Pages

Thursday, December 7, 2017

The Presentation Secrets of Steve Jobs

জবস, জবস, জবস-তিনিই বস

PresentationofSteveJobs

* প্রেজেন্টেশন হউক আর প্রোডাক্টসের কথাই হউক, ট্যাগ লাইন ছোট কিন্তু সেই রকম করতে হবে। যেমনটা ছিল আইপডের, “The iPod: One thousand songs in your pocket.”। টেকনিক্যাল জার্গন তো বাদ দিতেই হবে, সঙ্গে একেবারে অবুজ কাস্টমারকে টার্গেট করে কথা বলতে হবে।

* স্টিভ জবস তার প্রেজেন্টেশন কিংবা ইন্টারভিউ দেয়ার আগে সেই রকম হোমওয়ার্ক করত। রীতিমতো খাতা-কলমে এঁকে কি হবে প্রেজেন্টেশনে সেটা ঠিক করতো। আইডিয়া তৈরিতে স্টিভ জবসের মত অ্যানালগ উপায়ই সেরা কিন্তু। 

* বিটলস প্রথমবার স্টেজে গান গাওয়ার আগে ১০ হাজার বার প্র্যাকটিস করছে, যা কিনা দিন-বছর হিসেবে ১২ বছর! স্টিভ জবস মাস্টার কমিউনিকেটর একদিনেই হয় নাই, প্রতিটি প্রেজেন্টেশনের আগে কয়েক ঘণ্টা প্র্যাকটিস চলতো তার।

* স্টিভ জবস অ্যারিস্টটলের ফাইভ-পয়েন্ট প্ল্যান ফলো করতো:

১. যে গল্পে ইন্টারেস্ট আছে তাই ডেলিভার করতে হবে।

২. শুরুতেই একটা সমস্যা কিংবা প্রশ্নকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরলে গল্পে তাদের টেনে নেয়া সহজ। 

৩. সমস্যাটা অডিয়েন্সকে তুলে দিলেই সমাধানের পথ খুঁজে দিন।

৪. অডিয়েন্সকে ‘হোয়াই শ্যুড আই কেয়ার?’ এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিন, নইলে আপনি যাই বলুন-যা বলুন তা কেউ বুঝবেই না।

৫. কী করতে হবে তা অডিয়েন্সকে জানানোর উপায় খুঁজুন।
ভালো প্রেজেন্টেশনের জন্য স্টিভ জবসের কাছ থেকে Carmine Gallo যা খুঁজে পেয়েছেন:

* অডিয়েন্স আসার ১০ মিনিট আগে আপনি ভেন্যুতে এসে লাইট-সাউন্ড চেক করে নিন।

* জার্গন বেশি ব্যবহার করলে দর্শক মুগ্ধ হয় না, হা করে বসে থাকে।

* সিম্পল ওয়েতে কিছু না বলতে পারলে আসলে সেটা কেউ বুঝবে না।

গল্পের নয় অনুসঙ্গ:

কথা বলার সময় স্টিভ জবসের মত নয়টি অনুসঙ্গ মেনে চলতে পারেন:

– টুইটারের মত ছোট হেড লাইন।

– কথার বলার আগেই নিজের প্যাশন স্টেটমেন্টের কথা জানিয়ে দেন। “I’m excited about this initiative because it____”-এমন লাইন দিয়ে শুরু করতে পারেন।

– কথায় তিনের ব্যবহার করতে শিখুন।

– মেটাফোর আর অ্যানালজি ব্যবহার করে গল্প সাজানো শিখুন।

– যদি প্রোডাক্ট লঞ্চ হয় তা কিভাবে কাজ করে তার ডেমো দিন।

– আপনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের ধন্যবাদ দিচ্ছেন তো?

– কাস্টমারদের কথা কাস্টমারদের জানানোর উপায় বের করুন।

বইটা থেকে আরও যা যা বুঝেছি আমি:

সবার জন্যই মাথায় এমন একটা গল্প তৈরি হয় তা তৈরি করার চেষ্টা করুন।

সিনেমা হলে গিয়ে কি মানুষ নোট নেয়? তাহলে আপনার প্রেজেন্টেশন থেকে মানুষকে কেন নোট নিতে বাধ্য করছেন?

তিন সংখ্যার জাদু শিখুন! থ্রি স্টুজেস কেন থ্রি জানেন কি?

গল্প তৈরি করুন > অভিজ্ঞতার গল্প ডেলিভার করুন > পণ্য বা সেবা পাঠিয়ে দিন কাস্টমারকে

নায়ক-ভিলেন তৈরি করুন

স্টিভ জবসের যে কোন গল্পে কখনও মাইক্রোসফট, কখনও প্রচলিত ফোনকে সে শত্রু হিসেবে উপস্থাপন করতো। অনেকটা সিনেমার মত। গল্পে ভিলেন না থাকলে সেই গল্প কি মানুষ মনে রাখে? ওয়াকম্যান নিয়ে মানুষের চলাচলে কত সমস্যা হত, ওয়াকম্যানে নতুন গান ভরা কত কঠিন কাজ, ওয়াকম্যান হারিয়ে গেলে কত ঝামেলায় পরে মানুষ, সেই ভিলেনের বিরুদ্ধে এসে দাঁড়ায় আইপড, যা কিনা আপনার পকেটে এক হাজার গান নিয়ে এঁটে যায়-এই গল্পটাই স্টিভ জবস আইপড নিয়ে সবাইকে জানিয়ে ছিল। আইপড এরপর তো পুরো মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিকেই কাপিয়ে দিয়েছে। 
ডেভিড-গোলিয়াথের স্টোরির মত কিছু একটা দাঁড় করাইতে পারলেই আপনার প্রেজেন্টেশন হিট।
পুরো প্রেজেন্টশনকে একটা বাক্যে প্রকাশ না করতে পারলে আপনার কথা না বলাই ভালো!

Have a one sentence pitch to answer:
– What you do
– what problem you solve
– how you are different
– why the customer should care
[ simply. clearly. confidently ]

জ্যাকারবার্গের মোট সম্পত্তি তিন বিলিয়ন ডলার, এই লাইন দিয়ে আপনি কিছুই বোঝাইতে পারবেন না। মুনির হাসানের মত, জ্যাকারবার্গের মোট সম্পত্তি দিয়ে তিনটা পদ্মা সেতু বানানো যাবে এমন লাইন বলুন। অডিয়েন্স আপনার সঙ্গে বেশি কানেক্টেড হবে।

লোকজন কিন্তু যে আনন্দ করে তাকে পছন্দ করে। স্টিভ জবস কিন্তু স্টেজে সেই রকম আনন্দ করতো, সেটা দেখে কিন্তু সবাই মুগ্ধ হতো। গণিত অলিম্পিয়াডের মুনির হাসান কিভাবে স্টেজে আনন্দ করেন সেটা থেকেও অনেক কিছু জানতে পারবেন!

Thank people to show your humility and integrity.

No comments:

Post a Comment

Disclaimer

Disclaimer: All the information on this website is published in good faith and for general information purpose only. Some content i...