Pages

Monday, October 23, 2017

পাওয়ার অফ হ্যাবিট - চার্লস ডুহিগ



একটা বই পইড়া বুঝলাম, আমি নিজেরে যেইসব কঠিন কঠিন টার্গেট দেই এবং সেই গুলোরে নিয়মিত ফেইল করে গিলটি ফিল করে, , সেই গুলা আমার দোষ না, আমার অভ্যাসের দোষ।

বইটার নাম পাওয়ার অফ হ্যাবিট। লেখকের নাম চার্লস ডুহিগ। লেখক এক জন সাংবাদিক। পইড়া বুঝা যায় লেখক একজন সাংবাদিক ,রিসারচার না।

মোটামুটি গল্প বলে বলে উনি দেখাইছেন, মানুষ কিভাবে অভ্যাসের দাস হয় এবং অভ্যাস থেকে কিভাবে মুক্তি পাইতে হয়। ভয়ের কথা হইলো, বইটা পড়লে আপনি মোটামুটি বুঝে যাবেন,ফ্রি উইল বলে কিছু নাই। সব হইলো অভ্যাস । এবং আপনি আরো বুইঝা যাবেন, আসলে আপনি যেই সব জিনিষ অভ্যাস করে ফেলেছেন, সেই গুলোর থেকে মুক্তির সম্ভাবনা সামান্যই।

এবং সমাজ এবং প্রতিষ্ঠান গুলোও কিভাবে অভ্যাসের রুলস, স্ট্রাটেজি এবং রিসার্চের বদলে মূলত অভ্যাস দ্বারা চালিত হয়। এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান গুলো কিভাবে, আপনার আচরণকে ম্যানিপুলেট করে আপনার মধ্যে অভ্যাস গুলো ঢুকায় দেয়-যার থেকে আপনি মুক্তি পাইতে পারেন না।

চার্লস ডুহিগ কিছু সিস্টেম টেকনিক দেখায়ছেন, কিভাবে অভ্যাস থেকে মুক্তি পাইতে হয় বইটা পড়লে বুঝবেন, এই গুলো করলেও, অভ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়ার চান্স খুবই কম।

সো আপনেরা যারা সিগারেট ছাড়তে চাইতেছেন, আপনেরা যারা মনে করতেছেন, অবসরে বিশাল বিশাল রিচারস কইরা, বিশাল বিশাল বই লিখবেন কিন্ত তার বদলে টিভিতে সালমান শাহের সিনেমা দেখতেছেন আর গিলটি ফিল করতেছেন, আপনেরা যারা ডায়েট কইরা ওজন কমাইতে চান, আপনেরা যারা ফেসবুক ছাড়তে চান, আপনেরা যারা এক্সারসাইজ করতে চান কিন্ত করতে পারতেছেননা, আপনেরা যারা বিশাল প্রতিজ্ঞা করছেন- কালকের থেকেই আপনের জীবনে আমূল পরিবর্তন আনবেন, সরি টু ডিজাপয়েন্ট ইউ- এই সম্ভাবনা খুবই খুবই খুবই অল্প।

একে বারে নাই বলতেছিনা।
তো, এই বইয়ের শুরুতে এক ভদ্র লোকের কথা বলা হইছে, যার মাথার ব্রেইনের একটা অংশ একটা ভুল অপারশানের মাধ্যমে কেটে ফেলা হইছিল। এই অংশটা লজিক, রিজন এবং টেম্পোরারি মেমরির হিসাব রাখে। লোকটার নাম হইলো ইউজিন।

তো, এইটা কেটে ফেলার পরে ইউজিন আর কোন কিছু আর মনে রাখতে পারেনা। তার ১০ বছর আগের মেমরি আছে কিন্ত রিসেন্ট কোন মেমরি নাই। এবং সেইটা উনি জমাও রাখতে পারেন না।

মনে করেন, ইউজিনের সাথে যদি আপনার পরিচয় করায় দেয়া হয়, তো এক মিনিট মনে রাখবেন, কিন্ত এক মিনিট পরে সে আপনাকে চিনতে পারবেন না।

তো এই ইউজিনকে হ্যাবিট বা অভ্যাসের রিসার্চে একটা ইম্পরট্যান্ট মানুষ হিসেবে দেখা হয়। কারণ, এই লোকটাকে স্টাডি করে সায়েন্টিস্টরা অভ্যাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারছে।

তো সায়েন্টিস্টরা দেখলো, ইউজিন কিছু মনে রাখতে পারেনা কিন্ত তাকে যদি বলা হয়, কফি বানাও। সে পাক ঘরে গিয়া কফি বানাইতে পারতেছে। 

কেমনে কি ? যদি তার মেমরি , রিজন বা লজিক কাজ না করে সেইটা সে কিভাবে পারতেছে।

তো সায়েন্টিস্টরা তার মাথার মধ্যে স্ক্যানিং করে দেখলো। তার মাথার একটা অংশ, যেইটা হইলো বাসাল গ্যাংগালিয়া।(এইটা একটা সুন্দর ব্যান্ডের নাম হয়। কেউ ট্রাই করে দেখতে পারেন।:P) যেইটা মানুষের মস্তিষ্কের অনেক গভীরের অংশ , সেইটা এইটা কাজ করতেছে। বিজ্ঞানীরা অনেক আগেই সন্ধ করতো, বাসাল গ্যাংগলিয়া অংশটা মানুষের অভ্যাসকে নিয়ন্ত্রণ করে।

তো এর থেকে সায়েন্টিস্টরা বুঝতে পারলো, মানুষের অভ্যাস মস্তিষ্কের স্মৃতি এবং লজিক যেই অংশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তার সাথে সম্পর্কিত না। এইটার নিজের একটা অংশ আছে।সেই খানের নিয়ম মত মানুষ চলে। এবং সেইটা অনেক সময়ে, আপনের লজিক , রিজন এবং স্মৃতিকে চাপায় চলে।

অভ্যাস সম্পর্কিত রিসার্চে, ইউজিনের এই আচরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ডিসকাভারি
কারণ সায়েন্টিস্টরা এর থেকে বুঝলো মস্তিষ্কের গভীরতম অংশ বাসাল গ্যাংগালিয়া. মানুষের অভ্যাসকে নিয়ন্ত্রণ করে। এবং এইটা লজিক এবং মেমরি দিয়া চালিত হয়না।

তার মানে হইলো, আপনে চাইলেই বা আপনের কাছে লজিকাল মনে হইলেই, বা ব্যাড হ্যাবিটের কারণে আপনার কোন খারাপ অভিজ্ঞতা হইলেও, এইটার থেকে মুক্তি পেতে চাইলেও আপনার অভ্যাসের উপরে আপনি নিয়ন্ত্রণ আনতে পারবেন না।

কারণ, এইটার জায়গাটাই আলাদা। এবং এইটা আপনার সরাসরি নিয়ন্ত্রণে নাই।
তো একেবারেই কি কোন উপায় নাই ? কেউ কি কখনো সিগারেট ছাড়ে নাই, এক্সারসাইজ ধরে নাই, মাদক থেকে মুক্তি পায় নাই, ফেসবুক থেকে বের হইতে পারে নাই।
পারছে।

কেমনে ? আগে বাড়েন।
তো অভ্যাস সম্পর্কে আলোচনায় সব চেয়ে ইম্পরট্যান্ট বোঝার জিনিষ হইলো, অভ্যাস কিভাবে কাজ করে।
এইটার তিনটা অংশ।
কিউ - রুটিন- রিওয়ার্ড।
এই টাকে বলা হয়, হ্যাবিট লুপ। নীচে এর একটা ছবি দেয়া হয়েছে।
কিউ -রুটিন- রিওয়ার্ড।

কিউ এর বাংলা কি হবে ? ধুর। জানিনা। কিউ হইলো কিউ। QUE । এই কিউ টা হইলো, একটা সংকেত।
মনে করেন, আমি সিগারেট খাই। (ছাড়ি, ধরি, ছাড়ি। এখন ছাড়া পিরিয়ড যাইতেছে)। তো আমার সিগারেটের কিউ হইলো, চা। 

মনে করেন, আমি চা খাইলে তার পরে যদি সিগারেট না খাই তো খুব খারাপ লাগে। আমার সিগারেট খাওয়ার একটা কিউ হইলো চা। আবার মনে করেন, আমি ভাত খাওয়ার পরে, একটা সুইট খেতে পছন্দ করি। এই খানে আমার সুইটসের কিউ হইলো ভাত খাওয়া।

আবার মনে করেন। সকালে উঠে আপনি ব্রাশ করেন। সো আপনার কিউ টা টাইম। সকাল। ঘুম থেকে ওঠা।
আবার মনে করেন, আপনি খুব ফ্রাস্ট্রেটেড হইলে, ফ্রিজ খুলে স্নাক্স খান। তো আপনার ফ্রাস্ট্রেসেন টা কিউ। আপনার ইমসনাল স্টেটটা কিউ। আবার আপনার কোন কাজ নাই। বিরক্ত। আপনি ফেসবুকে ঢুকলেন। আপনার বিরক্তিটা কিউ। 

আপনি বিকেল হলে নাস্তা করেন। এই খানে বিকেল টা কিউ।
মনে করেন, আপনি ঘুম থেকে উঠে জগিং করেন। সো সকাল টা আপনার কিউ।
মনে করেন, আপনি গাড়িতে উঠলে, মোবাইল খুলে ফেসবুক চেক করেন। তো, আপনার গাড়িতে ওঠা টা কিউ। তো বুজছেন তো কিউ কি ?

তো। নেক্সট হইলো রুটিন। রুটিন হইলো আপনি কিউ এর সিগনাল টা পেলে, যেই কাজ টা করেন। মনে করেন ফেসবুকে ঢুকলে প্রথমে লাল অংশে চেক করেন, কোন মেসেজ আসছে কিনা, লাইক পড়ছে কিনা। তারপরে হোমে যান। পড়েন। লাইক দেন। বন্ধ করেন। আবার ঢুকেন। এই যে কাজ গুলো করেন, এইটা হচ্ছে রুটিন।

রিওয়ারড হচ্ছে, আপনি যে রুটিন টা করলেন, তার ফলে আপনার ব্রেইনে কিছু সিগনাল যাবে, যেইটার ফলে আপনার মধ্য একটা সাটিস্ফেকশান ফিলিংস হবে। এইটা রিওয়ারড।
মনে করেন, সেইটা হইতে পারে, আপনি সিগারেট খাইলেন, আপনার নিকোটিন ঢুকলো, যেইটা আপনার শরীর ক্রেভ করতেছিল- এই আরজটা পূর্ণ হইলো।

মনে করেন, আপনি ফেসবুকে ঢুকলেন, আপনে দেখলেন, আপনার একটা বন্ধু মেসেজ দিছে। আপনার ব্রেইনের মধ্যে ডোপামিন রিলিজ হইলো। 

মনে করেন, আপনি চা খাইলেন। সুগার টা একটা টেস্ট দিলো। মনে করেন, আপনি মিস্টি খান, সেইটা মজা লাগলো। তো এইটা হইলো রিওয়ার্ড।

অভ্যাস সব সময়ে এই কিউ, রুটিন, রিওয়ার্ড ফলো করে। এই টাকে বলা হয় , হ্যাবিট লুপ।
অভ্যাস পরিবর্তনের প্রথম কাজ হইলো, এই হ্যাবিট লুপকে বোঝা। আপনি হ্যাবিট লুপের যে কোন একটা কে ডিজ্রাপ্ট করে হ্যাবিট লুপকে পরিবর্তন করতে পারবেন।
আপনি কিউ টাকে ইন্টেরপ্ট করতে পারেন, রুটিনকেও পাল্টাতে পারেন অথবা রিওয়ার্ডটাকে চেঞ্জ করতে পারেন। কিন্ত, বিজ্ঞানীরা বার বার বলছেন, অভ্যাসকে চেঞ্জ করা যায়, কিন্ত অভ্যাসকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে তার থেকে থেকে স্বেচ্ছায় বের হয়ে আসা খুবই কঠিন। যেই গুলো দীর্ঘ দিনের অভ্যাস, সেই গুলো প্রায় অসম্ভব।
বিজ্ঞানীরা কিন্ত এই অভ্যাসের কারণটাও ব্যাখ্যা করছেন। তারা দেখাইছেন, অভ্যাসের কারণে, কিছু কিছু কাজে আমাদের ব্রেইনকে কম খাটতে হয়। ফলে, আমাদের ব্রেইন কম এনার্জি নেয়। তাই আমাদের মাথার সাইজ ছোট থাকে, যেইটার কারণে মায়ের পেট থেকে আমাদের ন্যাচারল বার্থটা সহজ হয়। প্লাস কম এনার্জি খরচ হওয়ার কারণে, আপনার কম খাইলে চলে।

মনে করেন, প্রতিবার সকালে উঠে যদি আপনার চিন্তা করতে হইতো আপনি ব্রাশ করবেন কি করবেন না। অথবা আপনি যদি গাড়ি চালান, তাইলে চিন্তা করে দেখেন,প্রথমে গাড়ি স্টার্ট করা, গিয়ার, কাচ, ব্রেক, রিয়ার ভিউ মিরর এই গুলো সম্পর্কে আপনি কত সচেতন ছিলেন। ব্রেইনকে ফুল এলারট থাকতে হইতো। কিন্ত অভ্যাসে পরে, এই গুলো আপনি ইজিলি করেন। মানে, এখন আপনার ব্রেইনকেও কম খাটতে হয়। কিন্ত শুরুতে আপনার ব্রেইনকে অনেক খাটতে হতো, অনেক এনার্জি নস্ট হতো।

তাই, আপনার নিজের প্রয়োজনেই আপনার মন অভ্যাস সৃষ্টি করে। ব্রেইন আপনার মতই ফাঁকিবাজ,সে চায় সব কাজে শর্টকাট। এবং এক বার যখন এইটা সেট হয়ে যায় তখন সে আর এইটা থেকে বের হইতে চায়না। আপনার ব্রেইন জানেনা গুড হাবিট কি, ব্যাড হাবিট কি। তার কাছে সব হইলো সর্ট কাট। এনার্জি প্রিজারভেশান।
তো যাক,বাংলা টা খুব সিম্পল।
অভ্যাস আপনার জীবনের জন্যে প্রয়োজনীয়। এবং আপনার ব্রেইন অভ্যাস মেনে চলার জন্যেই ডিজাইন করা।
তো আপনি যদি অভ্যাস চেঞ্জ করতে চান সেইটা ব্যাড হ্যাবিট হোক আর গুড হ্যাবিট হোক, আপনি আপনার প্রবৃত্তির সাথেই যুদ্ধ করতেছেন। খুবই কঠিন।
অভ্যাস পরিবর্তনে, বিলিফ বা বিশ্বাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে, আপনি পারবেন।
এবং পাওয়ার অফ হ্যাবিটে পুরো একটা চ্যাপ্টার আছে, হ্যাবিট চেঞ্জ করতে, বিলিফ কি গুরুত্বপূর্ণ। ইউ নিড টু বিলিভ আপনে পারবেন। এইটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই বইয়ে একটা জিনিষ আসে নাই, যেইটা ভিন্ন কিছু পড়াশোনা থেকে পেয়েছি- এইটা হইলো, প্যাশন বা ডিজায়ার। আপনার অভ্যাস চেঞ্জ করাটার ইচ্ছাটা তীব্র হইতে হবে। এবং আপনি যেই নতুন অভ্যাস দিয়ে, আপনি পুরাতন অভ্যাসকে রিপ্লেস করবেন, সেইটার ব্যাপারে প্যাশনেট না হইলে, আপনি কোন মতেই বাসাল গ্যাংগালিয়ার উপরে নিয়ন্ত্রণ আনতে পারবেন না।
তো এই যুদ্ধ কেমনে করবেন ? 

ওয়েল চান্সেস আর, আপনি হেরে যাবেন। পারবেন না। অভ্যাস রয়ে যাবে। আপনি বেস্ট যেইটা করতে পারেন, সেইটা হইলো,,

এক। আপনার অভ্যাস টাকে রিপ্লেস করতে পারেন, নতুন একটা অভ্যাস দিয়ে।
দুই।, আপনের নিজের জন্যে নতুন একটা রিওয়ার্ড তৈরি করেন।
তিন। আপনার কিউ গুলো চেঞ্জ করেন।
চার। রুটিনটা পালটে নিয়ে নতুন রুটিন বানান।

মনে করেন, আমি আমার জীবনে অনেক বার সিগারেট ছাড়ছি, জাস্ট কিউটা পালটে। মনে কারণ, চা যেহেতু আমার সিগারেটের কিউ। আমি চায়ের বদলে, পানি খেলাম। সেইটা আমার হ্যাবিট লুপে ডিজ্রাপ্ট করে।

অথবা, আপনি ফেসবুকে আসক্ত। আপনি অফিসের ব্রেকে গেলেন। মন সিগনাল দিলো, ফেসবুক ফেসবুক। এইটা আপনার কিউ। আপনি তখন ফেসবুকে না গিয়ে, ইউটিউবে ইন্টারেস্টিং কিন্ত শিক্ষামূলক ভিডিও দেখলেন। টেড দেখার অভ্যাস করলেন। 

মানে রুটিন টা চেঞ্জ করলেন।
কিন্ত, আপনি যদি অতিরিক্ত অভ্যস্ত হয়ে যান তখন আপনার খারাপ লাগবে। অস্বস্তি লাগবে। মনে হবে ধুর কি হবে ?

ওয়েল তখন, আপনি একটা দুই মিনিটের টাইমার সেট করে ফেসবুকে যান এবং এই শেষ করার জন্যে নিজেকে একটা রিওয়ার্ড দেন। মনে করেন, এইটা যদি পারেন, তবে আপনি একটা আইসক্রিম খাইলেন। অথবা আপনার কাছের কাউকে বলেন, একটা রিওয়ার্ড ডিজাইন করতে।

সফল অভ্যাস পরিবর্তনের করার জন্যে পরিবারের, বন্ধুদের সাহায্য নেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশে অনেক অভ্যাস নিরাময় গ্রুপ আছে যারা সপ্তাহে এক দিন বসে, আলোচনা করে। নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে। অনেক গ্রুপ আছে যেই খানে, একজনকে আরেক জনের সাথে এসাইন করে দেয়।

আপনার কিউ হিট করছে। তো এখন রুটিনে না গিয়ে, বন্ধুকে কল দেন। ডিসকাস করেন। এই গুলো সিরিয়াস রিসার্চের ফাইন্ডিং। হেল্প নেন। একলা একলা পারবেন না। কাছের কাউকে সাথে নেন। সে যেন আপনার, কিউ রুটিন রিওয়ার্ডে ইন্টেরাপ্ট করে। এবং ইন্টেরাপ্ট করলে হবেনা, নতুন হ্যাবিট গড়তে হেল্প করে।

তো আবার বলি, 

১। অভ্যাস পরিবর্তন করতে হইলে, কিউ গুলো পরিবর্তন করেন। দেখেন আপনি কিসের থেকে কিউ পাচ্ছেন। সময়, মানসিক অবস্থা, কোন আচার, আচরণ সব কিছুই কিউ হতে পারে। আপনি দেখেন, আপনার অভ্যাসের কিউ গুলোকি। এই গুলোকে পরিবর্তন করেন।

২। রুটিন যেইটা চেঞ্জ করতে চান। সেইটা লিখে ফেলেন। যদি না লিখেন তাহলে, আপনার হ্যাবিটে যখন কিউ করবে তখন, বাসাল গ্যাংগালিয়া আপনার উপরে কন্ট্রোল নিয়ে ফেলবে। তখন যদি আপনাকে চিন্তা করতে হয়, রুটিন নিয়ে, তখন আপনি বাসাল গ্যাংগালিয়ার সাথে হেরে যাবেন। যদি আপনার রুটিন গুলো লেখা থাকে, তবে, আপনি সেইটা দেখে অনুসরণ করেন। সেইটা ফলো করেন।

মনে করেন, আমার ফেসবুকে না ঢোকার জনে রুটিনের মধ্যে আছে, ইউটিউবে কিছু ভালো লার্নিং ভিডিও দেখা, আছে টেড দেখা, আছে কিছু ভালো সাইটে যাওয়া, আছে কিছু ভালো ডকুমেন্টারি দেখা। আমি মোবাইলে এই ভিডিও গুলো ডাউন-লোড করে রেখেছি যেন, আমি কিউ পেলেই রুটিন টা পালটে নিতে পারি।

৩। রিওয়ার্ড তৈরি করেন। এমন একটা রিওয়ার্ড দেন, যেইটা আপনার মন ক্রেভ করে।
৪। পুরো পরিবেশ পালটে ফেলেন এবং অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারবেন না ভেবে পরিবেশ সাজান। যদি আপনার অভ্যাস থাকে রাতে খাওয়ার পরেও, ফ্রিজ থেকে খুলে জাঙ্ক খাওয়া, তবে ফ্রিজ খালি রাখেন।
যদি অনলাইনে ঢুকে সময় নষ্ট করার অভ্যাস পাল্টাতে না পারেন, তবে স্মার্ট ফোন ছেড়ে ডাম্ব ফোন ব্যবহার করেন। খেয়াল রাখবেন, বাসাল গ্যাংগালিয়ার সাথে পাড়ার চান্স খুবই কম। সো, হারবেন ভেবেই জয়ের রাস্তা তৈরি করেন।
যাক, এইটা ৩০০ পাতার বই। এক স্ট্যাটাসে এইটার নিয়ে লেখার সম্ভব না। বইটা উচিত কারো না কারো ট্রান্সলেট করা।

কত দিন করতে হবে ?
মিনিমাম ৯৬ দিন। ইয়েস নতুন অভ্যাসটা আপনাকে ৯৬ দিন করতে হবে, নইলে সেইটা অভ্যাসে পরিণত হবে। একদিন ধুম করে বাসাল গাঙ্গালিয়া আপনাকে আবার পুরাতন অভ্যাসে নিয়ে যাবে। নাম্বার টা খেয়াল রাখবেন। মিনিমাম ৯৬ দিন। মানে তিন মাস।

এই বইটা পড়লে, আপনি বুঝবেন, অভ্যাস হয়ে গেলে যেহেতু এর থেকে মুক্তি নাই, তাই অভ্যাস ফরমিং এর সময়েই এই গুলো থেকে সতর্ক থাকা ভালো। বাচ্চাদেরকে শাসন করা এবং জ্ঞান দান করার চেয়ে ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার জন্যে বাবা মায়ের সতর্ক থাকা উচিত ।

কারণ, ছোট বয়সে আপনি যদি ভালো অভ্যাস গড়ে তোলান সেইটা তাকে সারা জীবন হেল্প করবে। একদম ছোট বয়সেই, শিশুদের হাতে স্মার্ট ফোন দিলে বা তাকে কার্টুনের মধ্যে ডুবিয়ে রাখার মত খারাপ অভ্যাস দিয়ে গড়ে তুললে সে সারা জীবন সাফার করবে।

রাষ্ট্র, সমাজ এবং প্রতিষ্ঠানে কিভাবে অভ্যাস গড়ে ওঠে এবং রিসার্চ, লিডারশীপ এবং স্ট্রাটেজির বদলে জাস্ট অভ্যাসের তাড়নায় প্রতিষ্ঠান গুলো কিভাবে চলে, সেই গুলো এই বইটায় ডিটেল ভাবে এসেছে যাক, সেইটা অনেক বড় আলোচনা সেই খানে আজকে আর গেলাম না

বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গুলো কিভাবে এই কিউ,রুটিন এবং রিওয়ার্ড সিস্টেমকে ব্যবহার করে কঞ্জিউমারর হ্যাবিট গড়ে তোলে সেইটা পাওয়ার অফ হ্যাবিটে চার্লস ডুহিগ দেখাইছে।

কিন্ত এক মিনিট চিন্তা করে দেখেন তো, এই যে আপনি ফেসবুকে ঢুকলেন, উপরের লাল নটিফিকেশানে টিপ দিলেন, তারপরে এই লেখাটা পড়লেন, লাইক দিলেন, আপনের নিজের স্ট্যাটাসে গিয়ে দেখলেন বন্ধুরা লাইক দিছে। আপনার মাথায় ডোপামিন সিক্রেশান হইলো। আনন্দ পাইলেন। 

এই খানে কিউ কোন টা, রুটিন কোন টা আর রিওয়ার্ড কোনটা?

আর এই হ্যাবিট লুপটা যদি ধরতে পারেন, তো বলেন তো, আসলে আপনার কোন ফ্রি উইল আছে নাকি, আপনি জাস্ট ভেড়ার পালের মত
বাসাল গ্যাংগালিয়াতে জুকারবারগের তৈরি করা অভ্যাসের, দাসের মত বিহেভ করলেন।

Compound Interest -আলবার্ট আইনস্টাইন

সর্বকালের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন
বলেছিলেন, "Compound Interest হল এই পৃথিবীর অষ্টম
আশ্চর্য্য"।


.
উনার এই কথার সাথে একমত হয়ে SUCCESS Magazine- এর
Publisher Darren Hardy একটি বই লিখেন The Compound
Effect নামে, যেটি The New York Times Bestseller.
.
এই বইটিতে কিছু চমৎকার Key Idea আছে যা আমাদের
সবাইকে একটা Perfect Life Resolution বানাতে সাহায্য করতে
পারে।


আচ্ছা বলুনতো,
কোন মানুষের Successful বা Failure হওয়ার পিছনে Root
Factor হিসেবে কাজ করে কোনটা? তার ছোটবেলা,
সে কিভাবে বড় হয়েছে, তার পরিবেশ নাকি অন্য কিছু?
.
লেখকের মতে সেই Root Factor হল তার নিজের
নেয়া ছোট ছোট চয়েজগুলো।
.
এই পুরো পৃথিবীতে শুধুমাত্র একটাই জিনিস আছে যেটা
যদি আমরা চাই তাহলে পুরোপুরিভাবে কন্ট্রোল করতে
পারি, সেটা হচ্ছে আমাদের চয়েজ। আর এই
চয়েজগুলোই আমাদের জীবনের প্রতিটি
ক্ষেত্রে আউটকামের জন্য দায়ী।
.
আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে অফিস থেকে ফেরার পর
জিমে যেতে পারেন বা সোফাতে শুয়ে টিভিও
দেখতে পারেন। আপনি যদি চান কোন কারনে আপনার
বউয়ের সাথে ঝগড়া হওয়ার পর সবকিছু ভুলে পিছনে ফিরে
তাকে জড়িয়ে ধরতে পারেন বা আপনার ইগোকে
প্রশ্রয় দিয়ে সেখান থেকে বেড়িয়েও আসতে
পারেন।
.
এরকম ছোট ছোট চয়েজগুলোই আমাদের সবকিছুর
আউটকামগুলোকে নির্ধারন করে: আপনি সারাজীবন সুস্থ্য
থাকবেন নাকি রোগের বয়ে বেড়াবেন, আপনি একটা
দীর্ঘ এবং মধুর সম্পর্ক পাবেন নাকি আপনার মেয়েকে
জবাব দিতে হবে কেন তার মাকে আপনি ডিভোর্স
দিয়েছিলেন।
.
কিন্তু আমরা এরকম ছোট ছোট চয়েজগুলোতে বেশি
মন দিই না, যদি আমি আপনাকে এখন দুটো অপশন দেই:
আপনাকে এখন ১ টাকা দিব যেটা আগামী ১ মাস প্রতিদিন দিগুন
হবে অথবা এখনই একবারে ১০ কোটি টাকা দিব; তাহলে আপনি
এর মধ্যে কোন অফারট নিতে পছন্দ করবেন।
.
বেশিরভাগ মানুষই, হয়তো প্রায় সবাই ২ নাম্বার অপশন অর্থাৎ ১০
কোটি টাকাই নিবে। আচ্ছা তাহলে আমি ১ নাম্বার অফারটা
নিজের কাছে রেখে দিলাম। এবার দেখা যাক ১ মাস পর এর
আউটকাম কি আসে।
.
৫ দিন পর আমার কাছে আছে ১৬ টাকা আর আপনার কাছে ১০
কোটি। ১০ দিন পর আমার কাছে আছে ৫১২ টাকা আর আপনার
কাছে সেই ১০ কোটি। ২০ দিন পর আমার কাছে ৫,২৪,২৮৮
আর আপনার কাছে সেই ১০ কোটি টাকা। আপনি এত টাকায়
অনেক মজাতেই আছেন।
.
এবার ৩১ দিন পর আপনার কাছে আছে এখনো সেই ১০
কোটি কিন্তু আমার কাছ আছে ১০৭,৩৭,৪১,৮২৪ অর্থাৎ ১০৭
কোটি টাকা। যেটা কিন আপনার থেকে ১০ গুন বেশি।
.
এবার তো বুঝা যাচ্ছে আইনস্টাইন কেন Compound Interest
ব্যাপারটাকে 8th Wonder of World বলেছেন। সাকসেস
জিনিসটাও ঠিক এই প্যাটার্নটাই ফলো করে।
.
Darren Hardy বলেছেন, "After 31 months or 31 years, the
person who uses the positive nature of the compound effect
appears to be an overnight success."
.
যেমন রুপক অর্থে রাশেদ, বিজয়, জুয়েল তিন বন্ধুর উদাহরন
দেখা যাক। তিনজনই একরকম পরিবেশে বড় হয়েছে, একই
জায়গায় থাকে আর ইনকাম মোটামুটি একই রকম। আর হ্যা ধরা যাক
তিনজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে এবং সবারই ওয়াইফের
সাথে একটু মনোমালিন্য চলছে।
.
নতুন মাস বা বছরের শুরু থেকে রাশেদ সবসময় যা করে
সেটাই করতে থাকল, কারন তার মনে হয় এটাতেই সে
খুশী আছে। হ্যা শুধু কখনো কখনো সবার ব্যাপারে
বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করা শুরু করল।
.
অন্যদিকে বিজয় একটি Daily Checklist বানিয়ে নিজের মধ্যে
কিছু ছোট ছোট Insignificant Positive Change আনা শুরু
করল। যেমন-
১- প্রতিদিন ঘুমানোর আগে একটা ভাল বইয়ের ১০ পৃষ্ঠা পড়া।
২- প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার বা ফেরার সময় গাড়িতে বসে বা
সুবিধামত সময়ে ৩০ মিনিট কোন Self Help/Motivational ভিডিও
দেখা।
৩- নিজের ডেইলি ডায়েট প্ল্যান থেকে ১২৫ ক্যালরি
কমালো।
৪- প্রতিদিন এক্সট্রা অন্তত ২ লিটার পানি খাওয়া।
৫- প্রতিদিন ১ মাইল হাটা।
৬- ব্যবসায়ীক স্বার্থ জড়িত প্রতিদিন অন্তত এমন ২/১ জনকে
ফোন দিয়ে খোজখবর নেয়া বা সম্পর্কোন্নয়ন।
৭- নিজের বউকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহে শুধুমাত্র ১ দিন
বাইরে ডিনারের জন্য যাওয়া।
.
এবার অন্যদিকে জুয়েল কিছু ছোট ছোট Insignificant
Negative Change আনা শুরু করল। যেমন:
১- প্রতিদিন লাঞ্চে একটু করে জাংকফুড খাওয়া।
২- কাজের চাপের অজুহাতে সপ্তাহে ৩/৪ দিন জিম মিস
দেয়া।
৩- প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার সময় ১ বোতল
কোল্ডড্রিঙ্কস খাওয়া।
৪- টিভিতে ফেভারিট শো দেখার জন্য ইভিনিং ওয়াক বন্ধ
করে দেয়া।
৫- সময়ের অভাবের অজুহাতে অফিসিয়াল যোগাযোগ
কমিয়ে দেয়া।
৬- ব্যস্ততার অজুহাতে বউয়ের সাথে বাইরে যাওয়াও বন্ধ
করে দিল।
.
পরব্ররতী ৫ মাসে ৩ বন্ধুর তেমন কোন পার্থক্য দেখা
গেল না। ১০ মাস পরেও একই। এবার বিজয় একটু একটু
ফ্রাস্ট্রেট হতে লাগল। কেননা এখনো সে কোন
পজটিভ রেজাল্ট দেখতে পায়নি তাও সে কোনরকমে
জেদ ধরে চালিয়ে গেল, যেখানে জুয়েল কম কাজ
করে জীবনকে উপভোগ করতে থাকল। আর
রাশেদও খুশিতেই আছে।
.
কিন্তু ২৫ মাস পর হঠাৎই এদের মধ্যে কিছুটা বড় পার্থক্য
দেখতে পাওয়া গেল, আর ২৭ মাস পর সেটা আরো
ক্লিয়ারলি দেখতে পাওয়া গেল।
.
And after 31 months the differences become poles apart.
.
রাশেদ এখন আরো বেশি কম্পলেইন করে সবার
ব্যাপারে। সে বেশিরভাগ সময়ই Bore এবং Purposeless অনুভব
করে।
.
জুয়েল রোজ একটু একটু জাংকফুড খেয়ে এবং জিম বাদ
দিয়ে ১৫ কেজি ওজন বাড়ালো, সাথে নানান রোগব্যাধি।
যোগাযোগ কমিয়ে দেয়ার ফলে বিজনেসের
অবস্থাও খারাপ হতে লাগল। ফলস্বরূপ আর্থিক অবস্থাও খারাপ
হয়ে গেল সেই সাথে বউয়ের সাথেও সম্পর্ক খারাপ
হয়ে ডিভোর্সের পর্যায়ে চলে গেল।
.
Small negative changes compounded for 31 months brought
a horrific result.
.
এবার আসা যাক বিজয়ের ব্যাপারে। এই ৩১ মাসে সে প্রায় ৫০
টি বই এবং ৪৬৫ ঘন্টা উপকারী ভিডিও দেখে নিয়েছে
যেটাতে তার Knowledge & Wisdom দুটোই আগের
থেকে অনেকগুণ বেড়ে গেল।
.
প্রতিদিন শুধু ১২৫ ক্যালরি কমিয়ে আর ১ মাইল হেটে ১৫
কেজি ওজন কমালো যে কারনে সে এখনো
আগের মতই স্লিম আর হ্যান্ডসাম। প্রতিদিন মাত্র ২ লিটার পানি
খেয়ে মোট প্রায় দুই হাজার লিটার পানি খেয়ে নিল যা কিনা
তার নিজের ভিতরে অনেক রোগকে বেড়ে ওঠা
কমিয়ে দিল।
.
আর প্রতিদিন মাত্র দুইটা কল করে সে মোট ১৮০০ কল দিল
যাতে সম্পর্ক ভালো হল ফলে বিজনেসও বাড়তে থাকল।
সপ্তাহে মাত্র একদিন বউকে ডিনারে নিয়ে গিয়ে মোট
১২৪ টা ডিনার ডেট করে ফেলল, যাতে তার বউ খুশী হল,
নিজেদের সম্পর্কটাও মজবুত হল।
.
Strong insignificant changes compounded for 31 months
brought an outstanding result for him.
.
.
কিন্তু!!
যদি সাকসেস পাওয়া এতটাই সোজা হয় আর আমরা সবাই
প্রসেসটাও জানি, তাহলে কেন আমরা এই সূত্রটা ফলো
করতে ব্যর্থ হয়ে যাই?
.
লেখকের মতে চারটি ফাঁদ আছে যার কারনে আমরা ব্যর্থ
হই বা Consistency ধরে রাখতে পারি না।



.
1- Starting Results Are Invisible
.
ভাবুন যদি আপনি আজ একটা বার্গার খান আর পরদিন সকালে ১৫
কেজি ওজন বাড়িয়ে ঘুম থেকে ওঠেন তাহলে কি আপনি
কোনদিনও একটা বার্গার খেতেন? অথবা আজ একটি সিগারেট
খান আর পরদিন সকালে আপনি গলায় ক্যান্সার নিয়ে ঘুম
থেকে ওঠেন, তাহলে কি আপনি কোনদিনও একটা
সিগারেট খাওয়ার সাহস করতেন?
.
কিন্তু সমস্যাটা হল শুরুতে কোন পরিবর্তনই চোখে ধরা
পরে না। কিছু মাস বা কিছু বছর পর হঠৎ যেন রাতারাতি কিছু ভয়ানক
ফলাফল সামনে এসে যায়, যতক্ষণে সেটাকে
আটকানোর আর সুযোগ থাকে না।
.
এই ফাঁদ থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে সবসময় এটা মনে
রাখতে হবে, "Every choice you make ignites a butterfly
effect" মানে আপনাকে সতর্ক হয়ে প্রতিটা চয়েজ মন
দিয়ে নিতে হবে।
.
2-Deceptiveness
.
লস এঞ্জেলসগামী কোন বিমান যদি ১ ডিগ্রিও Off Route
হয়ে যায় তো সেই প্লেন লস এঞ্জেলস থেকে
১৫০ মাইল দূরে অন্য কোন দ্বীপে গিয়ে ল্যান্ড
করবে। এবার আপনি ভাবুন যদি আপনিও নিজের জীবনে
শুধুমাত্র ১ ডিগ্রীও Off Route হয়ে যান ১০ বা ১৫ বছরের
জন্য, তাহলে জীবনের কোথায় গিয়ে ল্যান্ড
করবেন!
.
এটা থেকে বাঁচার জন্য একটা গাইডলাইন থাকা খুবই দরকার। যেমন
একটা Daily Checklist যেটা একটা ফুটপ্রিন্টের মত আপনাকে
On Track থাকার জন্য সাহায্য করবে। যদি আপনি কোন কারনে
কিছুদিনের জন্য অফট্র্যাক হয়েও যান তখন এই চেকলিস্টটা
আপনাকে অন ট্র্যাকে ফিরে আসার জন্য অনেকটা সাহায্য
করবে।
.
3- Immediate Gratification
.
আপনার কাছে দুটো অপশন আছে, ডিনারের পর আপনি একটা
হট চকলেট কেক খেতে পারেন বা শুধু ১ গ্লাস পানি
খেতে পারেন। আপনি পানি বেছে নিলেন আর আপনার
একটা বন্ধু নিল কেক। বন্ধু খুব আনন্দে ওই কেকটাকে
আপনার চোখের সামনে মজা করে খেতে লাগল। আর
এদিকে আপনি শুধু পানি খাচ্ছেন যেটার এতটুকুও কোন স্বাদ
নেই। তখন কেমন লাগবে আপনার?
.
এটাই ফাঁদ!
যদি আপনি শর্ট টার্মে দেখেন তাহলে কোন ভাল
চয়েজ বেছে নিলে তাতে আপনি কিছুই পান না কিন্তু যদি
একটা খারাপ চয়েজকে বেছে নেন তাহলে আপনি
অনেক খুশী আর মজা লাভ করেন।


.
Which is a great paradox.
.
যেমন Darren Hardy বলেছেন,
"Short term pleasures create long term pains and short term
pains create long term pleasures.
.



জীবনে একবার তো আপনাকে কষ্ট করতেই হবে,
আপনি এটাকে Skip করতে পারবেন না। এই কষ্ট দুই ধরনের
হয়: Pain of Discipline এবং Pain of regret.
কিন্তু ডিসিপ্লিনের কষ্টে ওজন শুধু কয়েক গ্রাম এবং
কিছুদিনের যেখানে রিগ্রেটের কষ্টের ওজন কয়েক
টন এবং আজীবনের।
এবার চয়েজ আপনার।
.
4- What is easy to do is also not easy to do.
.
চেকলিষ্ট Maintain করা, প্রতিদিন শুধুমাত্র দুই বোতল পানি খাওয়া,
১ মাইল হাটা; এইসব কাজ করা খুবই সহজ।
হ্যা সহজ তো বটেই কিন্তু এটা করা অনেকটা মুশকিলও।
.
লেখক বলেছেন শুধুমাত্র একটা জিনিস এরকম আছে যেটা
Successful এবং Unsuccessful দুধনের লোকেদের
মধ্যেই Common, তাদের কেউই ভাল চয়েজটা বেছে
নিতে ভালবাসে না।


.
হ্যা এটাই সত্যি!
হট চকলেট কেকের পরিবর্তে শুধু স্বাদহীন পানি
খেতে কেউই ভালবাসে না, কিন্তু সাকসেসফুল
লোকেরা তাও যেকোন ভাবে তাদের Will Power বা
নিজের Why Power- কে কাজে লাগিয়ে সেই কাজটা
করে নেয়।
.
যেমন মোহাম্মদ আলী বলেছেন,
"I hated every minute of training but I love being a world
champion."



.
তো এই ফাঁদ থেকে বাঁচার জন্য আপনার ওই Why টাকে
খুজে বের করতে হবে। এই Why যত পাওয়ারফুল হবে
আপনিও ততটাই পাওয়ারফুল হবেন।
.
So prepare a Checklist on daily basis, which will guide you
throughout the year to stay on the right track.
.
One thing is fixed that you can never escape from the
compound effect, either u earn it or you pay for it.












Sunday, October 22, 2017

Start With Why







ORIGINAL ARTICLE:  তো WHY-ই সব

রিসেন্টলি যারা টেডের বিভিন্ন ভিডিও দেখেছেন তারা সেরা বিশটির একটি ভিডিও বলতে সাইমন সিনেকের একটা ভিডিওকে রেফার করে থাকেন। আমি Rachel Smith-এর টেডের ভিডিও দেখে তাকে কয়েকটা ভিডিও রেফার করার অনুরোধ করেছিলাম। র‍্যাচেল আমাকে তিনটে ভিডিও পাঠায়, যার একটা সাইমনের। সাইমন তার বিখ্যাত এক লাইন “People don’t buy WHAT you do, they buy WHY you do it.”-এর জন্য দারুণ আলোচিত। এটার ব্যাখার সবচেয়ে সহজ উদাহরণ অ্যাপল, মানুষ আইফোন বা আইপ্যাড কেনে না, কেনে অ্যাপলের ইনোভেশনের যুক্তিকে। সাইমনের বিখ্যাত বই Start With Why





WHY আসলে আমাদের বিশ্বাসটা। আমরা অফিসে যাই কাজ করতে, যা কিনা What। কিন্তু কেন যাই সেটা অনেকেই জানি না, Why যেহেতু নাই সেহেতু সেখানে শুধু কাজই করে যাই আমরা। প্রথমে WHY, তারপরে HOW এবং সবশেষে WHAT-ই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সূত্র হওয়া উচিত বলে মনে করে সাইমন।
যে কারণে মানুষ জিনিষপত্র কেনে
আপনি বিজ্ঞাপন দিয়ে পণ্য কেনাতে পারেন মানুষকে। কিন্তু সেটা কত দিন? লয়াল কাস্টমার তৈরিই কিন্তু পণ্য কেনানোর সবচেয়ে সহজ কিন্তু কঠিন উপায়। উইন্ডোজ অপারেটিং মানুষ কেন ব্যবহার করে তারা তা জানে না, কিন্তু যারা ম্যাক বা উবুন্টু-লিনাক্স ব্যবহার করে তারা নিজেদের লয়াল ভাবে। যারা টরেন্ট সাইটগুলো ব্যবহার করে তারা যেমন নিজেদের একটা বিশেষ দল ভাবে, তেমনি আইফোন যারা কেনে তারাও নিজেদের একটু আলাদাই ভাবে। কিন্তু স্যামসাং বা অন্য কোন ফোনের লয়াল কাস্টমার নেই। নোকিয়ার ছিল একটা সময়, এখন নেই কিন্তু।
সাউথওয়েস্ট এয়ারওয়েজের অনেকগুলো রেফারেন্স বইটায় আছে। নাইন এলিভেনের ঘটনার পরে মানুষ সাউথওয়েস্টকে চেক পাঠিয়েছিল লস যেন কম হয় তার জন্য, লয়াল কাস্টমাররাই সাউথওয়েস্টকে সেই ১৯৭০ সাল থেকে লাভের মুখ দেখাচ্ছে।
কর্মীরা আগে
সাউথওয়েস্ট এয়ারওয়েজ তার কর্মীদেরকেই সর্বপ্রথম প্রায়োরিটি দেয়। কর্মীরা আপনার উপর খুশি থাকলেই ভালো কাস্টমার সেবা দেবে, কোম্পানির সুনাম বাড়বে। ওয়ালমার্ট স্যাম ওয়ালটন যত দিন বেঁচে ছিলেন ততদিন দারুণ ছিল, স্যাম তার কর্মীদের প্রায়োরিটি দিতেন। স্যাম চলে যাবার পরে ওয়ালমার্ট কিন্তু অনেক কেলেঙ্কারির মুখোমুখি হয়েছে।

বেশ দারুণ একটা বই। পড়ে উপযোগিতা খুঁজে বের করেছি।







The 1 Thing

The ONE Thing In Action

American businessman Bill Gates is a great example of The ONE Thing lifestyle in action.
§  Bill’s ONE passion in high school was computers.
§  This led him to develop ONE skill, computer programming.
§  In high school, he got ONE job in the computer programing field.
§  Which led to him eventually starting ONE company - Microsoft.
§  Bill’s company, Microsoft focussed on ONE thing -- the development and sale of BASIC interpreters for the Altair 8800,
§  which eventually made Bill the ONE richest man in the world for 15 years in a row.
§  After Bill retired from Microsoft, he and his wife Melinda formed ONE foundation that focused on ONE Thing: to tackle some of the world’s “really tough problems” like health and education.
§  The majority of the foundation’s money went to ONE area, their Global Health Program -- which had ONE goal: the use science and technology to save lives in poor countries…
§  To do this, they settled on find a solution to the ONE major cause of death -- infectious disease...
§  The ONE solution they came up with was vaccination. Because it’s the ONE most impactful thing they can put their money towards to solve their ONE ultimate focus: to tackle some of the world’s “really tough problems.” (See how it all ties together?)

The Six Lies That Are Holding Back Success

§  Everything Matters Equally
§  Multitasking is a good thing
§  You must be Disciplined Life to Succeed
§  Willpower is Always on Will Call
§  A Balanced Life
§  Big Goals are Bad


USE THE 80/20 PRINCIPLE.

the 80/20 principle says that the MINORITY of your effort leads to the MAJORITY of your results…
§  20% of your customers usually account for 80% of your profits.
§  20% of your investments usually account for 80% of your returns.
§  20% of your habits usually result in 80% of your success.

IDENTIFY WHAT'S MOST IMPORTANT & GIVE IT YOUR UNDIVIDED ATTENTION.

A SMALL DOSE OF DISCIPLINE DEVELOPS INTO A LONG-LASTING HABIT.

THE FOUR  THIEVES OF PRODUCTIVITY (AVOID THEM AT ALL COST.)

“One-half of knowing what you want is knowing what you must give up before you get it.”
1.    Inability to Say “No”
2.    Fear of Things Being Left Undone
3.    Poor Health Habits
4.    Environment that Doesn’t Support Your Goals

NO REGRETS.

Keller mentions an excerpt from a book written by Bronnie Ware titled “The Top Five Regrets of the Dying”. Without further ado, here they are:
1.    “I wish that I’d let myself be happier”
2.    “I wish I’d stayed in touch with my friends”
3.    “I wish I’d had the courage to express my feelings”
4.    “I wish I hadn’t worked so hard”
5.    “I wish I’d had the courage to live a life true to myself, not the life others expected of me.”
Print that out and put it on your desk.

Ref. quotes




"দুটি খরগোসকে ধাওয়া করলে তুমি একটাও ধরতে পারবে না"
তুমি কি জানো জীবনে সাফল্য লাভের নিগুঢ় রহস্যটি কি? মিচ এর দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আচমকাই প্রশ্ন করলো কার্লি।
মিচ বললো - না, কি সেটা?
এই যে এটা। (কার্লি তাঁর হাতের তর্জনী উচিয়ে দেখালো)।
তোমার আঙ্গুল! বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করলো মিচ।
কার্লি বললো - একটি জিনিস। কেবলি একটি বিষয়। বাকি সব ভুলে গিয়ে তুমি শুধুমাত্র সেটা নিয়ে লেগে থাকবে। এটাই জীবনে সাফল্য লাভের একমাত্র উপায়।
দারুন বলেছো তো! কিন্তু সেই “একটি জিনিস” কি? মিচের প্রশ্ন।
কার্লির সরল উত্তর - সেই “একটি জিনিস/কাজ/ বিষয়” তোমাকেই খুঁজে বের করতে হবে।
সিটি স্লিকার্স নামক একটি জনপ্রিয় কমিডি মুভির দুটি জনপ্রিয় ক্যারেক্টারের কথোপোকথন এটি। মিচ আর কার্লি দলছুট গরু খুঁজতে বের হয়ে এক পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে তাঁদের জীবন সম্পর্কে আলাপের এক পর্যায়ে কার্লি মিচকে কথাগুলো বলছিল।
কাল্পনিক এই চরিত্র দুটির কথোপোকথন যেন আমাদের কর্ণ কুহরে সাফল্যের গোপন সূত্রটি বলে দিয়ে গেল। স্বেচ্ছায় বা দৈবক্রমে, যেভাবেই চিত্রনাট্যটি লিখে থাকেন না কেন, লেখক কিন্তু একেবারে সত্যি কথাই বলেছেন। “একটি জিনিস/কাজ/ বিষয়” আসলে তোমার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছানোর একমাত্র উপায়।
“ডাকটিকিট এর মত হও। যতক্ষন পর্যন্ত না গন্তব্যে পৌছে যাচ্ছো, ততক্ষণ লেগে থাকো”।
১৯৯১ সালের ৭ জুন, "সিটি স্লিকার্স" মুভি দেখতে গিয়ে “দ্যা ওয়ান থিং” বইয়ের লেখক জি. ডাব্লিউ কেলার মুভির কাল্পনিক চরিত্র কার্লি আর মিচের মধ্যকার এই কথোপোকথন শুনে নড়েচড়ে বসেন। কেলার বলছেন -
অতীতে আমি সাফল্য পেয়েছি কিন্তু এটা ততক্ষণ পর্যন্ত আসেনি যে পর্যন্ত না আমি আমার এপ্রোচ ও কর্মফল কে সংযুক্ত করতে পেরেছিলাম। এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যে আমরা দেশে এবং বিদেশে সফল একটা কোম্পানি দাঁড় করিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন সব কেমন তালগোল পাকিয়ে গেল। সব রকম আত্মত্যাগ ও পরিশ্রমের জন্য প্রস্তুত থাকার পরেও আমার জীবন অনিশ্চয়তায় পড়ে গেল এবং মনে হচ্ছিল আশপাশের সব কিছু যেন চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। আমি ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছিলাম।
গলায় ফাঁদের মত আটকে যাওয়া হতাশা আমি আর নিতে পারছিলাম না। আমার সাহায্যের দরকার ছিল আর আমি তখন একজন কোচ খুঁজে নিলাম যিনি আমাকে পরমর্শ ও দিক নির্দেশনা দিতে পারবে। আমি তাঁর কাছে গেলাম আর আমার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের বর্তমান ভঙ্গুর অবস্থার কথা সব খুলে বললাম । আমরা দুজন মিলে আমার লক্ষটাকে এবং জীবনের কাঙ্খিত গতিপথটাকে পুনরায় বিশ্লেষন করে নিতে চেষ্টা করলাম। সব কথা শুনে তিনি আমার সমস্যাগুলোর উত্তর খুঁজতে লাগলেন। তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে সবকিছু অনুসন্ধান করলেন।
কিছুদিন পর আমরা যখন আবারো মিটিংয়ে বসলাম। তখন তাঁর কাছে ছিল আমার প্রতিষ্ঠানের “অরগানাইজেশন্যাল চার্ট”। এটা যেন ঠিক “পাখির চোখে দেখা” আমার পুরো কোম্পানির একটা স্থির চিত্র।
খুব সাধারন একটা প্রশ্নের মাধ্যমে আমাদের আলচনা শুরু হয়েছিল। “তুমি কি জান, ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তোমাকে কি করতে হবে?
আমার কোন ধারনা ছিল না।
তিনি জানালেন - আমার কেবল “একটা কাজ” করতে হবে। তিনি খুঁজে বের করেছিলেন আমার প্রতিষ্ঠানের ১৪টি জায়গাতে নতুন মুখ প্রয়োজন। এই ১৪টি জায়গা নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে।। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস এই জায়গাগুলোতে সঠিক লোক বসাতে পারলে আমার জীবন, আমার কোম্পানি এবং আমার চাকুরি নতুন সম্ভাবনার দিকে একটা আশু পরিবর্তন দেখবে। আমি একথা শুনে একটা ধাক্কা খেলাম আর তাকে জানালাম - আমি ভেবেছিলাম যে, পরিবর্তনের তালিকাটা আর অনেক লম্বা হবে! তাছাড়া এর থেকে আরো বেশি লোকও আমি নিতে পারি।
“না, যিশু খ্রীস্ট্রের প্রয়োজন ছিল ১২ জন। তোমার লাগবে ১৪ জন।”
এটা ছিল বৈপ্লবিক মূহুর্ত। আমি কখনই ভাবিনি যে মাত্র একটা ব্যাপার এতটা পরিবর্তন আনতে পারবে। এটা পরিস্কার হয়ে গেল যে আমি আসলে ততটা নিবেদিতপ্রাণ ছিলাম না যতটা “আমি ছিলাম” বলে ভেবেছিলাম। পরিস্কারভাবেই ১৪টা লোক খুঁজে বের করা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তাই, ঐ আলচনার পরে আমি একটা বেশ বড় সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি নিজেকেই চাকুরিচ্যুত করলাম!
আমি নিজেকে সিইও হিসেবে নামিয়ে আনলাম আর সেই কাঙ্খিত ১৪ জনকে খুঁজে বের করার বিষয়টা আমার “একমাত্র লক্ষবস্তুতে” পরিনত করলাম।
এবার যেন সত্যি সব নড়ে চড়ে উঠলো। তিন বছরের মধ্যে আমরা স্থিতিশিল একটা উন্নতি করা শুরু করলাম যেটা পরের এক দশক ধরে আমাদের প্রতি বছর ৪০% হারে গ্রোথ হচ্ছিল। আমরা দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও প্রসার করলাম। অসাধারন সাফল্য এসে ধরা দিল, আমাদের এর পরে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
যেহেতু সাফল্য সাফল্য আনে, সেহেতু যাত্রাপথে আমরা আর নানান ধরনের সাফল্য লাভ করলাম। সেখান থেকেই এই “ওয়ান থিং” ধারনার যাত্রা শুরু হলো।
সেই ১৪ জনকে পাবার পরে আমি একে একে আমাদের শীর্ষ্য কর্মকর্তাদের সাথে তাদের ক্যারিয়ার এবং আমাদের ব্যবসার অগ্রযাত্রা নিয়ে নিয়মিত কাজ করতে শুরু করলাম।
অভ্যসবশত, আমি অনেকগুল কর্মসূচী নিয়ে আমাদের মিটিগুলো শেষ করতাম যেগুলো পরবর্তী মিটিংয়ের আগেই আমার কর্মকর্তরা শেষ করতে রাজী হয়ে যেত। অনেকেই অধিকাংশ কাজ শেষ করে আসতো কিন্তু দূরভাগ্যবশত অনেক সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি বাদ পরে যেত। কাঙ্ক্ষিত ফল আসছিল না। ফলশ্রুতিতে হতাশা এসে ভর করছিল। কাজেই তাদের সফল করার নিমিত্তে আমি কাজের তালিকাটাকে আরো ছোট করতে চাইলাম। শুধু তিনটা কাজ করা যায় কিনা? কিংবা শুধুমাত্র দুইটা কাজ?
কিছুতেই কাজ হচ্ছেনা দেখে হতাশ হয়ে পরলাম এবং হতাশা থেকে আমি কর্মী তালিকাকে যত ছোট করা যায় ততই ছোট করতে চাইলাম এবং বললাম “তোমরা কি কেবল একটিমাত্র কাজ করতে পারবে যেটা করলে বাকিগুল আপনা আপনি সহজ হয়ে যায় বা করাই লাগে না?” এবং সবথেকে সুন্দর ঘটনাটা এরপরেই ঘটল। কাজের ফল যেন আকাশের সীমানা ছুঁতে চাইল।
এ ঘটনার পরে আমি আমার জীবনের সাফল্য ও ব্যর্থতার দিকে ফিরে তাকিয়ে মজার একটা জিনিস আবিস্কার করলাম। আমি যখনি বড় কোন সাফল্য পেয়েছি তখন আমি কেবল একটা জিনিসেই সব মনোযোগ দিয়েছিলাম আর যখনই অনেক কিছু করতে চেয়েছি, আমার সাফল্যের পরিমান কমে এসেছে।


Disclaimer

Disclaimer: All the information on this website is published in good faith and for general information purpose only. Some content i...