Pages

Thursday, January 10, 2019

Jon Jandai'র জীবন দর্শন

এই ভদ্রলোকের এতগুলো বাড়ি আছে যে, তাকে এখন চিন্তা করতে হয় - আজ রাতে কোন বাড়িটায় ঘুমাবেন? গত ২০ বছরে একটা পোষাক না কিনেও তাকে এখন প্রায়শই গ্রামের লোকদের ডেকে পোষাক বিলিয়ে দিয়ে দিতে হয়!? অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা নিয়ে তাকে কোন চিন্তাই করতে হয় না এবং এগুলোর জন্যে তিনি কারো উপর নির্ভরশীল নয় বিধায় জীবনের প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করছেন তিনি। জীবনকে সহজ করার চাবিকাঠি এখন তাঁর হাতের মুঠোয়।



অথচ একদিন সাফল্য আর শান্তির সন্ধানে গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছিলেন। শহরের কঠিন পরিশ্রম আর প্রতিযোগীতার জীবন তাকে সেই স্বস্তি দিতে পারেনি। নিজেকে মানিয়ে নিতে এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। আশা, কিছু শিখে জীবনকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করবেন। কিন্তু তিনি আবিস্কার করেন - সেখানে তাঁর জীবনে কাজে লাগতে পারে এমন কিছু তো শেখায়ই না বরং প্রকৃতি ও সভ্যতাকে ধ্বংসের প্রক্রিয়াই শেখানো হচ্ছে। যেমন, আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টে শেখানো হচ্ছে কিভাবে প্রকৃতি ও পরিবেশকে ধ্বংস করে নগরায়নের নামে কনক্রীটের জঞ্জাল বানানো যায়। কৃষিতে শেখানো হচ্ছে অধিক ফলনের জন্যে কীটনাশক ও সারের ব্যবহারের নামে জমি, পানি ও জীব বৈচিত্র ধ্বংসের উপায়। তিনি ছেড়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়। জীবনের এমন নানান দ্বন্দ নিয়ে নিজের সাথে নিজের কথোপকথনের আত্ম-উপলব্দির এক পর্যায়ে গ্রামেই ফিরে যান তিনি। শুরু করেন কৃষি কাজ। সারা বছরে মাত্র কয়েকমাস পরিশ্রম করে তিনি তাঁর সকল প্রয়োজন পূরণের ব্যবস্থা করে নিয়েছেন।

২০০৩ সাল থেকে থাইল্যান্ডের মানুষের মধ্যে তাঁর এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করার জন্যে তিনি PUNPUN Center নামে একটা উদ্যোগ নেন। এখানে তিনি "জীবনকে সহজ করার উপায়" সম্পর্কে শেখান। এছাড়াও দেশীয় ও দূলর্ভ প্রজাতির বীজ সংরক্ষন করাও এই প্রতিষ্ঠানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এছাড়াও থাইল্যান্ডের "ন্যাচারাল বিল্ডিং মুভমেন্ট" এর একজন লীডার এই ব্যক্তি। তাঁর নাম? Jon Jandai

তিনি বলেন - "সব সময় মনে রাখুন, জীবন অত্যন্ত সহজ। আমরাই জীবনকে অকারণে জটিল করে তুলি।" Jon Jandai এর জীবন দর্শন থেকে উদ্যোক্তাদের জন্যে শিক্ষণীয় বিষয়গুলোঃ

১) মনের ডাকে সাড়া দিতে হবে জানতে হবে।
২) নিজের উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে।
৩) রিসোর্সের সন্ধানে না দৌড়ে যা আছে তাকেই কাজে লাগাতে জানতে হবে।
৪) অল্পে সন্তুষ্ট থাকা শিখতে হবে।
৫) অনুকরণ / অনুসরন করার প্রবণতা থেকে বের হয়ে স্বকীয়তা বজায় রাখতে হবে।
৬) পরিমানে কম হলেও নিয়মিত কাজ করে যেতে হবে।
৭) যখনই কোন সমস্যা সৃষ্টি হবে তখন কিছুটা সময়ের জন্যে থামতে হবে। নিজের ভেতরে ডুব দিয়ে ভুলগুলোকে খুঁজে বের করে সংশোধন করে নিতে হবে।


No comments:

Post a Comment

Disclaimer

Disclaimer: All the information on this website is published in good faith and for general information purpose only. Some content i...