ হাই। এটাকে বলা হয় প্রিমিয়াম মার্কেট। এ ধরণের পণ্য সর্বসাধারণের জন্য না বরং নিদ্দিষ্ট কিছু কাষ্টমারকে টার্গেট করে মার্কেট পজিশনিং করা হয়। যেমন, গুচির একটা লেডিস হ্যান্ড ব্যাগ ৬৫-৭০ হাজার টাকা প্রাইস। এটা সবাই কিনবে না বা প্রতিদিন কিনবে না কেউ। এজন্য কোয়ালিটি ঠিক রেখে প্রফিট মার্জিন এত হাই রাখা হয় যাতে মাসে ৫/১০ টা সেল হলেই একটা শো-রুম প্রফিটে থাকতে পারে।
যাই হোক, বিস্তারিত লিখলে অনেক বড় হবে তাই খুবই ছোট করে বোঝানোর চেষ্টা করলাম। এবার আপনি ঠিক করুণ আপনার পণ্য কি ধরণের। কোন ঘরের সাথে মিলে যায়। তার পর প্রাইস ঠিক করুণ এবং মার্কেট পজিশনিং পরিকল্পনা করুণ। আশা করি আপনার ব্যবসার J কার্ভ হাই হবে।

Thursday, April 11, 2019

Recommendations from storytelling experts


Entrepreneurs and visionaries are always pitching, sharing their vision and wander keeping in mind the end goal to secure subsidizing, make a deal, meet another contact, and work out their group. Strategies for success are come down to projectiles, and financials get to be remembered insights. Despite the fact that these components are indispensable critical to an effective pitch, the genuine power originates from recounting a convincing account story.

How might you transform a pitch into a connecting with the story that inspires your gathering of people to trust in your vision? What does it take to make a story sing? Here are a few proposals from narrating specialists:

Make “Your” Story
Each story needs a starting, center, and end that leaves the gathering of people educated about your energy and the move you’re making. Keep in mind that compassion is the thing that gets the gathering of people, so fabricate that feeling of sympathy as you recount the story. It’s regularly simplest when the storyteller/business visionary stars as the hero, however attempt to move the client into that part right off the bat in your pitch. It’s more relatable for the crowd, and more inclined to get them snared.

Advance Stories With Data
Stories and information can and ought to cooperate. Stories set the setting for a pitch and for your crowd’s involvement, so implant the information into the contribute a way that expands and backings the story line.
Relate to Your Customer

The best organizations are those that take care of a client’s issue, yet the arrangement doesn’t need to be ostentatious or refined to make for a decent story. In the event that you comprehend the torment focuses for your particular client and relate to them particularly, will probably motivate them to purchase.

Build up A Deep Bench!
Business visionaries need more than one go-to story, in light of the fact that no two pitching situations or groups of onlookers are the same. Here are a couple story lines that business people need to ace about their endeavors:

Beginning Story
This is your why, not the what or how. Why do you exist? What’s at your center?

Center Team
How did you meet each other? How were the associations between colleagues shaped? How could you find you required each other?

Clients and Stakeholders – Why would it be advisable for them to think about this wonder? Who else do you have to bring on your adventure?

Short, Medium, and Long – Crafting a succinct pitch is a test, yet the key components—why you’re included and why your clients are included—remain the same. This is best done in a story, simply make sure to rapidly move to the arrangement.

Energize Questions!
A decent question is superior to a splendid reply. The absolute most significant input for a business visionary can come as inquiries regarding their story.

I find this tips from a blog post of Babson College.


Monday, April 8, 2019

ইমোশনাল মার্কেটিং-১৩ : টার্গেট যখন নারী

{ Pingback: ইমোশনাল মার্কেটিং-১১ : চাই সঠিক কৌশল-৪ – ব্যাক টু দ্যা ফিউচার }



বিশ্বে যা কিছু  মহান চির কল্যানকর
অর্ধেক তার আনিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
-কাজী নজরুল ইসলাম

কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতাটি বিশ্বের সব মার্কেটারের মুখস্ত রাখতে হয়। কারণ, যে কোন প্রোডাক্ট মার্কেটিং-এর সময় মাথায় রাখতে হয় ইচ্ছে করলেই সব নারীকে, বা অভিষ্ট নারীকে ক্যাম্পেইনে অন্তর্ভূক্ত করা সহজ নয়। কঠিন কাজ। সেটি আমাদের দেশে যেমন জটিল তেমনি বিদেশেও।

তবে, মেয়েদের আবেগকে সামনে রেখে নানা ভাবে মার্কেটাররা তাদের ক্যাম্পেইন ঠিক করেন। এ ব্যাপারটা বোঝা যাবে, বিশেষ করে শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন দেখলে। মনে রাখা দরকার অন্যান্য বিউটি পণ্যের চেয়ে শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন কঠিন। কারণ শুরুতে শ্যাম্পু মোটেই কোন বিউটি প্রোডাক্ট ছিল না। ছিল ওষুধের কারবার। কালক্রমে যখন শ্যাম্পু বিউটি পন্য হিসাবে নিজের জায়গা করে নিল তখন থেকে শ্যাম্পুর বাজার ধরার জন্য আবেগের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হয়েছে।

যারা শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন তৈরি করে তারা সবাই কিন্তু জানে শ্যাম্পু আসরে চুল পরিস্কার করার বাইরে আর কিছুই করতে পারে না। যতোই আপনি এনিমেশন করেন আর নায়িকাদের মডেল বানান। দিনশেষে শ্যাম্পু আসলে এক ধরণের ডিটারজেন্ট মাত্র।

তো, এমন একটা পন্য যদি বিক্রি করতে হয় তাহলে সেখানে আবেগের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে, সেটা বলা বাহুল্য। আর সেটাকে দেখাতে হবে নানান ভাবে।

শ্যাম্পুওয়ালার এটা শুরু করে সাইকোলজি থেকে। ২০০৯ সালে লা ফ্রান্সে প্রকাশিত “ফার্স্ট ইমপ্রেসন এন্ড হেয়ার ইমপ্রেসনে’ চুলের বাহারের সঙ্গে পুরুষ ও নারীকে বিশেষভাবে সম্পর্কিত করা হয়েছে। যেমন মেয়েদের বেলায় বলা হচ্ছে ছোট কিন্তু মজবুত চুলের অধিকারিনী (যেমন অভিনেত্রী মেগি রায়ান) হবেন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, আর সেক্সি মেয়েদের চুল হবে লম্বা, সোজা এবং ব্লন্ড। আর বুদ্ধিমতী ও ইজি গোইং-রা এর মাঝামাঝি। অন্যদিকে আত্মবিশ্বাসী, সেক্সী কিন্তু স্বর্থপর পুরুষদের চুল ছোট করে কাটা থাকে। লম্বা চুলের অধিকারী হিপ্পিদের ধরা হয় আকাইম্যা, কোন কাজের না। আর যথারীতি বুদ্ধিমানরা থাকে এ দুইয়ের মাঝখানে। মার্কেটাররা যখন তাদের কোন প্রোডাক্টকে বাজারে নিয়ে যায় তখন এর মধ্যে একটাকে টার্গেট করে।

CLICK HERE FOR ORIGINAL LINK

ইমোশনাল মার্কেটিং-১১ : চাই সঠিক কৌশল-৪ – ব্যাক টু দ্যা ফিউচার

ইমোশনাল মার্কেটিং-১০ : চাই সঠিক কৌশল-৩

ইমোশনাল মার্কেটিং-৯ : চাই সঠিক কৌশল-২

ইমোশনাল মার্কেটিং-৮ : চাই সঠিক কৌশল-১

ইমোশনাল মার্কেটিং ৬: দুঃসংবাদ বাতাসের আগে ধায়???

ইমোশনাল মার্কেটিং-৫ : কেন কাজ করে? কেনু?

ইমোশনাল মার্কেটিং-৪ : হাটি হাটি পায়ে পায়ে দেখো না

ইমোশনাল মার্কেটিং-৩ : আবেগের আমি , আবেগের তুমি, আবেগ দিয়ে যায় চেনা

{Pingback: ইমোশনাল মার্কেটিং-২: লাইক এ গার্ল }


ইমোশনাল মার্কেটিং-৩ : আবেগের আমি , আবেগের তুমি, আবেগ দিয়ে যায় চেনা



আচ্ছা, এই লেখাটা পড়ার সময় আপনার মনের অবস্থা কেমন, একটু ভাববেন।



লেখার সময় আমার মনে অবস্থাটা বলতে পারি।আজ ১৯ অক্টোবর, ২০১৮। শুক্রবার। ছুটির দিনে এমনিতেই রিলাক্স থাকি। ছুটির দিনে আমি সকালের নাস্তাতে দুইটি পরোটা খেতে পারি। এজন্য সকাল থেকে আমার মনটা ফুরফুরে থাকে। অন্যান্য দিন আমার নাস্তা হয়ে যায় ভোরে ভোরে, কিন্তু শুক্রবার সেটি ৯টার পর। কাজেই, এখন আমি নাস্তা না করেই লিখছি। কিন্তু ফুরফুরে ভাব টা নাই। মন একটু খারাপ কারণ গতকাল আমাদের ছেড়ে গেছেন আমাদের সবার প্রিয় আইয়ুব বাচ্চু। গতকাল সকালে যখন খবরটা শুনেছি, তখন বিশ্বাসই হয়নি। সেটার জের টেনেছি দিনভর, যদিও নানা ব্যস্ততাতেই দিন কেটেছে। একটি নতুন প্রজেক্টের ধারণাপত্রও গতকাল একসেপ্ট হয়েছে। অন্যদিকে গতকালই আমাদের স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক প্রথম আলো আন্তস্কুল ও কলেজ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত মহড়া ছিল। সেটাতে একবার মাত্র লগ-ইন করেছি। তাই পুরোটা খেয়াল করতে পারিনি। ভোরবেলায় জেনেছি ৫৩২টা এনটিটির ২২০০+ সাবমিশন। এটি একটি ওয়াও পরিসংখ্যান। সকালবেলা তাই আমার মন ভাল এবং খারাপের দোটানায়। কিন্তু, আইয়ুব বাচ্চুর কারণে মন খারাপটাই বেশি। কান্নাও পাচ্ছে। এখন যদি তার ছোটভাই, আমার স্কুল জীবনের বন্ধু ফোন করে তাহলে আমি ঠিকই কেঁদে দেবো। হয়তোবা কবি শেলীর কথাটাই ঠিক, “Our sweetest songs are those that tell of saddest thought.” এ যেন – বিষাদ ছুঁয়েছে আজ, মন ভাল নেই। ঠিক আবার আমার ভালও লাগছে, কারণ গতরাত থেকে আমার এই বই-এর কাজটাও একটা গতি পেয়েছে। সবটা নিয়েই এ মূহুর্তে আমার ইমোশন।

বাংলা উইকিপিডিয়ার ভাষায়, “আবেগ-কে সংজ্ঞায়িত করা কঠিন। আবেগকে অনেকে অনুভূতির সমার্থক ধরে নেয়। যদিও অনুভূতি শারিরীক ও মানসিক দুইই হতে পারে। আবেগ মূলতঃ মানসিক। এটা এমন একটি মানসিক অবস্থা যা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই উদ্ভূত হয়; সচেতন উদ্যম থেকে নয়। এর সঙ্গে মাঝে মাঝে শারিরীক পরিবর্তনও প্রকাশ পায়। সেক্ষেত্রে আবেগকে বলা যায় অনুভূতির উৎস। আবার শারীরিক ভাবে বলতে গেলে মসৃণ পেশী এবং বিভিন্ন গ্রন্থির কারনে শরীরের অন্তর্নিহিত পরিবর্তনই হল আবেগ ৷ সামগ্রিকভাবে, চেতনার যে অংশ অনুভূতি বা সংবেদনশীলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত তাকে আবেগ বলা যায়। আবেগ(Emotion) শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ Emovere থেকে”। ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় আর একটু বিস্তারিত আছে। বলা হচ্ছে মনের সচেতন অবস্থার কারণেই একগুচ্ছ মানসিক তৎপরতা যার মূল হতে পারে আনন্দ (Pleasure) বা অসস্ততি (Displeasure)। অন্য ১০টা সাইকোলজিক্যাল বিষয়ের মতো আবেগের সংজ্ঞাতেও বিশেষজ্ঞরা একমত নন। কাজে আমরা ঐ লাইনে না যাই। আমার মনের অবস্থার বিস্তারিত বিবরণ থেকে আমরা সরাসরি মৌলিক ইমোশন বা আবেগে চলে যেতে পারি। মোটামুটি জয়টি আবেগকে মৌলিক আবেগ ধরা হয়– সুখ (Happiness), বিষন্নতা (Sadness), ভয় (Fear), রাগ (Anger),  বিস্ময় (Surprise), বিতৃষ্ণা(Disgust)। অনেকই আজকাল ভয় আর বিস্ময়কে একটা এবং  রাগ ও বিতৃষ্ণাকে একত্র করে চারটা মৌলিক আবেগের কথা বলেন। আর একটা বিষয়ও মাথায় রাখতে হয়। সেটি হলো উত্তেজনা (Excitement)। এটি আসলে আবেগের বহি:প্রকাশ, আবেগ নয়।

এখন আবার আমার এখনকার আবেগে ফিরে যাই। আমার এখনকার আবেগকে কী বলা যায় – আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যু জনিত কারণে আমি কিছুটা বিষন্ন অন্যদিকে আমি বিস্মিত কারণ প্রোগ্রামিং কনটেস্টের পরিসংখ্যান। আবার আমি আনন্দিতও কারণ বইটার কাজ হচ্ছে। জটিল মনে হচ্ছে?

না, এ হলো মনের অবস্থার হেরফের। সামান্য একটু এদিক ওদিক হলে একজন ভীত মানুষও আনন্দিত হয়ে উঠতে পারেন!!! মানে এই সীমারেখা টানাটা কঠিন কাজ। অনেকটা রঙের মতো। প্রত্যেকটা রঙের অনেক শেড, অগুনতি, অসীম! আবেগও তাই। মানে আবেগ আসলে রঙের মতোই।

ভাল একজন ইমোশনাল মার্কেটার হতে হলে ইমোশনালি ইনটেলিজেন্ট অথবা ইমোশনাল লিটারেট হওয়া দরকার। আর এজন্য দরকার ইমোশনের ব্যাপারটা বোঝা। এটির নানান মডেল আছে। মনোবিজ্ঞানী রবার্ট প্লাচিক তার “হুইল অব ইমোশন”-এ রঙের মাধ্যমে আমাদের আবেগের নানান বিষয়কে ব্যাখ্যা করেছেন। আর এই মডেলটা আমাদের মাথার মধ্যে গেঁথে ফেলতে হবে।



প্লাচিকের আবেগের চাকা


এই মডেলে মৌলিক বা প্রাইমারী আবেগ ৬টি নয়, আটটি – রাগ(anger), আন্দাজ(anticipation), আনন্দ(joy), বিশ্বাস(trust), ভয় (fear), বিস্ময়(surprise), বিষন্নতা( sadness) এবং বিতৃষ্ণা (disgust)। এরপর কৌণিকটাকে খেয়াল করেন। আপনি যতোই কেন্দ্রের দিকে যাবেন ততই তীব্রতা বাড়বে। বাস্তবে কীভাবে আমরা এটাকে প্রয়োগ করতে পারি? একঘেয়েমির কথাই ধরা যাক। আপনি যদি আপনার একঘেয়েমিকে এড্রেস না করেন তাহলে সেটা পলিনত হবে বিতৃষ্ণায় এবং শেষমেষ একটা ঘৃণার (Loathing) ব্যাপারে পরিণত হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। আপনি যদি এই চাকাকে মনে রাখেন, তাহলে বুঝে পারবেন আপনার তরফের ‘নিস্ক্রীয়তা’ আপনাকে কোথায় নিয়ে যাবে। মার্কেটাররা তাদের পণ্যের মোড়কে, ফিচারসেটে, বিজ্ঞাপনে প্রতিনয়ত পরিবর্তন আনে বা আনতে চায় – এটাই তার কারণ।

এখন দেখা যাক, এদের পারস্পরিক সম্পর্ক কেমন? দেখলেই বোঝা যাবে, বৃত্তের যেখানে যে আবেগ, তার উল্টোদিকেই তার উল্টোটা। যেমন বিষন্নতার বিপরীত হলো আনন্দ আর বিশ্বাসের বিপরীত হলো বিতৃষ্ণা। এন্টিসিপেশনের উল্টোটা কী বের করতে পারেন? চিন্তার একটা লাইন পাওয়া যাচ্ছে?


যে সব ইমোশনের রঙ নাই! হু, সেগুলো হলো দুইটি প্রাইমারি ইমোশনের যোগফল। যেমন আন্দাজ আর আনন্দ মিলে হলো (Optimism)। আনন্দ আর বিশ্বাস মিলে হলো ভালবাসা (Love)।

আবেগ বেশিরভাগ সময়ই জটিল। আর সেটাকে যদি আপনি একাধিক আলাদা আলাদা অনুভূতির সংমিশ্রণে প্রকাশ করতে পারেন, তাহলেই বুঝবেন ইমোশনাল মার্কেটার হওয়ার পথে আপনি একধাপ এগিয়ে গেলেন।

(আবেগের চাকা নিয়ে আমি আর বিস্তারিত লিখতে চাই না, আপাতত। আর্লি রিডার ও পাঠকরা যদি মনে করেণ আর একটু ব্যাখ্যা হতে পারে, তাহলে আমি সেটা ভাববো। আপাতত আমরা পরের পর্বে চলে যেতে পারি)।

By : Munir Hasan

পরের পর্ব – ইমোশনাল মার্কেটিং-৪ : হাটি হাটি পায়ে পায়ে দেখো না





Sunday, April 7, 2019

ইমোশনাল মার্কেটিং- ২ : লাইক এ গার্ল

ইমোশনাল মার্কেটিং- ২ : লাইক এ গার্ল


আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন পাড়ার কিছু কিছু বড় ভাই আমাকে খেপাতেন। তারা আমার একটা নামও দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেটাতে আমি যতো না খেপতাম তার চেয়ে বেশি মন খারাপ হতো যখন কোন কিছুতে আমার অক্ষমতাকে কেউ কেউ বলতো -ও তো, ‘মেয়েদের মতো’! । এখন অবশ্য আমি অনেক কাজে মেয়েদের মতোই হতে চাই! কিন্তু, তখন এ কথাতে দু:খ পেতাম।

পরে জেনেছি ‘মেয়েদের মতো’ এই শব্দযুগল কেবল এ দেশে নয়, অন্য অনেক দেশেও খুব একটা ভাল শব্দবন্ধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় না। “লাইক এ গার্ল” আসলে মেয়েদের জন্য অপমানজনক একটি শব্দ। ফলে, অনেক মেয়েও “লাইক এ গার্ল” হতে চাইতো না। কারণ মনে করা হয় এতে তাকে পচানো হচ্ছে। আর ঠিক এ কথাটা মাথায় রেখে অলওয়েজ ব্র্যান্ড ২০১৪ সালে তাদের #LikeAGirl ক্যাম্পেইনের পরিকল্পনা করে।

অলওয়েজ ব্র্যান্ডটা আমাদের দেশে খুব একটা পরিচিত নয়। এটি প্রোক্টর এন্ড গ্যাম্বলের মেয়েদের পণ্যের একটি ব্র্যান্ড। মেয়েদের প্যাড, ওয়াইপ এসবের ব্যান্ড, প্রায় ৩৫ বছরের পুরাতন।অলওয়েজের একটি সিস্টার কনসার্ন আছে। তাদের একটি প্রোডাক্ট হচ্ছে হুইসপার। এটি মেয়েদের স্যানিটারি প্যাড। এটি বাংলাদেশের সব জেলাতে পাওয়া যায়।


২০১৪ সালে তাদের এই ক্যাম্পেইন এর মূল উদ্দেশ্য ছিল মেয়েদের মত বা লাইক এ গার্ল এ কথাটার মানে পাল্টে দেওয়া। একজন লোক “মেয়ের মতো” এটি আসলে মেয়েদেরকে অপমান করা কারণ এতে ধরে নেওয়া হয় যে, মেয়েরা অনেক কাজই পারে না। এ কারণে অনেক মেয়েও লাইক এ গার্ল কথাটা সহজে নিতে পারে না। ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য ছিল এটা শুনলে একটা মেয়ে যেন বিরক্ত নাহয়ে গর্ব বোধ করতে পারে সে ব্যাপারটিকে সামনে আনা।


এই ক্যাম্পেইনটা একটি অপমানের ব্যাপারকে একটি পজিটিভ আন্দোলনে রূপ দেয়। ব্যবসার বৃদ্ধিও ছিল ঈর্ষাজনক। শুধু তাই নয় ক্যাম্পেইনটি একই বছরে বিজ্ঞাপন জগতের এমি এওয়ার্ড, ক্যানেস গ্রা প্রি এওয়ার্ড ও গ্র্যান্ড সিলো এওয়ার্ড লাভ করে। একই বছরে এই তিন পুরস্কার পাওয়াটা একটি বিরল ও দুর্লভ ঘটনা। ইমোশনাল মার্কেটিং কি করতে পারে তার একটি ছোট্ট উদহারণ হচ্ছে এই লাইক এ গার্ল ক্যাম্পেইন।

আমাদের দেশের মতো সারা পৃথিবীতে এখন বেশিরভাগ ক্রেতাই কিন্তু  “ওয়েল ইনফর্মড”। বলতে গেলে তারা বিজ্ঞাপনেই ডুবে থাকে। রেডিও, টেলিভিশন, ইন্টারনেট, স্যোসাল মিডিয়া- সবটাতেই তাদের আকৃষ্ট করার নানান আয়োজন। তার ওপর পত্রিকা ম্যাগাজিনতো আছেই। আমাদের প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের মতো পত্রিকাতো এখন আলাদা কাভারই ছাপিয়ে দেয় বিজ্ঞাপনের। ফেসবুক সারাক্ষণই বিজ্ঞাপন দেখায়। শুধু কি বিজ্ঞাপন। এখন সার্চ ইঞ্জিন সবার হাতের মুঠোয়। বিশ্বের অর্ধেক লোকই এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। কেউ কিছু জানতে চাইলে আগে গুগল করে। ফলে, তথ্যে সে থাকে ভারাক্রান্ত। এই যে এত বিজ্ঞাপন, ‍এতো যে বিপণনের চেষ্টা এই সময়ের ভিতর দিয়ে কীভাবে একটি কোম্পানি দাঁড়িয়ে থাকবে, কিভাবে এই মার্কেটিং ওয়ার্ল্ডে তার কতৃর্ত্ব প্রতিষ্ঠা করবে?

কাজেই সেখানে সব নিত্য-নতুন বিষয় আমাদের ভাবতে হবে।সহজ বুদ্ধি হলো একটা মেজর কম্পোনেন্ট হিসাবে আবেগটাকে ব্যবহার করা। কারণ মানুষ অনেকখানি আবেগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ইমোশনাল মার্কেটিং এ আমাদের দেশের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় উদাহরণ সম্ভবত হালাল সাবান। এ্যারোমেটিক এর হালাল সাবানের বিজ্ঞাপনটিকে নিয়ে আমরা বিস্তারিত কেস স্টাডি দেখব। কিন্তু তারও আগে আসলে আমাদের জেনে নেয়া উচিত ইমোশনাল মার্কেটিং কী?

ইমোশনাল মার্কেটিং হল এমন একটা মার্কেটিং এবং এডাভার্টাইজিং যেটা আসলে মানুষের ইমোশনকে কাজে লাগায়। উদ্দিষ্ট জনগোষ্টীর চোখে পড়া, মনে রাখার ব্যবস্থা করা, শেয়ারে উদ্বুদ্ধ করা এবং সবশেষ তার থেকে গাঁটের টাকা খসিয়ে পণ্য বা সেবা গছিয়ে দেওয়ার বুদ্ধি। একটি সাধারণ প্রথা হলো একবারে একটির বেশি আবেগকে ব্যবহার না করা। মানে সুখ, দু:খ, রাগ কিংবা ভয়ের যেকেন একটাকে একবারে কাজ লাগানো।

ইমোশনাল মার্কেটিং কেন ইফেক্টিভ এবং সেটাকে কিভাবে তোমার মার্কেটিং প্লান এর সঙ্গে যুক্ত করব সেটাই হবে আমাদের বকর বকরের উদ্দেশ্য।

তবে সবকিছুর আগে আমাদের আসলে  আবেগের ব্যাপারটা বোঝা দরকার।

Original Link

Pingback: ইমোশনাল মার্কেটিং-১: হালাল সাবানের মাজেজা

পরের পর্ব –  ইমোশনাল মার্কেটিং-৩ : আবেগের আমি , আবেগের তুমি, আবেগ দিয়ে যায় চেনা

ইমোশনাল মার্কেটিং-১: হালাল সাবানের মাজেজা


ইমোশনাল মার্কেটিং-১: হালাল সাবানের মাজেজা


যারা আমার মতো বয়সী তাদের অনেকের হালাল সাবানের কথা মনে আছে। নব্বই-এর দশকে এই সাবান তোলপাড় তুলেছিল বাংলাদেশ জুড়ে। এবং কিছুদিনের মধ্যে তারা বাজারের বড় অংশটি দখল করে। আর এর মূল কারণ- ধর্মীয় আবেগ অনুভূতির ব্যবহার। বলা হয় এই সাবানটি বাজারের একমাত্র হালাল সাবান কারণ এটি তৈরি করা হয় ভেজিটেবিল ফ্যাট থেকে, আর অন্যান্য যে সুগন্ধী সাবান বাজারে আছে যেমন লাক্স সেগুলো আসলে এনিম্যাল ফ্যাট থেকে তৈরি করা হয়!!! এনিম্যাল ফ্যাট বললেই একটি বিশেষ প্রাণীর কথা আমাদের মনে হয় এবং সেই কারণে এই মার্কেটিংয়ে তারা খুব সুবিধা করে। এই যে এভাবে একটি সাবানকে হালাল সাবান হিসাবে ঘোষণা দিয়ে ব্যবসা করার যে বুদ্ধি সেটি তাদেরকে বাজারে প্রথম স্থানে এনে দিয়েছিলো।

প্রশ্ন হচ্ছে হালাল সাবানের মতো আবেগীয় বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে এসে প্রচার-প্রচারণা এবং বিপণন স্ট্র্যাটেজি তৈরি করলে সেটা কি অনেক ভালো হয়? হয় এবং সেটি নতুনও নয়। আবেগ বা ইমোশনাল মার্কেটিং নিয়ে দুই দশকের বেশি সময় ধরে ব্যাপক কাজকর্ম হয়েছে। আমার ধারণা মার্কেটিং বিভাগগুলো এগুলো পড়ায়, কেস স্টাডি করে। কাজে ব্যাপারটা নতুন নয়।

তবে, আমি ব্যাপারটা ভাবছি অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে। আমাদের নতুন উদ্যোক্তাদের বেশিরভাগেরই মার্কেটিং খাতে খুব একটা বাজেট থাকে না। তাছাড়া সবাই প্রায় কমবেশি “ওয়ানম্যান আর্মি”। তারা কীভাবে এধরণের মার্কেটিং-এর সুবিধা পেতে পারে। উদ্যোক্তাবান্ধব দেশগুলোতে এরকম ডামিসদের জন্য প্রচুর বই পত্র লেখা হয়। আমাদের দেশে এর বড়ই আকাল। ফলে অনেক উদ্যোক্তা এখনও মার্কেটিংকে আলাদা কিছু ভাবে। আমার “গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং” বইতে আমি চেষ্টা করেছি এ কথাটা বলতে যে মার্কেটিং কিন্তু এখন আর আলাদা কোন বিষয় নয়। যেকোন ভাবে কাস্টমারদের কাছে পৌছানোর নামই মার্কেটিং। সেটি যদি হয় যে ওয়েবসাইট ঠিক করে তাহলে সেটা মার্কেটিং। সেটি যদি হয় যে ইমেইল মার্কেটিং করা, মেইলে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালানো তাহলে সেটা মার্কেটিং। আবার এরকম যদি হয় যে মোড়কটা পাল্টে ফেললেও সেখানে একটা ভালো লিড পাওয়া যাবে তাহলে সেটাও মার্কেটিং।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই মার্কেটিংয়ের জন্য কাস্টমারের আবেগকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়? যদিও রিসার্চ বলছে যে শুধু আবেগকে কাজে লাগিয়ে যেমন কাজ হয় না একইভাবে শুধু পণ্য খুব ভালো, কোয়ালিটি খুব ভালো এবং মানসম্মত তা দিয়েও কিন্তু কাস্টমারের লয়ালিটি তৈরি হয় না। নিশ্চয় এর মধ্যে বাড়তি কিছু দরকার। সে বাড়তি কিছু কিভাবে তৈরি করা যেতে পারে সেটি নিয়েই কিন্তু অনেক কিছু ভাবার আছে।

একটা বিষয় আমরা সবসময় খেয়াল রাখি সেটা হলো কিভাবে আমরা আরো ভালো করতে পারি এবং একটা বিষয় খুব নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে আমাদের দেশে, ধরেন— আবেগকে ব্যবহার করে খুব ভালো ব্যবসা করেছে একসময় সেটি হচ্ছে আজাদ প্রোডাক্টস। আজাদ প্রোডাক্টস তাদের যে কার্ডগুলো তৈরি করেছে সেখানে ভালোবাসার বিষয় ছিলো, সেখানে আবেগের বিষয় ছিলো এবং সে আবেগকে পুঁজি করেই কিন্তু আজাদ প্রোডাক্টসের সকল উপাদান তৈরি হয়েছে। বিশ্বজুড়ে এমন আবেগের কারবারি অনেক আছে যাদের মধ্যে হলমার্ক অন্যতম। হলমার্ক প্রায় ১০০ বছর ধরে তাদের কার্ড, গ্রিডিংস কার্ড তৈরি করছে। পৃথিবীর সবচাইতে পুরাতন গ্রিডিংস কার্ড কোম্পানি এবং তারা তাদের উপরে কিন্তু এখনো অনেক মানুষ আস্থা রেখে যাচ্ছে। তো এই যে আবেগ, আবেগকে ব্যবহার করা- একটা হচ্ছে আবেগকে ব্যাবহার করে আবেগের পুঁজি দিয়েই ব্যবসা করা, আরেকটা হচ্ছে যেকোন প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে সে আবেগটাকে ব্যবহার করে একটা বিপণনের ব্যবস্থা করা। ইমোশনাল মার্কেটিং-এর মোদ্দাকথা আমার মতে এটাই।



প্রশ্ন হচ্ছে এই ইমোশন মার্কেটিং-টা আসলে কি কোন কাজে লাগে? এটা নিয়ে কি কোন কিছু করা যায়? এটা নিয়ে কি আগানোর কোন সুযোগ আছে? গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং লিখতে গিয়ে আমি যে জিনিসটা খেয়াল করেছি সেটা হচ্ছে যে বিশ্বজুড়ে বিশেষ করে ইন্টারনেট বিকাশের ফলে এখন কিন্তু মার্কেটিংয়ে একটা ব্যাপক ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এইসব কিছু বিষয় কিন্তু পুরানো ধ্যানধারণাকে পাল্টে ফেলছে। আপনি যদি এই বিষয়টাকে খেয়াল না করেন তাহলে কিন্তু আপনি হেরে যাবেন। বাংলাদেশে এমন কোন পত্রিকা নেই যেটির মাধ্যমে আপনি দুই কোটি লোকের কাছে পৌছাতে পারবেন। কিন্তু ফেসবুকের মাধ্যমে কোন বুদ্ধি খাটালে আপনি নিশ্চয় দুই কোটি লোকের কাছে যেতে পারবেন। কারণ বাংলাদেশে এখন প্রায় সাড়ে তিন কোটি লোক ফেসবুক ব্যাবহার করে। প্রশ্ন হচ্ছে তাদেরকে ব্যাবহার করার জন্য যদি আবেগকে ব্যবহার করা যায়, তাদের মধ্যে যদি কোন রকমের আবেগীয় বিষয়কে ঢুকিয়ে দেয়া যায় তাহলে প্রচারণাটা খুব ভালো হয়।

ইমোশন মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে আরো কি কি বিষয় দেখা যায়, কি কি বিষয় করা উচিৎ এসব নিয়ে হয়তো অনেক কাজ করার সুযোগ আছে।

Original Link 

পরের পর্ব – ইমোশনাল মার্কেটিং- ২ : লাইক এ গার্ল



ব্যবসা কি তা জানতে যে বইটা পড়া জরুরী


ইনোভেটিভ বিজনেজ মডেলের উপর Alexander Osterwalder আর Yves Pigneur-এর বই Business Model Generation। বিজনেজ কিংবা স্টার্টআপ-অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নিয়ে যারা আগ্রহী তাদের জন্য দারুণ একটা বই। গুডরিডস রেটিং ৪.১৬, ৪+ বলেই বোঝা যায় ২৭০ পৃষ্ঠার বইটা বেশ কাজের।  

বইটা পড়ার পরে ডিজাইন থিংকিং বিষয়টা সম্পর্ক ধারনা বেড়েছে আমার। আর বইটা নাইন বিল্ডিং ব্লকসের বিজনেজ মডেল ক্যানভাস তৈরির জন্য আলোচিত। আপনি যদি কোন কিছু শুরু করতে চান, তাহলে এই ক্যানভাসে পুরো ব্যবসাকে বসিয়ে নিন। যদি বসানোর পরে দেখেন কোন একটা ঘর খালি, তাহলে আবার নতুন করে ভাবতে হবে।

৪-৫টা ব্যবসা মডেলের কথা এই বইয়ে লেখা হয়েছে। আনবিল্ডিং মডেল, দ্য লং টেইল মডেলগুলো সম্পর্কে প্রথম জানতে পারি আমি।
ডিজাইন থিংকিং, ভিজ্যুয়াল স্টোরি টেলিং যে কতটা আনন্দের আর মজার তা নতুন করে শিখেছি।

কোন ব্যবসা শুরুর আগে, কিংবা প্রচলিত ব্যবসাকে এই মডেলে ফেলে পুরো ব্যবসাকে একটা পেইজে আনা যায়। ডানে কাস্টমার, আর বামপাশে আপনি-আপনার প্রোডাক্টস; নিচে রেভিনিউ আর খরচ।

     

যে কোন স্টার্টআপের শুরুতে এই বিজনেজ মডেলের উপর বইটা পড়া বেশ কাজ দিবে বলে মনে হয় আমার। আইটি কিংবা নন-আইটি যে কোন ব্যবসাকে কাস্টমারের কাছে নেয়ার মডেল ব্যাখ্যা, ভ্যালু তৈরি করে তা কিভাবে কাস্টমারের কাছে পৌছাবেন তাই জানতে পারবেন এই বইটা থেকে।


Post Credit

যা আইবিএ-ঢাবি, এনএসইউ বা হার্ভার্ড বিজনেজ স্কুল শেখায় না

মাঝেমধ্যে কিছু পপ বই পড়া দরকার, নইলে সিরিয়াস বইপত্রে মাথা গরম হয়ে যায়। গেল দুসপ্তাহের ব্যস্ততায় আমার শেষ হয়েছে Mark H. McCormack-এর What They Don’t Teach You at Harvard Business School: Notes from a Street-Smart Executive। হার্ভার্ড বিজনেজ স্কুলে কি কি শেখায় না তা নিয়ে লিখেছেন Mark H. McCormack, যাকে আবার স্পোর্টস মার্কেটিংয়ের গুরুদের একজন ধরা হয়। Mark H. McCormack নিজে হার্ভার্ডে পড়েন নি, What They Don’t Teach You at Harvard Business School বইটার শিরোনাম দেখে তাকে হার্ভার্ড বিরোধী মনে হতেই পারে। দারুণ বিষয় হচ্ছে, What They Don’t Teach You at Harvard Business School বিষয়টি আসলে বিজনেজ স্কুলগুলোতে আরও কি কি নতুন বিষয় পড়ানো যেতে পারে তার একটা মনোলগ বলা যেতে পারে। বইটি পড়াশেষে আমার মনে হয়েছে বইটার কিছু পয়েন্ট নিয়ে একটা নোট দেয়া যায়। স্বভাবতই বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আইবিএ-ঢাবি, এনএসইউ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বা এআইইউবির বিজনেজ স্কুলে আরও কি শেখানো যায় তা বলা যায় বইটি পড়ে।

আমেরিকায় বইয়ের কাটতে বাড়ানোর জন্য বইপত্রে কিছু পপশব্দ ব্যবহার করে, সেই হিসেবে What They Don’t Teach You at Harvard Business School বইটার পপ শব্দ হচ্ছে Harvard Business School, যেমনটা আমার পোস্টে আইবিএ-ঢাবি, এনএসইউ!

1) Reading other people, their body language, their preferences

যারা নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান কিংবা দীর্ঘদিন ব্যবসা করছেন তারা অন্যদের খেয়াল রাখতে পারেন। MBA বা ব্যবসাসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো খুব বড় আকারে ব্যবসা কৌশল, বিপণন বা ব্যবসা বাড়ানোর সাধারণ হিসেব আলোচনা করা হয়। খুব কমক্ষেত্রেই কাস্টমার বা ইউজারদের বিষয়টা তেমন নজর দেয়া হয় না। দুনিয়ার অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী কাস্টমারসেন্ট্রিক হওয়ার কারণে টিকে যাচ্ছেন দিব্যি। নাইকি কিংবা স্টারবাক্সের কথা আনা যায়। আমরা কোন কাজে গ্রাহকদের কথা তেমন গুরুত্ব দেই না। কাস্টমার সার্ভিস বিষয়টা আমাদের দেশে যেন পাত্তাই পায় না।

2) অন্যের জুতা পরে দুনিয়া দেখুন

বিজনেজ স্কুলে অন্যেরা কি ভাবে ভাবে, কেন ভাবে তা নিয়ে কৌশল জানার বুদ্ধি শেখানো উচিত। অন্যরা কিভাবে চিন্তা করে তা নিয়ে আমরা তেমন সায়েন্টিফিক ওয়েতে চিন্তা করি না। নিজেকে অন্যের জুতায় দাড়িয়ে ভাবনা সবারই শেখা উচিত। এতে নেগোশিয়েশনে দারুণ কাজে দেয়। বিষয়টা এখন এম্প্যাথেটিক বিষয়টার সংগে সম্পৃক্ত করা যায়।

((একশ বছর আগে আমেরিকায় সেলসের বিষয়ে অনেক ট্রেনিং শুরু হয়। দিন শেষে কোম্পানির সেলসের লোকেরাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মার্কেটিং কিংবা ম্যানেজমেন্টে যতটা স্মার্টলোক দরকার তার চেয়ে কৌশলী লোক দরকার সেলস বিভাগে। সেলসের লোকেরা অন্যরা কি চায় তা নিয়ে দারুণ মাথা খাটায়।))

৩) টাইম ম্যানেজমেন্ট

বিজনেজ স্কুলে স্ট্র্যাটেজি শেখায় কিন্তু টাইম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কোন ধারণাই দেয় না। আমাদের স্কুলগুলো ধরেই নেয় যে, ম্যানেজার যে হতে চায় তার টাইম সেন্স থাকবে। টাইম সেন্স আর টাইম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। তা শেখানো উচিত।
৪) সব কিছু নোট রাখতে হবে
প্রযুক্তির কল্যানে সব অটোমেটেড হয়ে গেলেও বিজনেজ স্কুলে যারা যান তাদের নোট টেকিং স্কিলে জোর দেয়া উচিত। যতই প্রযুক্তি থাকুক না কেন নোট টেকিং বা ভিজুয়াল নোট টেকিং এখনকার সিইও বা সিএক্সওদের বেসিক যোগ্যতার একটি।

৫) Dangers of short term thinking

লাইনে বোঝা যাচ্ছে কি বলা হচ্ছে। শর্টটার্মের প্রফিট লং টাইমে লস হতেও পারে।

৬)The importance of training – more than hiring

আমরা নিয়োগে যতটা মনোযোগ দেই ট্রেনিংয়ে ততটা মনোযোগ মনে হয় তেমন দেই না। বিষয়টা এমন, আইপিএলের দলে ক্রিকেটার কিনেই আমরা খুশি। তার জন্য ট্রেনিং কি আর লাগে?

৭) Ask questions – listen AGGRESSTIVELY, observe AGGRESSIVELY, talk less

বস ইজ রাইট বলে একটা বিষয় নির্বাহীদের কান দিয়ে মাথায় চলে যায়। বিষয়টা ভুল, প্রশ্ন করা শিখতে হবে।

৮) ২৫০০ লোক আপনার কোম্পানিতে কাজ করলে ২৫০০ ইগো কাজ করবে। ইগো ম্যানেজমেন্ট আর্ট।
Mark McCormak সেই ১৯৮৬ সালে বইটি লিখেছেন।এখনও বেশ কাজের মনে হলো। যারা বিজনেজ স্কুলে আসলে পড়ছেন তারা বইটা থেকে কিছু পয়েন্টস ব্যক্তিজীবনে কাজে লাগাতে পারেন।
ব্যবসা দুনিয়াতে চ্যাম্পিয়ন হতে চাইলে কি করতে হবে?  যারা চ্যাম্পিয়ান,

-তারা নিজেদের পারফরমেন্সে সব সময় অখুশি থাকে। যে কোনো সাফল্যকে তারা বড় কোন সাফল্যের একটা স্টেপ হিসেবে ব্যবহার করে। অতীতের সাফল্যে কেউ বসে থাকে না। সামনে কি আছে তা নিয়ে যত মামলা।

-সঠিক সময় সঠিক জায়গায় জ্বলে ওঠে তারা। সব সময় একই মাত্রার পারফরমেন্স লেভেল রাখলেও যে দিন তার খেলার দিন সেই দিন তারা আকাশ স্পর্শ করবেনই।

-তারা কখনই প্রতিযোগিতায় আগে কিংবা কোন সুবিধা পাচ্ছেন এটা ধরে কৌশল আঁকেন না। স্কোরবোর্ডে যতই রান বা গোল থাকুক না কেন তারা সর্বোচ্চ বেগেই ছোটেন।


How to Vastly Improve Your Communication Skills in 10 Minutes

Communication is much harder for people than they think it is;
Anybody can say what they’re feeling, describe something, and communicate with the people around them. However, how effective is that communication? And how much of it is just random fluff that really doesn’t help convey their message?
There’s a concept in the sales world called Kiss versus kill. Which basically means keeping it short and simple, versus keeping it long and lengthy.
You can see where I’m going with this…
An amateur salesman would likely kill the sale buy going on and on about unimportant details. On the other hand, a good salesman would make sure to target and deliver all the important points in the shortest time possible, making it much easier to close the deal.

How does this help you in everyday life?

It shows you just how much of a difference the way you communicate can affect other people. Their decision to trust you, like you, buy from you, help you, and so on.
Here are some very simple techniques you can adopt within 10 minutes, to vastly improve your communication skills:

1. Focus on Quality

The first lesson in order to vastly improve your communication skills, is to focus on quality.
If you can, try to remove all types of filler words like; “I guess” and “well you know”.
These words bring absolutely no value to the conversation and they literally mean nothing. They are simply being used to drag the conversation out, and it takes much longer to get to the point.
Listen to the following paragraph:
“What did you do this winter? Well I had an okay time, I went snowboarding for the first time with some of my friends and it was actually a lot harder than it looked.”
Now compare it to this:
“What did you do this winter? My friends and I went snowboarding, it was actually my first time and it was a lot harder than it looked.”
Notice how the second version is much shorter but the information being conveyed is the exact same. However, it sounds more confident and even more sophisticated.
Instead of using these words that clutter the overall conversation, try using pauses for effectiveness…

2. Emphasize Your Speech with Pauses

Using pauses can be very effective, instead of filling the conversation with useless words. Pauses can emphasize different parts of the message and help deliver a much more powerful communication.
Don’t be afraid to pause every once in a while, instead of relying on filler words to get you through the speech with no awkward silences.
Pauses can be very powerful and can emphasize different parts of the message, but we will talk a little more about that in the next lesson on improving your communication.
Here’s a quick example of this before we move on. This is using the exact same sentence as before, however this time we’re taking advantage of pauses.
“Some friends and I went snowboarding. It was actually my first time, but it was a lot harder than it looked.”
The following skill is probably the single most important skill in terms of overall conversation ability. If you can Master this one skill you’ll be able to have endless conversations with pretty much anybody.

3. Pick Topics That Can Be Branched

This is an absolute genius technique for improving communication skills. It’ll also pretty much guarantee that you never run out of things to say. Look at the following sentence:
“I live in New York City, but I’ve always wanted to move to the suburbs, and I hate being around too many people. It’s because I love nature and I hate being around so many people.”
There are four different topics that you can Branch off from here:
  • You can talk about that time you wanted to visit in York City.
  • You can talk about how you feel living in the suburbs.
  • You can talk about your relationship with nature
  • You can also talk about how you’re an introvert and how you can relate with their hate of being around so many people.
When the conversation dies it’s usually because there are no other topics to talk about that are interesting.
So when given the opportunity to branch off into different topics, choose one that you’re interested in talking about. Also keep in mind that you want to be giving the other person opportunities to talk about multiple topics as well. If you don’t give them topics to Branch off to the conversation will eventually reach a dead end.
The skill comes with practice.
The more you will notice them look for topics to bounce off of the more you will notice them.
Here’s another sentence:
“I like going to the gym. There’s a sense of satisfaction I get when I see myself getting better at something.”
There are three different topics that you can Branch off from here:
  • you can talk about how you like going to the gym
  • you can talk about something that satisfies you
  • you can also talk about something that you got better at

4. Don’t Ask Too Many Questions

Think back to the last time you went on an interview. When I think of interviews I think of something that is high tension, nerve-racking and definitely not something the average person enjoys going through.
A common mistake that a lot of people make when meeting someone new is entering what I like to call interview mode. They bombard the other person with question, after question, after question, and this can be extremely uncomfortable. The issue with asking too many questions is that a makes the conversation very one-sided.
When you ask a question, you’re not sharing any information about yourself. All you’re doing is demanding information from the other person.
This is where that uncomfortable feeling comes from. The lack of connection that’s being built. You want to be sharing information about yourself as much as possible so that you can build rapport and build a connection.

5. Use Statements Instead of Questions

The last tip on this list is to use statements instead of questions.
When you make statements, you share information about yourself pay attention to the next time you hang out with your close friends or buddies you’ll notice that the majority of the conversation is with statements.
Once in a while a question is thrown in as a natural step in the conversation. But the large majority will be statements. There are a lot of different types of statements, however here are a few of the main ones:

1. Story/Opinion Statements

The opinion statement tells a story or shows your opinion on something.
Here is an example of a question: What are you scared of?
Here is an example of the story statement being used to replace this question:
“I used to be terrified of the dark when I was a kid. I would sleep with my head under the covers to hide from all the monsters and ghosts.”
Notice how the question shares nothing about yourself. It doesn’t really give the other person any information besides answering your question; so you’re only giving them one thing to talk about.
On the other hand, the story statement shares information, while it also gives the other person opportunities to talk about different topics.
You’re giving them different things to thread off of:
  • They can talk about whether or not they’re scared of the dark
  • They can talk about things that used to do when they were a kid
  • They can even tell ghost stories

2. Cold Read Statement

The cold read statement is a great way to use statements with someone you just met.
It’s an observation about the other person. Instead of saying “What do you like to do for fun?” say something like; “You seem like a fun person I bet you have some interesting hobbies.”
This is a great trick because the person can respond in three different ways:
One: you’re wrong and don’t correct you I’m actually not fun I sleep all day over to your wrong but you’ll be asked why you.
Two: I’m actually not fun but I’m curious as to why you thought that I was
Three: you’re correct and a large amount of report will be built instantaneously I am fun I love to dance and sing with but how did you know.
Each of these ways gives you many more opportunities to branch off into different topics; as compared to the simple question: “What do you do for fun?”. So you’re sharing information first and you’re not asking anything from them. It’s up to them to decide how to respond.

3. Random Statements

Finally, we have the random statement:
Fairly self-explanatory; they’re completely random statements that literally just pop into your mind. They can range from anything including thing happening around you, observation stories, and so on. There is a whole lot of things you could talk about.
And doing this can make you an incredibly interesting and curious person to other people, especially on dates. The more random, the better. Why? Because it throws people off guard, and opens them up.
They’ve been asked the same damn questions every time they go on a date, or meet someone new.
This time, you’re providing random conversation which is guaranteed to get them out of that boring question slump.
Here are some examples:
“I’m tired of my friends all they do is talk about sports all day.”
“I’m thinking about taking a year off from school.”
Each of these statements share a lot of information about yourself they also provide multiple toppings to Branch off into and finally they bring a sense of creativity and spontaneousness to the conversation.

Summary

Here’s a quick recap of the 3 simple tips you can use to improve your communication skills:
  1. Focus on quality
  2. Emphasize phrases with pauses
  3. Pick topics you can branch
  4. Don’t ask too many questions
  5. Use statements instead of questions
Remember conversation is a skill, and just like any skill there is a key to learning it.
But the most growth will come from experience, when you actually go out there and you practice what you’ve learned. Apply these tips to help improve your communication skills in the future.

Disclaimer

Disclaimer: All the information on this website is published in good faith and for general information purpose only. Some content i...