Pages

Thursday, June 13, 2019

জীবনে আসলে সব কিছুই অর্জন করা সম্ভব..যেভাবে

জীবনে আসলে সব কিছুই অর্জন করা সম্ভব….যতক্ষণ না আমরা একবারে একটি করে কাজ শেষ করি। আমরা সবাই পেশাদার মাল্টিটাস্কার। এক হাতে ৫ কাজ নিয়ে না বসলে পেটের ভাতই হজম হয় না। বহু সফল ব্যক্তির বায়োগ্রাফি পড়ে দেখার পরে বুঝতে পারছি এটা আসলে সফল হওয়ার দারুণ এক টাইম-টেস্টেড কৌশল।
আমরা মানুষ, একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী সম্ভবত যারা দুনিয়ার সব কাজ একসঙ্গে করার যোগ্যতা রাখি। আমরা প্রতিদিন নতুন নতুন কাজ শুরু করি পুরনো কাজ শেষ না করেই। অদ্ভুত।

হাজারও কাজ আমাদের দ্বিধার মধ্যে ফেলে দেয়। যে কারণে একটি কাজ করার সময় আমরা মনোযোগ স্থির রাখতে পারি না। আমরা মাল্টিপল গোল ঠিক, আর বিশ্বাস করি মাল্টি-টাস্কের মাধ্যমে সব করা সম্ভব। আসলে না।
আমাদের আসলে একটি নির্দিষ্ট মুহূর্তে একটি কাজ করা উচিত বা একটি বিষয়ে মন দেয়া দরকার, তা না করে একবারে দুনিয়ার সব কাজ নিয়ে বসি। এই অদ্ভুত সমীকরণে পিছিয়ে পড়ছি আমরা।

‘একবারে এক’ বা ‘ওয়ান থিং’ বলে যারা স্টার্ট-আপ সিইও বা ভালো ম্যানেজার আছে একটি কৌশল অনুসরণ করেন। জীবনের সব ক্ষেত্রেই একবারে এক কৌশলটি প্রয়োগের চেষ্টা করেন তারা।
আপনি একবারে কিন্তু ভালো চাকরি, সুস্বাস্থ্য, কিংবা ম্যারাথনে দৌড়ানো, বই লেখা, ইন্দোনেশিয়া ঘুরতে যাওয়া, কিংবা ব্যবসায়ে সফল হতে পারবেন না। কিন্তু পুরো জীবনে আপনি একটা একটা করে সব করতে পারবেন। বিষয়টা হচ্ছে প্রায়োরিটি দিয়ে একটা একটা করে কাজ শেষ করা। জীবনকে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিতে হবে। আমি এই কৌশলটা সম্প্রতি শিখেছি। ক্যারিয়ার, স্বাস্থ্য, পড়াশোনা, অর্থ আর রিলেশনশিপে আমার সব কিছু ভাগ করে নিয়েছি।

প্রতিটি ক্যাটাগরিতে আমি একটি একটি লক্ষ্য ঠিক করে তার জন্য কাজ করছি। আমি এক ক্যাটাগরিতে দুটো কাজ পাশাপাশি রাখি না আর। আমি একই সঙ্গে দুটো বই লেখার প্রজেক্ট মাথায় নিচ্ছি না। একবারে এক করে কাজ এগোচ্ছি। এর পাশাপাশি আমি একবারে একটি স্কিল শেখার চেষ্টা করছি। আমরা অনলাইনে বসলে একসঙ্গে ফটোশপ, ডিজিটাল মার্কেটিং আর অ্যাকাউন্টিং সব শেখা শুরু করি। যে কারণে শেষ পর্যন্ত আসলে কিছুই শেখা হয় না।
নিজের জীবনের প্রেক্ষিতে আমাদের এসব ক্যাটাগরি ভাগ করে নেয়া উচিত। যখন ইচ্ছে তখন আমরা আমাদের জীবনকে নানা ভাগে ভাগ করতে পারি। যদি ক্যাটাগরি অনুসারে ভাগ না করেন তাহলে জীবনে কাঠামো বা স্ট্রাকচার গড়ে তোলা সম্ভব না। পরিবার, কর্মস্থল ও জীবন তিনভাগেও ভাগ করে নিতে পারেন। যদি জীবনে কোন স্ট্রাকচার না থাকে তাহলে জীবনে শুধু কেয়োস বা মহাগ্যাঞ্জাম তৈরি হবে। এবং মনে রাখা দরকার আমাদের যে, গ্যাঞ্জামের সময় সব এক সঙ্গে গ্যাঞ্জাম শুরু হয়। যা খুব খারাপ।
ছবিতে দেখুন। একটা একটা সাফল্য বড় না এক সাথে সবখানে দৌড়ে কিছুই অর্জন বড়?


নিজের উত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রণ করুনআমরা সাধারণ মানুষ তাই লক্ষ্য হিসেবে ঠিক করতে চাই, যা আমরা করতে চাই। আসলে তা করার আগে আমাদের মন ঠিক করতে হবে। ‘আমি সব করবো’, এই ভাবনার বদলে ‘আমার যা আছে তা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট’, ভাবতে শিখুন। নিজের মনকে একবারে এক কাজে যুক্ত হতে অভ্যস্ত করতে হবে। একসাথে দুইকাজকে সরাসরি না বলতে হবে। নিজের উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আপনি একবারে এক কাজ করা শিখতে পারেন। 
মাইন্ডফুলনেস বা স্টোয়িসিজম দারুণ বুদ্ধি হতে পারে এজন্য। এই দুই মতবাদ আমাদের বর্তমানে থাকতে শেখায়। একবারে এক কাজ করতে উৎসাহ দেয়।
এক কাজ করতে চর্চা করুনআজীবন মাল্টিটাস্কিং করে আসছি, এখন কি আমাদের আর সিঙ্গেল টাস্ক করতে আগ্রহ জন্মায়?আর প্রযুক্তির কল্যাণে তো একবারে এক কাজ করা অসম্ভব। এক্ষেত্রে যা করতে পারি:
-১৫মিনিট হেটে আসা যায় বিকেলে, মোবাইল কিংবা হেড-ফোন সাথে না নিয়ে
-পুরো একদিন মোবাইল ফোন এরোপ্লেন মুডে রাখা যায়
-যখন কোন মিটিং বা কনভারসেশনে থাকবেন কোনভাবেই মোবাইলে কথা বলবেন না
-মিটিংয়ে ইমেইল চেক করবেন না
বিং প্রেজেন্ট বা বর্তমানে থাকার সুবিধা হচ্ছে আমরা কম বিভ্রান্ত হতে পারি।
সব সময় জীবনে বড় করে সব দেখার চেষ্টা করুন। জীবন এখন হয়তো আপনার কাছে ১ মিনিটের ভিডিও, কিন্তু জীবনটা বড় সিনেমার মত। অনেকগুলো মুহূর্ত মিলে একটি বড় সিনেমা, একটি বড় জীবন। এক মুহূর্তে কখনই দুই কাজ করে ৩ ঘণ্টায় ৫টা করা সম্ভব নয়। You are the maker of your own life.




চেয়ার তত্ত্ব

আলিয়া ভাট আর শাহরুখ খানের সিনেমা ডিয়ার জিন্দেগী। ভারতের গোয়াতে শুটিং লোকেশন ছিল মুভিটা তাই দেখার লিস্টে ছিল অনেকদিন। সেই মুভিটায় শাহরুখ খান ওরফে ড. জাহাঙ্গীরের ভূমিকা ছিল একজন থেরাপিস্ট হিসেবে, আর আলিয়া ওরফে কাইরা ছিল মারদাঙা উড়াধুরা সেই লেভেলের একটা মানুষ-যার জীবনে আমাদের মতই আবেগ -অনুভূতি আর হতাশা ভর করে। এই মুভিতে কাইরার প্রেম করার মানুষ খোঁজা নিয়ে হতাশা ছিল। সেই হতাশায় দ্বিধায় ছিল কাইরা, সেখানেই থেরাপিস্ট ড. জাগ তাকে চেয়ার থিওরী বলে জীবনের দারুণ একটা কথা বুঝিয়ে দেয়।
চেয়ার তত্ত্বের প্রেক্ষিত: কায়রার প্রথম প্রেম ছিল একজন সিনেমা পরিচালকের সঙ্গে, এরপরে হয় একজন গায়কের সঙ্গে। দুজনেই সুর্দশন, কিন্তু কায়রার সঙ্গে তাদের জোড় আর গড়ে ওঠেনি।
চেয়ার থিওরী: আমরা দোকানে চেয়ার কিনতে যাই। গিয়েই কি হুট করে প্রথম যে চেয়ার পছন্দ করি, তাই কিনে বাড়িতে নিয়ে আসি? উত্তরটা নিশ্চয়ই, না! তো আমরা কি করি? অনেক দোকানে ঘুরি? অনেক চেয়ার দেখি। কোনটার রঙ পছন্দ হয়, কোনটার স্টাইল, আবার কোনটায় বসে মজা নেই, কোনটা বসলে আরাম পাওয়া যায় না। অনেক ঘোরাঘুরি করেই আমরা পছন্দের চেয়ার কিনি।
সিনেমার চেয়ার থিওরী: ডিয়ার জিন্দেগীতে ড. জাহাঙ্গীর কায়রাকে এভাবে জীবনসঙ্গী বেছে নেয়ার একটা কল্পনা ধরিয়ে দেন। জীবনসঙ্গী বিষয়টাও খোঁজার বিষয়- খুঁজতে হয়, বেছে নিতে হয়; তারপর তাকে জয় করতে হয়।
সিনেমার মত কি আর জীবন চলে? চেয়ার থিওরীটিকে বাস্তবে আনার চেষ্টার জন্যই এই পোস্টটা লিখছি।
চশমা তত্ত্ব: ডিয়ার জিন্দেগীর কথাটা ছিল, জীবনসঙ্গী খুঁজতে হয়। সেই খোঁজাকেই বাস্তবে খোঁজার চেষ্টা করেছি আমি। আমরা যখন চশমা কিনতে যাই, তখন যে চশমা পছন্দ হয় তাই কি কিনে নিয়ে আসি? মনে হয় না! একটু পরে দেখি, আয়নায় দেখি কেমন লাগে আমাদের। অন্যরা ভালো বললেও নিজের কাছে ভালো না লাগলে সেই চশমা আমরা কিনি না।
আমাদের জীবনটাও বেশ বড় অর্থেই এমনটা কিন্তু!
আমরা যখন প্রথম চাকরি পাই, ধরেই নিই সেই চাকরি আমাদের জীবনের সেরা চাকরি। অনেকটা সময় কাটানোর পরে অনেকক্ষেত্রেই মনে হয় “আমি এ কি করছি?”
“আমি এ কি করছি?”, অনেকটা জীবন কাটিয়ে দেয়া অনেক মানুষের কাছ থেকে এ প্রশ্ন জেনেছি। নিজেকেই তারা প্রশ্ন করেন, তারপরে কেউ কেউ উত্তরের জন্য উত্তর-দক্ষিণ মেরু পাড়ি দেন। আবার কেউ হতাশার চাপে একঘেঁয়ে জীবনের ঘানি টেনে কালো সব চুল সাদা করে ফেলেন।
চেয়ার থিওরীকে বাস্তবে এনে দেখা যেতে পারে। কোন সিদ্ধান্তই শেষ কিংবা চরম ধরে বসে নেয়া ঠিক না। একটার পর একটা অপশন তৈরি করে সামনে এগিয়ে নিতে যাওয়াটাই বোধহয় জীবন।

—–
ডিয়ার জিন্দেগীতে দারুণ একটি লাইন খুঁজে পেয়েছি, অনেক সময় সরল সমাধানই খুঁজে বের করা সরল কাজ। যে সরল কাজে আমাদের জীবনটা সরল হওয়ার সম্ভবনাই থাকে। আমরা কি করি? সব সময় কঠিন সমস্যা সমাধানে ব্যস্ত থাকি, কঠিনকে খুঁজতে গিয়ে হারিয়ে ফেলি জীবনের সহজ সঙ্গাকেই।
তখন শূণ্যতা ভর করে শুধু।

Original Link

অপেক্ষা কিসের জন্য?

ভবিষ্যতে ভালো কিছু হবে, আমরা এই প্রত্যাশায় বসে থাকি। ভবিষ্যতে ভালো চাকরি, ঘুরতে যাওয়া-সব হবে। সেই ভবিষ্যৎ আসলে আসবে কবে? একটি গাছের নিচে আমরা অপেক্ষা করতে থাকবো, আর ভবিষ্যৎ চলে আসবে? এমনটাই তো করি আমরা সাধারণ মানুষেরা। “Life to Happen” জীবনে যা ঘটবে তাই নিয়ে বসে থাকি আমরা। কেমন জানি ট্রেনে চড়ার মতো। ট্রেন স্টেশনে আসবে, আমরা মালপত্র নিয়ে ট্রেনে ওঠে বসব। ৮/৯ ঘণ্টা পরে ট্রেন আমাদের জায়গা মতো নামিয়ে দিবে। এটাই সরল অংক ধরে নেই আমরা জীবনের জন্য।

আসলেই কি আমরা বসে থাকবো, অপেক্ষা করবো? পিটার সেজ নামের এক ভদ্রলোকের টেড বক্তব্য দেখছিলাম, তিনি অপেক্ষা করতে মানা করেছেন। যারা সফল কিংবা দারুণ জীবন উপভোগ করেন তারা জীবনের জন্য অপেক্ষা করেন না। তারা প্রতিদিন জীবন তৈরি করেন। আমরা কালকের কথা মাথায় রেখে আজ অনেক কিছু করি না, যেটা ভুল। আজ যা করার কথা তাই করতে হবে।

জীবন হচ্ছে আয়নার মতো, আপনি নিজের ভেতর থেকে যা দিবেন, তাই আয়নাতে দেখতে পাবেন। আপনি বসে থাকলে আয়নায় কিছুই দেখতে পাবেন। এই মুহূর্তে যা করার কথা তাই করতে হবে।


Original Writer/Post Credit/Original Post Link

৫মিনিট সময় হবে আপনার? যে ১৫টি আইডিয়ার কথা জানলে আপনার জীবন বদলে যাবে!

আমি সম্ভবত পৃথিবীর শেষ মানুষদের একজন যার কাছে জীবন বেশ সহজ মনে হয়। আমি চিন্তা করি না, যে কারণে আমার কাছে কঠিন মনে হয় না জীবন। সম্প্রতি আমি বেশ কিছু বিষয় জেনেছি বা শিখেছে যা অনেক কিছু বদলে দিয়েছে।
যেভাবে আমরা চিন্তা করি, তা আমাদের জীবনের অলিগলি বদলে দিতে পারে। আপনি বড় রাস্তা হাঁটবেন না, অলিগলিতে হারিয়ে যাবেন-এটা নির্ভর করছে আপনার ওপর। হেলেন কেলারের একটা লাইন শেয়ার করতে পারি:
মানুষ চিন্তা করতে চায় না। যিনি চিন্তা করেন তিনি উপসংহারে পৌঁছান। আর উপসংহার সব সময় আনন্দের হয় না।
আমি ১৫টি উপায় বের করেছি যার মাধ্যমে যে কোনও মানুষের জীবন সহজ করা যাবে!
১: বড় চিন্তা কিন্তু ছোট কাজ
বড় কোন কাজ করতে চান? বড় কোন কোম্পানি দিতে চান? মানুষের জীবন বদলে দিতে চান? লাখ টাকা আয় করতে চান?-এত চিন্তা করে কি হবে? বড় চিন্তার জন্য আমরা বড় কিছু করার চেষ্টা করি। আসলে উল্টো করা উচিত। স্টিভ জবস কম্পিউটার সবার বাড়িতে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন, দিয়েছেন তো! তিনি চিন্তা করেছেন কম্পিউটারের দুনিয়া বদলে দিবেন, কাজ শুরু করেন বন্ধুর সাথে ছোট একটা গ্যারেজে। মুনশট বলে একটা বিষয় আছে। আপনি যদি চাঁদের দিকে ঢিল ছোড়েন তাহলে সেই ঢিল চাঁদে না পৌঁছালেও কাছাকাছি পৌঁছাবে। চাঁদে ঢিল দেয়া বড় চিন্তা কিন্তু, আবার ঢিলটা ছোট হতে হয় কিন্তু। আপনার লক্ষ্য বা চিন্তা যদি ছোট হয় তাহলে আউট-কাম বা ফলাফলও ছোট হবে।
২: সব সমস্যা আসলে উত্তর বিহীন প্রশ্ন
আমরা জীবনে যখনই কোন সমস্যা দেখি, তখনই তার সমাধানে ব্যস্ত হয়ে যাই। এটা খুবই বাজে একটি ব্যস্ততা। সমস্যা মানেই দুশ্চিন্তা, যা জীবনকে কঠিন করে ফেলে। সব সমস্যার সমাধানে ছোটার কোন প্রয়োজন নেই, স্থির হয়ে বসে থাকাও একটা কৌশল। তো, সমস্যা হচ্ছে আসলে সাময়িক উত্তর বিহীন প্রশ্ন। তাই যেকোনো সমস্যা ধড়ফড় না করে স্থির থাকুন, উত্তর খুঁজুন।
৩: স্থির ভিতের ওপর সম্পর্ক গড়ে তোলুন
যে সম্পর্কগুলো অর্থ বা প্রভাবের মাধ্যমে গড়ে ওঠে তার ভবিষ্যৎ দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সম্পর্ক উন্নয়নে কৌশলী হতে হবে। টাকা দিয়ে খুব বেশিদিন সবার সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। ভালোবাসা বা শ্রদ্ধার মত শক্ত বিষয়গুলোর ওপর সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
৪: জীবনের কোনকিছুই বিনে পয়সায় হতে পারে না
নিজেকে লাটিম ভাবুন। আপনি যত আস্তেই ঘুরুন না কেন আপনাকে প্রতিনিয়ত খরচ করতে হবে। বাসা ভাড়া, ইন্টারনেট চার্জসহ প্রতিটি শ্বাসের একটি আর্থিক অংক থাকে। জীবন হচ্ছে ব্যবসার মাঠ। যারা চালাক তারা নিজের সম্পদকে দারুণভাবে কাজে লাগায়। কখনও ভেবেছেন আপনার শ্বাসপ্রশ্বাসও আপনার সম্পদ!
৫: সিদ্ধান্ত নিয়ে ভয় পাবেন না
অনেক সময়ই সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিপদ এড়ানোর চেষ্টা করি আমরা, আমরা আসলে তখন বেশ বড় ভুল করি। অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধের মাঠে গুলি না ছোড়া মানে সিদ্ধান্ত না নেয়া খুবই মারাত্মক কাজ। কোন কাজে অপেক্ষা করে সময় নষ্ট করে ধীরে ধীরে এগোনোর কোন মানে নেই। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। সিদ্ধান্ত কাজে আসলে ভালো, কাজে না আসলে ভুল হলে ব্যর্থতা স্বীকার করে সামনে এগিয়ে যান।
৬: আজকের দিনের নেতৃত্ব দিন
কালকের জন্য নেতৃত্ব দিতে আমরা নিজেরা তৈরি হচ্ছি, অথচ আজকের দিনে নেতা বা কাজে লিড দেয়ার মানুষের সংকট হয়। দায়িত্ব আগামীকাল নেয়ার বদলে আজ নিতে শিখতে হবে।
৭: সৃজনশীলতা ফলাফলকে ত্বরান্বিত করে
শূন্য থেকে কিছু হতে চাইলে একটি মাত্র উপায় সবাইকে অনুসরণ করতে হয়, আর তা হলও কাজ। কাজের পুরো সিস্টেমে সৃজনশীলতার মাধ্যমে দ্রুত এগিয়ে গেলে প্রায় সব কিছুই সহজ হয়।
৮: নিজেকে সেলসপার্সন ভাবুন
সবাই আসলে দিন শেষে সেলস-ম্যান বা বিক্রেতা। যখন প্রেম করছেন, তখন নিজেকে বিক্রি করেন আপনি। যখন চাকরির জন্য আবেদন করেন তখনও আপনি নিজেকে বিক্রি করেন। নিজেকে যখন বিক্রি করছেন তখন নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন, সঃ থাকুন ও টু দ্য পয়েন্ট থাকুন। যে মানুষটি আপনাকে পছন্দ করে না, তার জন্য সময় নষ্ট করবেন না।
৯: নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চাইলে নিজের দক্ষতা বিকাশ করুন
নিজের ওপর বিশ্বাস না থাকলে সেই বিশ্বাস খোঁজার জন্য মটিভেশনাল ভিডিও, পোস্ট বা বই পড়ার দরকার নেই। নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায়, এবং কার্যকর উপায়, একটাই-তা হলও যা আপনি পারেন তা ভালোভাবে করে যাওয়া। সেই কাজটির জন্য নানান স্কিল অর্জন করার মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
১০: বন্ধুদের মূল্য দিন
আমরা সামাজিক প্রাণী। আমরা যখন একা থাকি, তখন আমার দ্রুত মৃত্যুর দিকে চলে যাই। আপনি যদি ভাবেন আপনার বন্ধু দরকার নেই, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন।
১১: যা দেখেন তাই বিশ্বাস করবেনা
আমরা যখন আসলে ‘আমাকে দেখো, আমাকে দেখ’ এই দুনিয়াতে বাস করছি। এখানে সবাই ফেমাস হতে চায়, সবাই যা করে তাই সবাইকে দেখাতে চায়। প্রতিদিন যা-ই দেখুন না কেন, বিশ্বাস করবেন না। এই যে এত সাফল্যের গল্প, সবই বিশ্বাস করবেন না। ইউটিউবার্স, ইনস্টাগ্রাম মডেল-সবাই কি পারফেক্ট, তাই না? সবাই কিন্তু আমরা দেখি বাইরে থেকে। ভেতরের গল্পটা আলাদা কিন্তু।
১২: সমালোচনা নিতে শিখুন
এই দুর্মূল্যের বাজারে কেউ ফ্রি কিছু দেয়? যখন কেউ সমালোচনা করেন, তা বোঝার চেষ্টা করুন। কখনই উইম্প হয়ে মরা ঠিক না, সমালোচনা থেকে শিক্ষা নিয়ে চ্যাম্প হতে হবে।
১৩: যদি আপনি শরীরের যত্ন নিতে না পারেন, তাহলে কোন কিছুরই যত্ন নিতে পারবেন আপনি
আপনি নিজের স্বাস্থ্যের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান করতে পারবেন না, কিন্তু নিজের যত্ন তো নিতে পারবেন। নিজের জন্য হেলদি খাবার ও ব্যায়ামে সময় দিন।
১৪: হ্যাপিনেস ইজ অ্যা চয়েস
আপনি আপনার চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন জীবনে কি করবেন আপনি। আপনি কিছু করতে চাইলে আপনি তা পারবেন। চিন্তা করতে হবে ইতিবাচক উপায়ে।
১৫: কিছু তৈরি করুন তো
কিছু একটা তৈরি করা শিখুন। ফেসবুক বা ইউটিউবে কনজিউমার বা ব্যবহারকারী হিসেবে না বসে প্রডিউসার হউন।
এখনও এই পোস্ট পড়ছেন? কাজ তাহলে কখন শুরু করবেন?


সিদ্ধান্ত নেয়ার তিনটি কার্যকর উপায়


‘আপনি যে বন্ধু-বান্ধব বা সার্কেলে চলেন তাদের একজন একটু এদিক সেদিকের হলেই আপনার ভবিষ্যৎ ভয়ংকর’, এমন একটা লাইন প্রথম পড়ি টিম ফেরিসের ব্লগে।


আমরা কেন জানি কোন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পরে তা ছাড়তে চাই না। কিংবা কেউ ছেড়ে যেতে চাইলে, তাকে যেতে দিতে চাই না। কেউ যখন চলে যেতে চায়, তাকে যেতে না দেয়া একরকমের অন্যায়। অনেক কর্পোরেট অফিসে দেখা যায়, কেউ নতুন চাকরিতে চলে যেতে চাইলে তাকে যেতে দেয়া হয় না। নানা কারণে বাঁধা দেয়া হয়। এতে আসলে যে যেতে চায় তার যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি যে যেতে দিতে চায় না তারও ক্ষতি হয়। সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনে এগোতে চাইলে কাউকে না কাউকে ছেড়ে দিতে হবে।
আমি আসলে এই লেখাটি শুরু করেছিলাম কিভাবে সঠিক ও কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়া যায় তা নিয়ে লিখতে। আমি যে ব্যক্তিজীবনে খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারি ব্যাপারটা তেমন নয়। ডিসিশন মেকিংয়ের ওপর কিছু আর্টিকেল পড়েছি, তা থেকেই নিজের জন্য এ লেখাটা লিখছি।

সিদ্ধান্ত নেয়া একরকমের আর্ট। জীবনে চলার পথে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার দক্ষতা আয়ত্ত করতে হবে। বিশেষ করে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে আমরা ভীষণ অপটু। কখন কোথায় না বলতে হবে, সেটা জানি না অনেকেই।
ইয়েস-নো বা হ্যাঁ/না প্রশ্নে কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে তিনটি উপায় পাওয়া যায়। 

প্রথমটি হচ্ছে, যদি শতভাগ হ্যাঁ না হয় তাহলে বিষয়টিকে না বলতে হবে।যদি কিছুতে যদি আপনি শতভাগ হ্যাঁ না বলেন, তা আসলে না। ফিফটি-ফিফটি বলে আসলে কিছু নেই! ডিসিশন মেকিং ফ্রেমওয়ার্কে এটা প্রথম ধাপ। ডিসেম্বরে ঘুরতে যাবেন?, উত্তরে দেখি বলবেন না, হয় হ্যাঁ, না হলে না! এমন ক্ষেত্রে যদি দ্বিধায় থাকেন, তাহলে আপনার সিদ্ধান্তকে ১-১০ স্কেলে মার্কিং করুন। যদি সিদ্ধান্ত ৮ পয়েন্ট পায় তাহলে হ্যাঁ বলুন, নইলে না। ইস, বা ফিয়ার অব মিসিং আউট, এফওএমও টাইপের কোন প্রশ্ন তৈরি হলে সরাসরি ‘না’ বলুন।
‘আচ্ছা নৌকা কি জোরে দৌড়বে?: 

অদ্ভুত এই লাইনটা বিভিন্ন ব্লগে দেখা যায়। আমরা চলার পথে সব কিছুই গুরুত্ব দেই, আসলে যা ঠিক না। মনে করুন, আপনি ট্রেজার হান্টের কোন খেলা খেলছেন। পথে যা পাবেন তাই কি ব্যাগে নিয়ে গুপ্তধনের পেছনে ছুটবেন, নাকি যা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে ছুটবেন। এখানে অবশ্য একটা প্রশ্ন থাকে, কোনটি গুরুত্বপূর্ণ তা কিভাবে টের পাবো? সেই টের পাওয়ার সিক্সথ সেন্স আছে বলেই তো আমরা মানুষ। চলের পথে কোন পরিস্থিতি তৈরি হলে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আচ্ছা বিষয়টি কি আমাকে সামনে এগিয়ে চলতে সহায়তা করবে? যেমনটা ধরুন, কোন সম্পর্কে আপনি জোর করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু যা আসলে আপনাকে ধীর করে দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কি করবেন? প্রশ্ন করুন নিজেকে Will ‘this’ make the boat go faster?
আপনার লক্ষ্য, এগিয়ে চলা জীবনকে গতিশীল করবে যা তাই সিদ্ধান্ত নিন। জীবনে যা ধীর করে দেয়া তাকে সব সময় না বলুন।
কাগজে কলমে ভরসা রাখুন: 
যখনই কোন জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয় তখনই কাজ কলম নিয়ে ‘কেস’ লিখে ফেলুন। সম্ভাব্য সব পরিস্থিতি লিখে ফেলুন। নিজেই হয়ে উঠুন নিজের জীবনের স্ক্রিপ্ট রাইটার।


Original Writer & Post Credit

Disclaimer

Disclaimer: All the information on this website is published in good faith and for general information purpose only. Some content i...