Pages

Thursday, February 27, 2020

আইরিন খানের #বলতেমানা থেকে যে শেখা

Courtesy 

আইরিন আপা আমার ভায়োলিন শিক্ষক। আইরিন খান আপা। ওনার নাম অনেক জায়গায় লিজেন্ড হিসেবে নেয়া হয়। আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ কিংবা আমেরিকান অ্যালামনাই কমিউনিটিতে উনি গ্যালাক্সি টাইপের মানুষ। ওনাকে ছোটবেলা থেকে নানা কারণে, অপ্রয়োজনে যখন ইচ্ছে জ্বালাচ্ছি আমি। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ আমি ওনার রেডিও শো বলতে মানাতে যাই। কেন যাই, সেটা যেমন আপা জানতেন না, আমিও না। আমরা চেষ্টা করেছিলাম নিজেরা যে কথা বলি, সেটা বাকিদের জানাতে-জানতে। আমি আইরিন আপার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেয়েছি, যদিও আবার ভুলে যাই সবই। তা নিয়েই এই পোস্ট।


১. যা দরকার তা পড়তে হবে: আমি যে র‍্যান্ডম অনেক বই পড়ি, তা নিয়ে আইরিন আপার বেশ আপত্তি। খালিখালি মাথা ভর্তি করার কোন মানে নেই। মাথার স্পেস প্রয়োজন। বেশি ‘লার্ন’ হয়ে গেলে, তার ভাষ্যে, ‘আনলার্ন’ করা কঠিন।


২. নিজেকে জানতে হবে: আইরিন আপা সেলফ এক্সপ্লোরার। তিনি কোন কিছুতেই স্থির থাকেন না। কোন একটা প্যাটার্নে তাকে ফেলা যাবে না।


৩. ‘পজ’ জিনিষটা গুরুত্বপূর্ণ: আইরিন আপার কাছ থেকে আমি প্রথম বিরতি বিষয়টি জানতে পারি। ব্যস্ত জীবনে সব সময় চলার কোন মানে নেই। একটি বিরতি বা পজ মেন্টাল রিফ্রেশমেন্টের জন্য দারুণ উপকারী।


৪. নানা রঙের নেটওয়ার্ক: আইরিন আপা সব রকমের সব বয়সের মানুষকে বন্ধু ভাবতে ভালোবাসেন। নানা রঙের নেটওয়ার্ক, নানা রঙের মানুষ জীবনে রঙ বাড়ায়।


৫. উপসংহারবিহিন জীবনের সন্ধানে: আইরিন আপাকে আমি কখনই কোন বিষয়ে উপসংহার বা শেষ মতামত দিতে দেখি নাই। আমরা সবাই খুব বেশি উপসংহার খুঁজি যে কারণে মনের মত উপসংহার না পেয়ে হতাশ হয়ে যাই।


৬. জীবনকে ঠেলতে হবে: আইরিন আপা বই পড়েন, ছবি আঁকেন, ইয়োগা করেন, ঘোরেন-জীবনকে ঠেলে ঠেলে সামনে নিচ্ছেন উনি। নিজের সময়কে ধরে ধরে নিয়ন্ত্রণের কৌশল আইরিন আপার কাছ থেকে শেখা যায়।


৭. না জেনে কথা বলা যাবে না: আইরিন আপা না জেনে কখনই কথা বলেন না, আর আমি না জেনেই সব বলি।

আর লিখছি না।

Disclaimer

Disclaimer: All the information on this website is published in good faith and for general information purpose only. Some content i...